ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আমতলীতে বিদ্যালয় ভবনের ছাদের পলেস্তার ধ্বসে আহত ১০

প্রকাশিত: ০০:৫৭, ২৭ এপ্রিল ২০১৭

আমতলীতে বিদ্যালয় ভবনের ছাদের পলেস্তার ধ্বসে   আহত ১০

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী , বরগুনা ॥ বরগুনার আমতলী উপজেলার পুর্ব কলাগাছিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনের ছাদের পলেস্তার ধ্বসে ১০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সালে এলজিইডি ৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে উপজেলার পূর্ব কলাগাছিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ করে। পাঁচ বছর যেতে না যেতেই ভবনের ওয়াল, ফ্লোরে ফাটল ধরে এবং ছাদের পলেস্তার ধ্বসে পরতে থাকে। গত দুই বছর ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ওই ভবনে ক্লাস করে আসছে। গত ২৩ এপ্রিল প্রথম সাময়িক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার ছিল বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা। জরাজীর্ণ ভবনের কাজী নজরুল ইসলাম কক্ষে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেনীর ৪০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছিল। দুপুর সারে ১২ টার সময় ভবনের ওই কক্ষের ছাদের পলেস্তার ধ্বসে পরীক্ষার্থীদের গায়ে পরে। এতে ওই কক্ষের পরীক্ষার্থী সুজন মৃধা, সাগর, ফারজানা, মিজানুর, মারিয়া, ফাতেমা, সজিব, রায়হান, সোনামনি ও কুলসুম আহত হয়। আহতদেরকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পরে ওই ভবনে পরীক্ষা নেয়া বন্ধ করে মাঠে পরীক্ষা নেয়া হয়। এ খবর পেয়ে আমতলী উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার সাগরিকা রাহা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বিদ্যালয়ের আহত শিক্ষার্থী ফারজানা, মিজানুর ও সাগর বলেন ওই কক্ষে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছু সময় পরে হঠাৎ করে ছাদের পলেস্তার ধ্বসে আমাদের গায়ে পরে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আনোয়ার হোসেন মুঠোফোনে বলেন গত দুই বছর ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই ভবনে ক্লাস করে আসছি। বৃহস্পতিবার পরীক্ষা চলাকালিন সময়ে ভবনের পলেস্তার ধ্বসে পরে তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্র সুজন মৃধার মাথা ফেটে যায় এবং সহকারী শিক্ষক মাকসুদা ও শিক্ষার্থীদের গায়ে পরে ১০ জন আহত হয়। আহতদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন ভবনের এ অবস্থা বহুবার উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েছি কিন্তু এ বিষয়ে তিনি কোন কর্ণপাত করেনি। উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার সাগরিকা রাহা বলেন খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ওই বিদ্যালয়ের ভবনটি ছিল জরাজীর্ণ। ক্লাস ও পরীক্ষা নেয়ার উপযুক্ত ভবনটি নেই। আমতলী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ জাহিদ হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন বিদ্যালয় ভবন মেরামতের জন্য ১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। শীর্ঘই মেরামতের কাজ শুরু হবে।
×