ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কানিজ ফাতেমা অনিষা

নাম তার সিটিং সার্ভিস

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ২৭ এপ্রিল ২০১৭

নাম তার সিটিং সার্ভিস

কিছুদিন আগের ঘটনা। তড়িঘড়ি করে একটি বাসে উঠলাম ‘সিটিং সার্ভিস।’ ভাগ্যক্রমে বাসে উঠবার পর বসার কোন জায়গা পাওয়া গেল না। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে অবশেষে একটি সিট পেলাম। বাসের কন্ডাক্টর খুবই চতুর ছিল। ভাড়া তোলার সময় দরজাটা বন্ধ করে দিল। ভাড়া তোলা শেষ হওয়ার পর দরজা খুলে দিল। এটা একটা কৌশল। দরজা খোলা থাকলে বাসের যাত্রীরা হৈচৈ করে ভাড়া কম দেয়ার বৃথা চেষ্টা করে। তাদের ক্ষোভ থেকে মুক্তি পাওয়ার ওটা একটা পন্থা। সিটিং সার্ভিস বন্ধ হওয়ার দুর্ভোগ অনেকেরই আবার অনেকে বন্ধর পক্ষপাতী। ‘সিটিং সার্ভিস’-এর সুফল কুফল দুটোই আছে। সুফল হলো এই- যাদের প্রাইভেট কার নেই বা সিএনজিতে অনেকগুলো টাকা খরচ করে যাওয়ার সামর্থ্য নেই তারা পাঁচ মিনিট আগে হলেও নিজেদের গন্তব্য স্থলে গিয়ে পৌঁছতে পারে এই মহামূল্যবান বস্তুটার মাধ্যমে। আর কুফল হলো এই যে, নাম তার সিটিং সার্ভিস কিন্তু কাজে মোটেও নয়। অধিকাংশ যাত্রীকেই সিটের অভাবে দাঁড়িয়ে যেতে হয়। তবে ভাড়া কিন্তু পুরোটাই দিতে হয়। কারণ, ভাড়া তোলার সময় কন্ডাাক্টর এক কৌশলীপন্থা অবলম্বন করে যা প্রথমেই বলেছি। সুবিবেচক হিসেবে এতটুকুই পরামর্শ যে সরকার সিটিং সার্ভিস তুলে না দিয়ে এমন একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করুক যাতে করে বাসে সিটের অতিরিক্ত যাত্রী তোলা না হয়। এ ছাড়া যথাযথ ভাড়া নির্ধারণও জরুরি। ঢাকা থেকে
×