ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

হিন্দী সিনেমার পর্দা কাঁপানো অভিনেতা বিনোদ খান্না আর নেই

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ২৮ এপ্রিল ২০১৭

হিন্দী সিনেমার পর্দা কাঁপানো অভিনেতা বিনোদ খান্না আর নেই

বিডিনিউজ ॥ হিন্দী সিনেমাপ্রেমীরা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যে আশঙ্কাটি করছিলেন, সেটিই সত্যি হলো। ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইয়ে হেরে গিয়ে জনপ্রিয় বর্ষীয়ান অভিনেতা বিনোদ খান্না বৃহস্পতিবার সকালে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। মুম্বাইয়ের শ্রী এন এইচ রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ৭০ বছর বয়সে মারা যান বিনোদ খান্না। চলতি মাসের শুরুতেই চরম পানিশূন্যতার কারণে একই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন একসময় হিন্দী সিনেমার পর্দা কাঁপানো এই অভিনেতা। ওই সময় বিনোদ খান্নার অসুস্থ অবস্থার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন তোলে। ‘অমর আকবর এ্যান্থনি’ খ্যাত এই অভিনেতার ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার খবর তখনই গণমাধ্যমের নজরে আসে। সত্তর এবং আশির দশকের এই অভিনেতা নেতিবাচক এবং ছোট চরিত্র দিয়ে কেরিয়ার শুরু করলেও ‘মেরে আপনে’, ‘মেরা গাঁও মেরা দেশ’, ‘ইমতিহান’, ‘ইনকার’, ‘অমর আকবর এ্যান্থনি’, ‘ লহু কে দো রং’-এর মতো সিনেমা দিয়ে ধীরে ধীরে উঠে আসেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। কেরিয়ারের শীর্ষে থাকা অবস্থাতেই ১৯৮২ সালে তিনি অভিনয় থেকে বিরতি নেন। ওই সময় তিনি ধর্মগুরু ওশো রজনীশ-এর আশ্রমে পাঁচবছর থাকেন। এরপর আবারও ফিরে আসেন অভিনয়ে। তখন তিনি অভিনয় করেন ‘ইনসাফ’ এবং ‘সত্যমেব জয়তু’র মতো সুপারহিট সিনেমায়। কেবল অভিনয়েই নয়, রাজনীতিতেও নিজের শক্তিশালী অবস্থান গড়তে সক্ষম হয়েছিলেন বিনোদ খান্না। ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির হয়ে পাঞ্জাবের গুরুদাসপুর থেকে নির্বাচিত সদস্য হিসেবে লোকসভায় প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। তবে রাজনৈতিক ব্যস্ততার মধ্যেও সিনেমায় অভিনয় বন্ধ করেননি তিনি। কেরিয়ারের শেষ বছরগুলোতে ‘দাবাং’, ‘দাবাং টু’ এবং ‘প্লেয়ার্স’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। তার অভিনীত সর্বশেষ সিনেমা ‘দিলওয়ালে’ মুক্তি পেয়েছিল ২০১৫ সালে। ‘দিলওয়ালে’র পর থেকেই বিনোদ খান্নার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে শুরু করে। ব্যক্তি জীবনে দুইবার বিয়ে করেছিলেন বিনোদ খান্না। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর দুই সন্তান অক্ষয় এবং রাহুল খান্না হিন্দী সিনেমার অভিনেতা। এ ছাড়াও তার রয়েছে সাক্ষী নামের একটি ছেলে এবং শ্রদ্ধা নামের এক মেয়ে। জীবদ্দশায় পার্শ্বচরিত্রে সেরা অভিনয়ের জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে তাকে ফিল্মফেয়ার ও জি সিনে এ্যাওয়ার্ড-এর তরফ থেকে ভূষিত করা হয় আজীবন সম্মাননায়।
×