ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

যানজট, দুর্ভোগ

মাল্টিপ্ল্যান সিটির সামনে গার্মেন্টস শ্রমিক বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ

প্রকাশিত: ০৬:০০, ২৮ এপ্রিল ২০১৭

মাল্টিপ্ল্যান সিটির সামনে গার্মেন্টস শ্রমিক বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘বিনা নোটিশে’ কারখানা স্থানান্তরের প্রতিবাদে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এলিফ্যান্ট রোড মাল্টিপ্ল্যান সিটির সামনের চার ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে শ্রমিকরা। এ সময় সায়েন্স ল্যাবরেটরি-বাটা সিগন্যাল অংশে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। এতে মিরপুর রোডে ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হয়। এতে শিক্ষার্থীরা, অফিসগামী ও ব্যবসায়ীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। যানজটে আটকে পড়ে অনেকে হেঁটে কর্মস্থলে যেতে দেখা যায়। পরে পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। রমনার এডিসি নাবিদ কামাল শৈবাল জানান, বিজিএমইএর কাছ থেকে জানলাম, তারা মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। পরে দুপুরে মালিকপক্ষের সঙ্গে শ্রমিকদের সমঝোতায় দুপুরে শ্রমিকরা সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন। এরপর আস্তে আস্তে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। নিউমার্কেট থানার ওসি আতিকুর রহমান জানান, দুপুরে মালিকপক্ষের লোকজন এলে দুইপক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়। তাদের মধ্যে কথাবার্তা হয়েছে। পরে দুপুর ২টার দিকে শ্রমিকরা রাস্তা ছেড়ে দিয়েছে। কারখানা স্থানান্তরকে কেন্দ্র করে অসন্তোষের কারণেই শ্রমিকরা সড়কে নেমেছিল বলে ওসি জানান। সকালে সড়কে অবরোধ শুরুর পর আন্দোলতে শ্রমিকরা জানান, মাল্টিপ্ল্যান সিটির বিপরীতে আলিফ গ্রুপের হেক্সা গার্মেন্টসের অফিস। তারা দীর্ঘদিন ধরে গার্মেন্টসটিতে কাজ করেন। অনেকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল গার্মেন্টস বন্ধ করে দেয়া হবে। এ নিয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা আমাদের আশ্বাস দেন। কিন্তু হঠাৎ কোন নোটিশ ছাড়াই ও আমাদের পাওনা না দিয়ে বেআইনীভাবে গার্মেন্টস বন্ধ করে দিয়েছে। বিনা নোটিসে এলিফ্যান্ট রোড থেকে গোপনে গার্মেন্ট কারখানাটি সরিয়ে আদাবরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সে সময় আন্দোলনরত শ্রমিকদের মুখপাত্র হেক্সা গার্মেন্টসের অপারেটর সোমা জানান, আমাদের সবাইকে না জানিয়ে গত রাতে কারখানা থেকে মেশিন-যন্ত্রপাতি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। বিনা নোটিশে কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা কাজ হারিয়ে পথে বসে গেছি। এ বছরের জানুয়ারি থেকে বেতন বৃদ্ধির কথা থাকলেও উল্টো গার্মেন্টস মালিক বেতন-বোনাস ও ওভারটাইমের টাকা না দিয়ে গার্মেন্টস বন্ধ করে দিল। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সড়ক ছাড়বেন না। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানান, নিয়মানুযায়ী প্রত্যেক শ্রমিককে তিন মাসের বেতন ও দুই ঈদ বোনাস পরিশোধ করতে হবে। উপযুক্ত আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত তারা পথ ছাড়বেন না।
×