ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নগর উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নেই

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ২৯ এপ্রিল ২০১৭

নগর উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নেই

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নগরীর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা না থাকায় বার বার দুর্ভোগ পোহাতে হয় নগরবাসীকে। অপচয় হয় বিপুল পরিমাণ অর্থের। বিশ্লেষকরা বলছেন, সব ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নে মনিটরিং বৃদ্ধি করতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। তবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন বলছে, শীঘ্রই নির্মাণ উপকরণ যাচাই করতে কেনা হবে স্ক্যানার মেশিন। অন্যদিকে মেগা প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানায় ঢাকা দক্ষিণের মেয়র। কখনও অলিগলি, ছোট রাস্তায়, কখনও বা প্রধান সড়কে। দীর্ঘ সময় ধরে এসব পাইপ বসানো হয় নগরীর বিভিন্ন এলাকায়। এসব কর্মযজ্ঞে অতিষ্ঠময় হয়ে উঠে স্বাভাবিক চলাফেরা। দুর্ভোগ পোহাতে হয় সব শ্রেণীর মানুষকে। নাগরিক সুবিধা দিতে আগের ২৪ ইঞ্চি পাইপ সরিয়ে এসব গলিতে বসানো হচ্ছে ৪২ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ। আর প্রধান সড়কে বসানো হচ্ছে ৪৮ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ। দশ ফুট মাটির নিচে বসানো হচ্ছে এসব পাইপ। তবে মানসম্পন্ন নির্মাণ উপকরণ না হওয়ায় বসানোর আগেই ভেঙ্গে পড়ছে পাইপগুলো। ভাঙ্গা অংশগুলোর মাধ্যমে দেখা দেয়া নানা রঙ্গের ইটের মিশ্রণই বলে দেয়, কতটুকু টেকসই এই উপকরণগুলো। নগর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা আর মনিটরিং না থাকায় দুর্নীতি বন্ধ হচ্ছে না। নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘যথাসম্ভব দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে। তা না হলে এক নম্বর ইটের বদলে দুই বা তিন নম্বর ইট আসবে।’ পরিবেশবিদ প্রকৌশলী আব্দুস সোবহান বলেন, ‘যদি আমরা মাঠপর্যায়ে তদারকি না রাখি তাহলে যিনি কন্টাক্টর আছেন তিনি তো বেশিই লাভ করতে চাইবেন। যেহেতু মাটির নিচে কেউ দেখবে না। স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণে মেগা প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানান ঢাকা দক্ষিণ মেয়র। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘আমরা একটা প্রকল্প গ্রহণ করেছি। এই প্রকল্পটি সময় সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল। এই প্রকল্পটি যদি বাস্তবায়ন করা যায় তাহলে একটি স্থায়ী সমাধান হতে পারে।’ নগরীর বিভিন্ন ব্যবস্থাপনায় কাজ করা ২২ সংস্থাকে সমন্বয় করা না গেলে জনদুর্ভোগ কমবে না বলে মনে করেন এই নগর কর্তা।
×