ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আইপিও নিয়মে পরিবর্তন

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ২৮ এপ্রিল ২০১৭

আইপিও নিয়মে পরিবর্তন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শেয়ারবাজার থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) প্রক্রিয়ায় মূলধন সংগ্রহ করতে চাইলে কোন কোম্পানিকে ফিক্সড প্রাইসে বা নির্ধারিত মূল্যে কমপক্ষে ৩০ কোটি টাকা এবং বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ন্যূনতম ৫০ কোটি টাকা মূলধন তুলতে হবে। বৃহস্পতিবার বিএসইসির ৬০৩ নম্বর কমিশন সভায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস, ২০১৫’র সংশোধনী অনুমোদন দেয়া হয়। জনমত জরিপের জন্য সংশোধনীটি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশ করা হবে। বিএসইসির মূখপাত্র মোঃ সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সংশোধনীতে বলা হয়েছে, ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে কোন কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে চাইলে এর ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন ১৫ কোটি টাকা হতে হবে এবং শেয়ারবাজারে কমপক্ষে ৩০ কোটি টাকার শেয়ার ছাড়তে হবে। একইভাবে বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে তালিকাভুক্ত হতে চাইলে কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ন্যূনতম ৩০ কোটি টাকা এবং কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকার শেয়ার ছাড়তে হবে। বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে যোগ্য বিনিয়োগকারীরা (ইলিজিবল ইনভেস্টর) তাদের জন্য নির্ধারিত কোটার সর্বোচ্চ ২ শতাংশ পরিমাণ শেয়ার বা সিকিউরিটিজ প্রাপ্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। এছাড়া বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে বিডিংয়ে সকল যোগ্য বিনিয়োগকারীর আবেদনের পরিমাণের ভিত্তিতে আনুপাতিক হারে তারা সিকিউরিটিজ বরাদ্দ পাবে। কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলেন, পারস্পরিক যোগসাজশে বুকবিল্ডিং প্রক্রিয়ায় শেয়ার নির্ধারণের সুযোগ বন্ধ করতে যতটা কঠোর হওয়া প্রয়োজন ততটাই কঠোর হবে বিএসইসি। বিদ্যমান আইনের দুর্বলতা পরিহারের পাশাপাশি ভবিষ্যতে যাতে কেউ আইনের দুর্বলতাকে ব্যবহার করতে না পারে, সে ব্যবস্থা থাকবে নতুন সংশোধনে। আইনটি পুনরায় সংশোধনের আগে আর কোন কোম্পানিকে বুকবিল্ডিং প্রক্রিয়ায় মূলধন সংগ্রহের অনুমতি না দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়টি আবারও নিশ্চিত করেছেন কমিশন কর্মকর্তারা। বিদ্যমান আইনে কোন কোম্পানিকে আইপিও প্রক্রিয়ায় কমপক্ষে ১৫ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহের শর্ত রয়েছে। এ ক্ষেত্রে অভিহিত মূল্য ১০ টাকা দরে আইপিওতে আসা কোম্পানিকে কমপক্ষে দেড় কোটি শেয়ার বিক্রি করতে হয়। তবে বুকবিল্ডিং প্রক্রিয়ায় কোন কোম্পানির প্রিমিয়ামসহ শেয়ারদর (কাট-অব-প্রাইস) বেশি নির্ধারিত হলে, যাতে দেড় কোটির কম শেয়ার ইস্যুর প্রয়োজন হতে পারে, এমন ক্ষেত্রে আইপিওটি বাতিলের বিধান রয়েছে। কর্মকর্তারা জানান, নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী কমপক্ষে ৩০ কোটি টাকার মূলধন (পরিশোধিত মূলধন হিসাবে) বা তিন কোটি শেয়ার ইস্যুর বাধ্যবাধকতা আরোপ হলে অতিরিক্ত প্রিমিয়াম নির্ধারণের সুযোগ বন্ধ হবে। বিশেষত যেসব কোম্পানি এরই মধ্যে তাদের মূলধন উত্তোলনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, তারা বেকায়দায় পড়তে পারে। এসব কোম্পানি তাদের মূলধন উত্তোলনের লক্ষ্য পুনর্নির্ধারণ না করে এ প্রক্রিয়ায় এলে কাক্সিক্ষত প্রিমিয়াম পাওয়ার সুযোগ থাকবে না। সংশোধনীতে কোম্পানির স্পন্সর, ডিরেক্টর এবং ১০ শতাংশের অধিক ধারণকৃত শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ার ৩ বছরের জন্য লক-ইন থাকবে। আর অন্যান্য শেয়ারহোল্ডারদের ধারণকৃত শেয়ারের ওপর এক বছরের লক-ইন থাকবে। আগে ৫ শতাংশের অধিক ধারণকৃত শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ার ৩ বছরের জন্য লক-ইন ছিল।
×