ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আয়ারল্যান্ড সফর ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি

ইংল্যান্ডে চমক দেখানোর প্রত্যাশা মাশরাফিদের

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ২৮ এপ্রিল ২০১৭

ইংল্যান্ডে চমক দেখানোর প্রত্যাশা মাশরাফিদের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আয়ারল্যান্ড সফর ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে নামার আগে ইংল্যান্ডের সাসেক্সে নয়দিনের প্রস্তুতি ক্যাম্প করবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। এজন্য বুধবার গভীর রাতে সাসেক্সের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন দলের ক্রিকেটাররা। ক্রিকেটারদের আশা চ্যালেঞ্জ জেতার। সেটি যেমন কন্ডিশন চ্যালেঞ্জ জেতা, ঠিক তেমনি বিরূপ কন্ডিশনে ভাল খেলার চ্যালেঞ্জ জেতার আশাও আছে। সাসেক্সে যাওয়ার আগে টেস্ট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহীমই যেমন বলেছেন, ‘কয়েকদিন আগে আমরা শ্রীলঙ্কায় সিরিজ খেলে এসেছি। ওখানকার ভাল পারফর্মেন্স আমাদের আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে। এই দুইটা সিরিজ আমাদের কাজে আসবে।’ বাঁহাতি ওপেনার সৌম্য সরকার বলেন, ‘দলে সুযোগ যখন পাই, বরাবরই আমার চেষ্টা থাকে নিজেকে উজাড় করে দেয়ার। হয়তো আমি সফল হই, কখনও ব্যর্থ হই। তবে এই সুযোগটা আমি কাজে লাগাতে চাই। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বিগ ইভেন্ট। এখানে ফোকাসটা বেশি থাকে। সুতরাং আমার চেষ্টাটা থাকবে ভাল কিছু করার।’ দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা অলরাউন্ডার নাসির হোসেন বলেন, ‘অনেকদিন পর টিমে ফিরছি। ভাল কিছু করার চেষ্টা থাকবে। এটা আমাকে অনুপ্রাণিত করছে। একাদশে সুযোগ পেলে ব্যাটিং-বোলিংয়ে নিজের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা থাকবে।’ এবারই প্রথমবার ইংল্যান্ড গেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। নিজের লক্ষ্য জানিয়ে মিরাজ বলেন, ‘এবারই প্রথম ইংল্যান্ডে যাচ্ছি। সেখানে আমার সামর্থ্যরে সেরাটা দেয়ার লক্ষ্য। আমার প্রস্তুতিটাও ভাল হয়েছে। ওখানে ১০ দিনের যে কন্ডিশনিং ক্যাম্প, সেটা আমাদের জন্য কাজে আসবে।’ পেসার রুবেল হোসেনের লক্ষ্য, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে হবে ত্রিদেশীয় সিরিজ। আমার প্রথম লক্ষ্য হলো ত্রিদেশীয় সিরিজ, পরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। যখন যেখানে সুযোগ পাব, সেখানেই আমি উজাড় করে দিব।’ পেসার তাসকিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের আত্মবিশ্বাস আছে। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, ইংল্যান্ড সফরে ভাল কিছু করা সম্ভব হবে। দলের খেলোয়াড়রা বেশ আত্মবিশ্বাসী।’ শুরুতে সাসেক্সে প্রস্তুতি ক্যাম্প করবে মাশরাফিরা। সাসেক্সে গিয়ে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল। ১ মে ডিউক অব নোরফলকের বিপক্ষে এবং ৫ মে সাসেক্স কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর আয়ারল্যান্ডে চলে যাবে দল। সেখানে গিয়ে তিনজাতি সিরিজ খেলবে। আয়ারল্যান্ডে ৭ মে গিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে। ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশ ছাড়াও স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড খেলবে। ১২ ও ১৯ মে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এবং ১৭ ও ২৪ মে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে মাশরাফিবাহিনী। ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষে ২৫ মে ইংল্যান্ডে রওনা হবে বাংলাদেশ দল। সেখানে গিয়ে শুরুতে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। ২৭ মে পাকিস্তানের বিপক্ষে ও ৩০ মে ভারতের বিপক্ষে। এরপর ১ জুন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মিশন শুরু করবে বাংলাদেশ দল। ৫ জুন অস্ট্রেলিয়া এবং ৯ জুন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। আপাতত এ সূচী। যদি বাংলাদেশ সেমিফাইনালে উঠতে পারে তাহলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আরও ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে। সেই সেমিফাইনালে ওঠার স্বপ্ন নিয়েই দেশ ছেড়েছে দলের ক্রিকেটাররা। বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেছিলেন, ‘আমরা যদি মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে পারি, শুরুর দিকে ভাল করতে পারি তাহলে বলা যায় না, অনেক কিছুই হতে পারে। তবে আমরা এমন একটা গ্রুপে যেখান থেকে আসলেই আগে বলা যায় না, আমরা কতদূর যাব বা কি করব।’ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আবার বাংলাদেশের যে কোন অর্জনই বড় প্রাপ্তি হবে বলে মনে করছেন প্রধান কোচ চন্দ্রিকা হাতুরাসিংহে। তিনি ইএসপিএন ক্রিকইনফোতে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন, ‘ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে খেলে আমরা অভ্যস্ত নই। অবশ্যই চ্যালেঞ্জের সামনে পড়তে হবে আমাদের। তার ওপর আমরা বিশ্বের তিন সেরা দলের মুখোমুখি হচ্ছি। তাদের বিপক্ষে খেলার আগে আমি কোন ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারি না। তবে এতটুকু বলতে পারি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের যে কোন অর্জনই হবে বড় প্রাপ্তি।’
×