ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েই মন্দিরের জমির মালিকানা দাবি

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ২৮ এপ্রিল ২০১৭

আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েই মন্দিরের জমির মালিকানা দাবি

নিজস্ব সংবাদদাতা, মানিকগঞ্জ, ২৭ এপ্রিল ॥ জেলা আওয়ামী লীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবদুর রহিম খানের বিরুদ্ধে মন্দিরের জায়গা দখল করে ভবণ নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার মানিকগঞ্জ প্রেসকাক্লাবের সামনে এই অভিযোগে শিবালয় শীলপাড়া সার্বজনীন মন্দির কমিটির ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে শীল সম্প্রদায়ের নারী-পুরষ। শিবালয় উপজেলার শীলপাড়া সার্বজনীন মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা প্রমথ চন্দ্র শীল জানান, গত ত্রিশ বছর আগে শিবালয় উপজেলার আরিচা ঘাটের শীল সম্প্রদায়ের পাড়ার কাছে এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হয়। আক্কাস মিয়া নামের এক ব্যক্তি তার ১৬০ শতাংশ জমির মধ্যে ৩০ শতাংশ জমি মন্দিরের নামে দান করেন। কিন্তু তার মৃত্যুর কারণে ওই জমি তিনি মন্দিরের নামে রেজিস্ট্রি করে যেতে পারেননি। তবে ৩০ বছর ধরে মন্দিরে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন পূজা হয়ে আসছে। সরকারীভাবে মন্দিরের নামে বিভিন্ন সময় অনুদানও দেয়া হয়েছে। মন্দিরের নামেই বিদ্যুত সংযোগ রয়েছে। সম্প্রতি রহিম খান ওই জমি তার দাবি করে একটি ভবণ নির্মাণ করছেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন নির্মাণাধীন ওই ভবনের কিছু অংশ সড়ক ও জনপদ বিভাগের জমির ওপর পড়েছে। এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপদ বিভাগ রহিম খানকে নোটিশও দিয়েছে। কিন্তু তারপরও ভবণ নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে। প্রমথ চন্দ্র শীল জানান, আবদুর রহিম খান সাবেক শিবালয় উপজেলা চেয়ারম্যান। কিছুদিন আগেও তিনি জেলা জাকের পার্টির সভাপতি ছিলেন। তখন তিনি কোন সমস্যা করেননি। সম্প্রতি তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। যোগ দিয়েই জেলা কমিটির অর্থবিষয়ক সম্পাদকের পদটি বাগিয়ে নিয়েছেন বিশেষ কায়দায়। আর এরপরই তিনি মন্দিরের জমি দখল শুরু করেন। তবে রহিম খান জমি দখলের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন ওই জমি ক্রয় সূত্রে মালিক হয়েছেন। কাগজপত্র দেখলেই এর প্রমাণ পাওয়া যাবে। তিনি আরও অভিযোগ করেন মন্দির কমিটির সভাপতি প্রমথ চন্দ্র শীল ব্যক্তি স্বার্থে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা আওয়ামী লীগের কয়েক নেতাকর্মী জানান একাধিক লঞ্চ, সিএনজি স্টেশনসহ বিভিন্ন ব্যবসায় জড়িত রহিম খান জেলার অন্যতম ধনী ব্যক্তি। মন্দিরের ওই বিতর্কিত জমি না কিনলেও পারতেন। তার ভূমিকার জন্য এখন দলেরও বদনাম হচ্ছে। তারা প্রশ্ন রাখেন আওয়ামী লীগে যোগ দেয়ার পরই কেন সে ওই জমির মালিকানা দাবি করছেন। আগে কেন করেননি।
×