স্টাফ রিপোর্টার ॥ তিস্তার ন্যায্য হিস্যা আদায়ে এবার সরকারের পাশাপাশি মাঠে নামছেন প্রধান এইচএম এরশাদ। দীর্ঘ প্রতীক্ষা, আর আলোচনা সমালোচনার পরও তিস্তা চুক্তি না হওয়ায় এ বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সরাসরি কথা বলার আগ্রহ দেখিয়েছেন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেছেন, তিস্তার পানি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলবেন না তিনি। এ নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেই কথা বলবেন।
পাঁচ দিনের সফরে কোচবিহারে যান তিনি। ২৩ এপ্রিল কোচবিহারের দিনহাটায় পৈতৃক বাড়িতে ওঠেন এরশাদ। তাঁর সফরসঙ্গী ছিলেন জাপা মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, এরশাদের প্রেস সচিব ও প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়। নিজ বাড়িতে পৌঁছার পর তাকে স্থানীয় প্রশাসনসহ এলাকাবাসী স্বাগত জানান। সফরকালে স্থানীয় প্রশাসন ও বিএসএফ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক নানা ইস্যুতে তিনি বৈঠক করেন। এছাড়াও বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি দেশে ফেরেন।
এরশাদের প্রেস সচিব সুনীল শুভ রায় জনকণ্ঠকে বলেন, একান্ত পারিবারিক সফরে তিনি দিনহাটা গিয়েছিলেন। একাধিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। বুধবার এরশাদ কোচবিহারের রাজবাড়ি দেখে সোজা চলে যান ডুয়ার্সের বাতাবাড়ি এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তিস্তা প্রসঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এরশাদ বলেন, ‘তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে মমতার সঙ্গে কথা বলতে চাই না। তার সঙ্গে কথা বলে কোন লাভ হবে না। এরশাদ বলেন, আকাশ ও পাখিদের কোন বর্ডার নেই। এখানে দেখছি, পানিরও বর্ডার আছে।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এরশাদ আরও বলেন, তিস্তা ইস্যুতে মমতার সঙ্গে কথা বলে কোন লাভ নেই। ইতোমধ্যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে ইতিবাচক মতোভাব দেখিয়েছেন। তিনি আশ্বাসও দিয়েছেন তিস্তা চুক্তির।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: