ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অষ্টম শ্রেণির পড়াশেনা

প্রকাশিত: ০৩:৪৭, ৩০ এপ্রিল ২০১৭

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অষ্টম শ্রেণির পড়াশেনা

আব্দুর রশিদ সিনিয়র শিক্ষক, বি এ এফ শাহীন কলেজ কুর্মিটোলা, ঢাকা ৩য়-অধ্যায় (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির নিরাপদ ব্যবহার) ১. কম্পিউটার ভাইরাস কী? উহা কত প্রকার ও কী কী? এর বৈশিষ্ট্যগুলো লেখ । উত্তরঃ কম্পিউটার ভাইরাস ঃ কম্পিউটার ভাইরাস হলো এামন এক ধরণের ক্ষতিকর সফটওয়্যার বা ম্যালওয়্যার যা পুনুরুৎপাদনে সক্ষম এবং এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে সংক্রমিত হওয়ার ক্ষমতা সম্পন্ন। কম্পিউটার ভাইরাসের প্রকারভেদ ঃ কাজের ধরণের ভিত্তিতে কম্পিউটার ভাইরাসকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন: ক. অনিবাসী ভাইরাস খ. নিবাসী ভাইরাস । অনিবাসী ভাইরাস ঃ কোন কোন ভাইরাস সক্রিয় হয়ে ওঠার পর, অন্য কোন প্রোগ্রামকে সংক্রমণ করা যায় সেটি খুঁজে বের করে। তারপর সেগুলোকে সংক্রমণ করে এবং পরিশেষে মূল পোগ্রামের কাছে নিয়ন্ত্রণ দিয়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। এগুলোকে বলা হয় অনিবাসী ভাইরাস ( ঘড়হ-জবংরফবহঃ ঠরৎঁং ) নিবাসী ভাইরাসঃ অন্যদিকে, কোনো কোনো ভাইরাস সক্রিয় হওয়ার পর মেমোরিতে স্থায়ী হয়ে বসে থাকে। যখনই অন্য কোনো প্রোগ্রাম চালু হয়, তখনই সেটি সেই প্রোগ্রামকে সংক্রমিত করে। এ ধরণের ভাইরাসকে বলা হয় নিবাসী ভাইরাস (জবংরফবহঃ ঠরৎঁং ) কম্পিউটার ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য ঃ কম্পিউটার ভাইরাসের নি¤œলিখিত বৈশিষ্ট্য লক্ষণীয়- র. এটি একটি ক্ষতিকারক সফটওয়্যার বা ম্যালওয়্যার যা পুনরুৎপাদনে সক্ষম। রর. এটি এক কম্পিউটার থেকে বিভিন্ন মাধ্যমের সাহায্যে অন্য কম্পিউটারে সংক্রমিত হতে পারে। ররর. কম্পিউটার ভাইরাস নানা ধরণের ক্ষতি সাধন করে থাকে। যেমন কম্পিউটারের গতি কমে যাওয়া, হঠাৎ হ্যাং হয়ে যাওয়া, ঘন ঘন রিবুট নেওয়া ইত্যাদি। রা. বেশির ভাগ ভাইরাসই ব্যবহারকারীর অজান্তে তার সিস্টেমের ক্ষতি সাধন করে। া. ব্যবহারকারীর হস্তক্ষেপ ছাড়া এটি সংক্রমিত হতে পারে না ার. বিভিন্ন রকম ভাইরাসের ক্ষতি করার ক্ষমতা বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। ২. ফায়ারওয়াল কী? অনলাইন নিরাপত্তায় ক্যাপচা ব্যবহারের কারণ বর্ণনা কর । উত্তরঃ ফায়ারওয়াল ঃ প্রত্যেক কম্পিউটার বা নেটওয়ার্কেরই নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে, কেউ যেন সেই নিরাপত্তার দেয়াল ভেঙ্গে ঢুকতে না পারে তার চেষ্টা করা হয়। নিরাপত্তার এই অদৃশ্য দেওয়ালকে ফায়ারওয়াল বলা হয়। অনলাইন নিরাপত্তায় ক্যাপচা ব্যবহারের কারণ ঃ মানব সভ্যতার উন্নয়নের ধারয় মানুষ যতই সামনে অগ্রসর হচ্ছে ততই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উপর নির্ভর করতে শুরূ করেছে। তথ্য প্রযুক্তির এই বিকাশকে অসৎ উদ্দেশ্যে কাজে লাগানোর ফলে ইন্টারনেটে বিচিত্র ধরনের নিরাপত্তাহীনতা বাড়ছে। এই নিরাপত্তাহীনতা দূর করতে বিভিন্ন পদ্ধতিও ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মধ্যে একটি পদ্ধতিতে মানুষ এবং যন্ত্রকে আলাদা করার সময় একটি বিশেষ লেখা পড়ে সেটি টাইপ করতে হয়। মানুষ এবং যন্ত্রকে আলাদা করার উক্ত পদ্ধতিকে বলে ক্যাপচা। বর্তমানে বিশেষ ধরনের কম্পিউটার বা রোবট তৈরি করা হয়েছে যা সারাক্ষণই সম্ভাব্য সকল পাসওয়ার্ড দিয়ে চেষ্টা করতে থাকে যতক্ষণ না সঠিক পাসওয়ার্ডটি বের হয়, এই সমস্যা থেকে পরিত্রান পাবার জন্য আমাদের সকল ওয়েব অ্যাকাউন্টে ঢোকার সময় সঠিক পাসওয়ার্ড দেওয়ার পরও একটি বিশেষ লেখা পড়ে সেটি টাইপ করতে হয় অর্থাৎ ক্যাপচা পদ্ধতি ব্যবহার করতে হয়। কারণ উক্ত বিশেষ লেখাটি সাধারণ মানুষ বুঝতে পারলেও একটি যন্ত্র বা রোবট লেখাটির সঠিক রুপ বুঝতে পারে না। ফলে মানুষ ও রোবটকে আলাদ করে সনাক্ত করতে ক্যাপচা পদ্ধতি ব্যবহার করত হয়।
×