ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রত্যেক উপজেলা নির্বাচন অফিসে এনআইডি সার্ভার

১৮ বছর হলেই যে কোন সময় স্মার্ট কার্ডের জন্য আবেদন করা যাবে

প্রকাশিত: ০৬:৫৫, ২৭ এপ্রিল ২০১৭

১৮ বছর হলেই যে কোন সময় স্মার্ট কার্ডের জন্য আবেদন করা যাবে

সমুদ্র হক ॥ যাদের বয়স ১৮ বছর হয়েছে এবং অতিক্রম করেছে তারা এখন বছরের যে কোন সময়ে নিজেদের উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে নির্দিষ্ট ফর্মে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি কার্ড) জন্য সরাসরি আবেদন করতে পারবেন। প্রায় সকল উপজেলা নির্বাচন অফিসে ইলেকশন কমিশনের সার্ভার স্থাপিত হয়েছে। সেখানেই স্মার্ট এনআইডির জন্য ছবি তোলার পর দ্রত বিতরণ করা হবে। বগুড়া জেলার সকল উপজেলা নির্বাচন অফিসে সার্ভার স্থাপিত হয়েছে। স্মার্ট এনআইডি কার্ডে বিশেষ ধরনের চিপসে সকল তথ্য এনআইডি নম্বর ও ভোটার নম্বর উল্লেখ থাকছে। এদিকে অনেক উপজেলা নির্বাচন অফিসে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধিত হয়ে আছে। যা গ্রাহকরা উত্তোলন করছেন না। যেমন বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসে গত দুই বছরে যেসব জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য জমা দেয়া হয় তা সংশোধিত হয়ে আসার পরও গ্রাহকগণ তুলছেন না। এই সংখ্যা দুই হাজারেরও বেশি। এমন অবস্থা কম বেশি সকল উপজেলা নির্বাচন অফিসেই। নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায় এ বছরের মধ্যে দেশের প্রতিটি জেলা এবং উপজেলায় স্মার্ট এনআইডি কার্ড বিতরণ শুরু হবে। ওই সময়ে প্রত্যেক ভোটারের দশ আঙ্গুলের ছাপ এবং আইরিশ (চোখের মণির ডিজিটাল ছবি) দিতে হবে। স্মার্ট এনআইডি নেয়ার সময় পূর্বের এনআইডি জমা দিতে হবে। যাদের এনআইডি কার্ড সংশোধিত হয়ে এসেছে তারা এই কার্ড উত্তোলন না করলে স্মার্ট এনআইডি কার্ড উত্তোলন করতে পারবেন না। কারণ, স্মার্টকার্ড নেয়ার সময় পূর্বের এনআইডি কার্ড আগে জমা দিতে হবে। যাদের এনআইডি কার্ডে নাম, মা-বাবার নাম, বয়স, ঠিকানা ইত্যাদি ভুল আছে তারা সংশোধন করে নিতে পারেন। এ জন্য প্রতিটি উপজেলা নির্বাচন অফিসে নির্বাচন কমিশনের একটি নির্দিষ্ট ফর্মে প্রথমে আবেদন করতে হবে। এ সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। সংশোধন হওয়ার পর তা উপজেলা নির্বাচন অফিসের সার্ভারের কম্পিউটারে আসবে। তা জেনে সেই কার্ড উত্তোলনের জন্য সোনালী ব্যাংকে নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ নির্বাচন কমিশনের অনুকূলে জমা দেয়ার পর ওই জমা স্লিপসহ আবেদন করতে হবে। তারপর নতুন কার্ড পাওয়া যাবে। যাদের এনআইডি কার্ড হারিয়ে গেছে তাদের থানায় জিডি করার পর সোনালী ব্যাংকে নির্দিষ্ট অর্থ জমা দিয়ে জমা স্লিপসহ আলাদা ফর্ম পূরণ করতে হবে। তারপর এনআইডি কার্ড পাওয়া যাবে। এই কার্ড জমা দিলে স্মার্টকার্ড পাওয়া যাবে। সূত্র জানায়, যাদের পূর্বের এনআইডি কার্ড রয়েছে তারাও স্মার্ট এনআইডি কার্ড পাবেন। স্মার্ট এনআইডিতে বিশেষ ধরনের চিপস সংযুক্ত করা আছে। আগামীতে প্রয়োজনীয় সকল কাজে স্মার্ট এনআইডি কার্ড দরকার হবে। গত দুই-তিন বছরে দেশের প্রতিটি এলাকায় জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করার পর যাদের ছবি তোলা হয়েছে তাদের স্মার্ট এনআইডি বিতরণ শুরু হয়েছে। রাজধানী ঢাকার পরে গত মাসে রাজশাহী বিভাগীয় শহরে স্মার্ট এনআইডি বিতরণ শুরু হয়। শীঘ্রই প্রতিটি বিভাগীয় শহরে স্মার্ট এনআইডি বিতরণ শুরু হবে। এর আগে এনআইডি কার্ডের জন্য যাদের তথ্য সংগ্রহ করে ছবি তোলা হয়েছে তাদের বয়স ১৮ বছর হওয়ার পর আপনা আপনি এনআইডিতে ভোটার নম্বর যুক্ত হবে। বগুড়া নির্বাচন অফিস সূত্র জানায় এ বছর জুন মাসের পরে বগুড়ার সকল উপজেলায় স্মার্টকার্ড বিতরণ শুরু করার কথা। এ জন্য যে লোকবল দরকার অস্থায়ী ভিত্তিতে সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। বিশেষ করে যারা এর আগে ডাটা এন্ট্রি ও এনআইডির ছবি তোলার জন্য অস্থায়ী নিয়োগ পেয়েছিলেন তাদের ডাকা হতে পারে। যারা ডাটা এন্ট্রি, ছবি তোলায় পারদর্শী এবং অভিজ্ঞ তাদের এবার নেয়া হবে। যাতে দ্রুততম সময়ে প্রতিটি স্মার্ট এনআইডি কার্ড বিতরণ করা যায়। ঢাকায় ক্যাম্প করে বিতরণের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে সুশৃঙ্খলভাবে স্মার্ট এনআইডি কার্ড বিতরণ সম্ভব। এলাকা ও ওয়ার্ডভিত্তিক ক্রমানুসারে আলাদা কক্ষ থাকবে। এনআইডি গ্রাহক বা ভোটারগণ সারিবদ্ধভাবে কক্ষের সামনে যাবেন।
×