ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পদ্মা সেতু প্রকল্প

তেল চুরির ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলা, গুলি ॥ তিন কনস্টেবল আহত

প্রকাশিত: ০৭:৪০, ২৮ এপ্রিল ২০১৭

তেল চুরির ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলা, গুলি ॥ তিন কনস্টেবল আহত

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকায় তেল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের ওপর হামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মোঃ নাজিম উদ্দিন (২৫), মোঃ আরিফ শেখ (২৫) ও মোঃ আরিফুল ইসলাম নামে তিন পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়। আহতদের লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ চার রাউন্ড শট গানের গুলিবর্ষণ করেছে। পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত ঢাকার রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের (আর আর এফ) আহত কনস্টেবল মোঃ আরিফুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কুমারভোগ পদ্মা সেতু কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড সংলগ্ন পদ্মা নদীর সিবোট-ট্রলার ঘাটে সেতুর বিভিন্ন নৌযানের তেল সরবরাহ করা হচ্ছিল। এ সময় অন্য একটি ট্রলারে করে এক ড্রাম তেল পাচার করছিল তেল সরবরাহকারী কামাল হোসেনের ও তার লোকজন। এ সময় কনস্টেবল মোঃ আরিফ শেখ বাঁধা দিলে কামাল শেখ ও তার লোকজন আরিফ শেখের ওপর হামলা চালায় ও তাকে মারধর করতে থাকে। এ পরিস্থিতিতে কাছ থাকা পুলিশ কনস্টেবল নাজিম উদ্দিন এগিয়ে এলে হামলাকরীরা তাকেও মারধর করে। এ সময় আমি এগিয়ে গেলে তারা আমার ওপরও আক্রমণ করে মারধর করে। অবস্থা বেগতিক দেখে দ্রুত পদ্মা সেতু পুলিশ ক্যাম্পে খবর দেই। সেখান থেকে ক্যাম ইনচার্জ এসআই আশরাফ হোসেনের নেতত্বে এক দল পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশ ৪ রাউন্ড শর্ট গানের ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। পরে আমাদের লৌহজং হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (টিএইচও) মোঃ হুমায়ুন কবির ঘটনার সত্যাতা স্বীকার করে বলেন, মারপিটে আহত তিন পুলিশ সদস্য তার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। পদ্মা সেতু পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আশরাফ হোসেনের নিকট এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে তেমন কিছুই ঘটেনি। ‘যদি কিছু না ঘটে থাকে তবে আপনার তিন পুলিশ কনস্টেবল লৌহজং স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি হয়েছে কেন’? এ রকম প্রশ্নে উত্তর তিনি এড়িয়ে যান। কোন প্রকার গুলির ঘটনাও ঘটেনি বলে তিনি জানান। এ ব্যাপারে লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আনিচুর রহমান বলেন, সেখানে তেমন কোন ঘটনা ঘটেনি। সামান্য ভুল বোঝাবুঝিতে পুলিশের ওপর আক্রমণ হয়েছে।
×