ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বড়পুকুরিয়া ৬ দফা দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ০১:০১, ২৯ এপ্রিল ২০১৭

বড়পুকুরিয়া ৬ দফা দাবিতে  মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি সংলগ্ন বৈগ্রামে ৬ দফা দাবিতে শনিবার মানববন্ধন করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। ২৫ মে তারিখের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে। বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি আদায় বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে সকাল দশটা থেকে বেলা এগারটা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী ওই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে ৬ দফা দাবি নিয়ে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম, যূগ্ম-আহবায়ক গোলাম মোস্তফা, সদস্য সচিব আবু সাঈদ, উপদেষ্টা সোলায়মান সামি, রীর মুক্তিযোদ্ধা মোকলেছুর রহমান, সাখওয়াত হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, আবেদ আলী, আব্দুর রহমান বাচ্চু, আসাদুজ্জামান, মোছা. নূর বানু, মোছা. শিউলী আক্তার প্রমূখ। খনি এলাকার ১০টি গ্রামের নারী, পুরুষ,স্কুল কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী, খেটেখাওয়া মানুষ, দিন মজুর, কুলি, শ্রমিকরাসহ প্রায় ৪ হাজার মানুষ মানব বন্ধনে অংশ নেন। সংগঠনের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম বলেন, ভূগর্ভ থেকে কয়লা উত্তোলনের জন্য গত তিন বছর আগে খনি কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ছয়’শ একর জমি অধিগ্রহণ করে ক্ষতিপূরণ প্রদান করেছেন। কিন্তু অধিগ্রহণকৃত এলাকার বাইরে বৈগ্রামসহ কয়েকটি গ্রামে গত মার্চ মাস থেকে অব্যাহতভাবে ভূকম্পনের কারণে ঘরবাড়ি ও জমিতে ব্যাপকহারে ফাটল দেখা দিতে শুরু করেছে। বড় বড় ফাটলের কারণে ঘরবাড়িতে জীবনের ঝুঁকির মধ্যে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে খনি কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বললেও আশ্বাস ছাড়া দৃশ্যমান কিছুই দেখতে পাচ্ছেন না গ্রামবাসীরা। আগামী ২৫ মে তারিখের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ নিরাপদে বসবাসের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে থেকে যোগ্যতা অনুযায়ী খনিতে চাকরির প্রদানসহ ছয়দফা দাবি পূরণ করা না হলে গ্রামবাসীরা দাবি আদায়ের জন্য কঠোর আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তুলবেন। এতে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার সবটুকু দায়দায়িত্ব খনি কর্তৃপক্ষকেই বহন করতে হবে। বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আলহাজ্ব মো. হাবিব উদ্দিন বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের চলাচলের রাস্তা নির্মাণসহ নতুন করে ফাটল এলাকার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের জন্য উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনসহ প্রয়োজনে নতুন করে অধিগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। দ্রুতই এগুলো কাজ শুরু হবে।
×