ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহী পলিটেকনিক সাত বছর বন্ধের পর তিন ছাত্রাবাস খোলার উদ্যোগ

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ২৯ এপ্রিল ২০১৭

রাজশাহী পলিটেকনিক সাত বছর বন্ধের পর তিন ছাত্রাবাস খোলার উদ্যোগ

মামুন-অর-রশিদ, রাজশাহী ॥ দীর্ঘ সাত বছর পর অবশেষে রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের বন্ধ তিনটি ছাত্রাবাস খুলে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এজন্য শুরু হয়েছে সংস্কার কাজ। সংস্কার শেষে আগামী জুনের আগেই তিনটি ছাত্রাবাস শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। এদিকে দীর্ঘদিন বন্ধের পর ছাত্রাবাস খুলে দেয়ার উদ্যোগে শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বসিত। তারা বলছেন, আবাসিক সমস্যার কারণে তারা নানা প্রতিকূলতার মধ্যে লেখাপড়া করছেন। বন্ধ ছাত্রাবাসগুলো খুলে দেয়া হলে কিছুটা হলেও আবাসন সঙ্কটের সমাধান হবে বলে মনে করছেন তারা। ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ৭ জানুয়ারি দুটি ছাত্র সংগঠনের মধ্যে সংঘর্ষে একজনের মৃত্যুর পর থেকে বন্ধ রয়েছে রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের দুই ছাত্রাবাস ও একটি ছাত্রীনিবাস। ওইদিন ছাত্রলীগ ও ছাত্রমৈত্রীর নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ছাত্রমৈত্রী পলিটেকনিক শাখার সহসভাপতি রেজওয়ানুল ইসলাম চৌধুরী সানি নিহত হন। এরপর পরিস্থিতি সামাল দিতে ওই দিনই কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য পলিটেকনিক ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করে। সেদিনই ছাত্রাবাস ছাড়েন শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার প্রায় সাড়ে চার মাস পর ২০১০ সালের ২৬ মে ক্যাম্পাস খুললেও বন্ধ করে দেয়া হয় ছাত্রাবাসগুলো। ফলে শিক্ষার্থীরা পড়েন আবাসন সঙ্কটে। আর শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতেই আবার ছাত্রাবাস খোলার কথা ভাবছে কর্তৃপক্ষ। পলিটেকনিক কর্তৃপক্ষ জানায়, দীর্ঘদিন অব্যবহৃত পড়ে থাকায় ছাত্রাবাসগুলো শিক্ষার্থীদের বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সংস্কার না করলে বাসযোগ্য করা যাবে না। মাসখানেক হলো সংস্কার কাজ সীমিত পর্যায়ে শুরু হয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সংস্কার কাজে আরও গতি আসবে। সংস্কার শেষ হলে তারা সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে ছাত্রাবাস খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা গেছে, শাহ্ নেয়ামতুল্লাহ (রহ.) ছাত্রাবাস ও শহিদ মনোয়ার ছাত্রাবাসে আসন রয়েছে ২৪০। আর মেয়েদের জন্য একমাত্র আক্তারুন্নেসা ছাত্রীনিবাসে আসন ৬০। বর্তমানে ৮টি টেকনোলজিতে প্রায় তিন হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আলী আকবর খান বলেন, ছাত্রাবাসগুলো দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় ফ্যান ও বৈদ্যুতিক লাইনসহ অনেক কিছু নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক কক্ষের জানালা-দরজা ও গ্রিল নেই। আসবাবপত্রগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। তারা বার বার মেরামত করে চালুর ব্যাপারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখছেন। রাজশাহী শিক্ষা প্রকৌশল দফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, যে অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছিল তার সামান্য অংশ পাওয়া গেছে। তা দিয়েই সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। বাকি বরাদ্দ অতিদ্রুত ছাড় করা হবে। ফলে দ্রুত সংস্কার কাজ শেষ করে শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রাবাসগুলো উন্মুক্ত করে দেয়া সম্ভব হবে।
×