ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শক্তিশালী দল গড়ল মোহামেডান

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ২৮ এপ্রিল ২০১৭

শক্তিশালী দল গড়ল মোহামেডান

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ফুটবলের দলবদল শুরু হয়েছে সেই কবে (এপ্রিলের শুরু থেকেই) অথচ এর আনুষ্ঠানিকতা প্রথমবারের মতো দেখা গেল গতকাল। বৃহস্পতিবার ঢাক-ঢোল পিটিয়ে আসন্ন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের জন্য দলবদলের আনুষ্ঠানিকতা সারতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ভবনে আসে ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড এবং শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র লিমিটেড। তাদের আগমনেই অবশেষে দলবদলের পালে লাগলো হাওয়া। ক্লাবদের আনাগোনায় সরগরম বাফুফে ভবন। গত মৌসুমে অল্পের জন্য রেলিগেশনে পড়েনি ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ১২ দলের মধ্যে হয়েছিল দশম। যা তাদের লীগ ইতিহাসে সর্বকালের সর্বনিকৃষ্ট ফল। এবার অবশ্য দারুণ শক্তিশালী দলই গড়েছে ‘ব্ল্যাক এ্যান্ড হোয়াইট’রা। দলের ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম বাবুর ভাষ্যমতে মোহামেডানের এবারের দলটি শক্তিধরই। এর আগে বেশ কয়েক মৌসুমে খেলোয়াড়দের টাকা-পয়সা নিয়ে ঝামেলার কারণে বাজে ফল করেছে সাদা-কালোরা। তবে এবার আর সেই শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন বাবু। চুক্তির শুরুতেই ফুটবলারদের বেশিরভাগেরই চুক্তির পুরো টাকা পরিশোধ করে দেয়া হয়েছে বলে দাবি তার। মোহামেডানের খেলোয়াড়রা হলেনÑ গোলরক্ষক : রাসেল মাহমুদ লিটন, মামুন খান এবং আল-আমিন; রক্ষণভাগ : আসাদুজ্জামান বাবলু, মিন্টু শেখ, রেজাউল করিম রেজা, এসএম মঞ্জুরুর রহমান, মোহাম্মদ লিংকন, আব্দুল বাতেন কোমল মজুমদার, খান শরীফ, মোহাম্মদ জামাল, নাসিরুল ইসলাম, শাহেদ হোসেন, আশিক আহমেদ, মোহাম্মদ মনির, আবিদ হোসেন সাঈফ এবং ইবাইদ হোসেন কোমল; মধ্যমাঠ : ফয়সাল মাহমুদ, এনামুল হক শরীফ, শাকিল আহমেদ, এসএম ইমরুল হাসান এবং অনীক হোসেন; আক্রমণভাগ : জাহিদ হাসান এমিলি, মিঠুন চৌধুরী, তকলিস আহমেদ এবং বিপুল আহমেদ। দু’জন বিদেশী ফুটবলারও রেজিস্ট্রেশন করিয়েছে ১২ বারের লীগ চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান। একজন নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড এনকোচা কিংসলে চিগুজি এবং অন্যজন নাইজিরিয়ান মিডফিল্ডার স্যামসন ইলিয়াসু। ঘরোয়া ফুটবলে ঐতিহ্যবাহী ঢাকা আবাহনী এবং মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের পর আলোড়ন সৃষ্টিকারী ক্লাবের মধ্যে অন্যতম ছিল শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র। ২০১২-১৩ মৌসুমে ট্রেবল জিতে ইতিহাস গড়েছিল। তবে গত মৌসুমে বড় বাজেটের দল গড়েও পেশাদার লীগে কাক্সিক্ষত ফল পায়নি তারা। বরং একটা পর্যায়ে অবনমিত হওয়ার শঙ্কায় পেয়ে বসেছিল। সেই ধাক্কা এখনও পুরোপুরি কাটেনি তাদের। ফলে কাগজে-কলমে এবার তাদের দলটি অনেকের দৃষ্টিতেই তেমন আহামরি হয়নি। তবে এবারের মৌসুমে প্রিমিয়ার লীগে রাসেল ভাল করবে বলেই মনে করেন ক্লাবের নতুন কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক। অভিজ্ঞ ও তরুণ ফুটবলারদের সঙ্গে দলের বিদেশী খেলোয়াড়রা জ্বলে উঠলে ২০১২-১৩ মৌসুমের পর আবারও শিরোপা জয়ে আশাবাদী তিনি। গত কয়েক মৌসুম ধরে শিরোপা রেসে নেই শেখ রাসেল। বিস্ময়কর হলেও সত্য প্রায় দশ কোটি টাকার দল গড়েও পেশাদার লীগে সর্বশেষ মৌসুমটা শেখ রাসেল শেষ করেছে অষ্টম স্থানে থেকে। এমন অবস্থায় নতুন মৌসুমকে সামনে রেখে দল গুছিয়েছে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। দলে আছেন বিপ্লব ভট্টাচার্য, তপু বর্মনের মতো অভিজ্ঞরা। এছাড়া রাসেলের বিদেশী সংগ্রহটাও বেশ ভাল। রয়েছেন দাউদা ইব্রাহিম, যিনি গত মৌসুমে রহমতগঞ্জের হয়ে দুর্দান্ত পারফর্মেন্স করেছিলেন। সঙ্গে আছেন মিসরীয় আহমেদ ও এলিটা জুনিয়র। সবমিলিয়ে শক্তিশালী না হলেও এবারের দল নিয়ে সন্তুষ্ট কোচ মানিক। মানিক মনে করেন এবার ঝলকটা দেখাবে স্থানীয় ফুটবলাররাই, ‘সব থেকে বড় কথা এবার কিন্তু লড়াইটা স্থানীয় ফুটবলারদের মধ্যেই হবে। কারণ বিদেশী কম হওয়ায় এবার মাঠে থাকবে ৯ স্থানীয় ফুটবলার। গতবার যেমন বিদেশীরা পার্থক্য গড়ে দিয়েছিল এবার স্থানীয় ফুটবলাররা পার্থক্য গড়ে দেবে।’ শেখ রাসেল : গোলরক্ষক- বিপ্লব ভট্টাচার্য, জিয়াউর রহমান ও মাকসুদুর রহমান; রক্ষণভাগ- আতিকুর রহমান মিশু, খালেকুর জামান, সোহেল রানা, বিশ্বনাথ ঘোষ, রাশেদুল আলম মনি, অরুপ কুমার বৈদ্য, ফরহাদুজ্জামান বাবু, উত্তম কুমার বনিক; মধ্যমাঠ-মোনায়েম খান রাজু, শাহেদুল আলম শাহেদ, ফজলে রাব্বী, সবুজ বিশ্বাস, আলমগীর কবির রানা, কাউসার রাব্বী, মোবারক হোসেন ভুঁইয়া, রাসেল মিয়া, ফরোয়ার্ড- রুমন হোসেন, মোঃ জুলফিকার, মেহবুব হাসান নয়ন, আমিনুর রহমান।
×