ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ভন্ড ফকির ইউনুচের চক্রান্তের শিকার দরিদ্র জেলে পরিবার

প্রকাশিত: ১৯:৪৯, ২৯ এপ্রিল ২০১৭

ভন্ড ফকির ইউনুচের চক্রান্তের শিকার দরিদ্র জেলে পরিবার

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া ॥ ঝাঁড়ফুক দেয়া ভন্ড ইউনুচ ফকিরের চক্রান্তে স্বামীর সংসার বিয়ের দুই মাসও টিকেনি অষ্টাদশী শারমিনের। দুই মাস আগে স্বামীর সঙ্গে তালাক হয়ে গেছে। এখন ৭০ বছর বয়সী আব্দুল হাইয়ের সঙ্গে শারমিনকে মোটা অঙ্কের লোভে বিয়ে দেয়ার ধান্ধাবাজি চালায় ভন্ড ইউনুচ। তাতেও সফল হয়নি। তার কথা না শোনায় সবশেষ শুক্রবার সকালে দরিদ্র এ পরিবারের ওপর সন্ত্রাসী স্টাইলে ইউনুচ ফকির বিয়ে পাগলা বয়োবৃদ্ধ আব্দুল হাইকেসহ ইউনুচের দ্বিতীয় বউয়ের ছেলে জয়নাল, জাকারিয়া, ভায়রা সালাম তার ছেলে আবু সালেহসহ সাত/আট জনে বেধড়ক মারপিট করে শারমিনকে। তাও শারমিনদের ঘরে ঢুকে। শারমিন জানায়, একটি লাঠি তার পিঠে ভেঙ্গে ফেলেছে পেটাতে পেটাতে। মেয়েকে রক্ষায় এগিয়ে আসায় বাবা জেলে মিলন বয়াতীর উপরও হামলা চালায়। শুধুমাত্র নিজের ইচ্ছামতো শারমিনকে এক বয়োবৃদ্ধের কাছে বিয়ে দিতে না পেরে চারিত্রিক কলঙ্কের বোঝা চাপিয়ে দিয়ে চার সন্তানসহ জেলে দম্পতি শাহিনুর বেগম এবং মিলন বয়াতিকে এলাকা ছাড়ার কঠিন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে ইউনুচ ফকির। স্ত্রী ও চার সন্তানকে নিয়ে দরিদ্র জেলে মিলন বয়াতি কোথায় দাড়াবেন তা ভেবে অস্থির। তার স্ত্রী শাহিনুর বেগমও মানসিকভাবে খুব বিমর্ষ হয়ে পড়েছেন। আর হতভাগী শারমিন শুধু ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে চোখের পানি ঝরাচ্ছে। এই পরিবারটির ওপর হামলাকারী এবং ষড়যন্ত্রকারী ভন্ড ফকির ইউনুচসহ তার গোটা চক্রকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন কলাপাড়ার নারী নেত্রী নমিতা দত্ত। পাশাপাশি চক্রান্তের শিকার পরিবারটির আইনি নিরাপত্তার দাবিও করেছেন একাধিক নারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। মহিপুর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, অভিযোগ দেয়া হলে সব ধরনের আইনি সহায়তা দেয়া হবে ওই পরিবারকে।
×