ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

যুদ্ধাপরাধী বিচার

পটুয়াখালীর ৫ রাজাকারের বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য শেষ, সাক্ষ্য ২ মে

প্রকাশিত: ০৬:০১, ২৭ এপ্রিল ২০১৭

পটুয়াখালীর ৫ রাজাকারের বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য শেষ, সাক্ষ্য ২ মে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে পটুয়াখালীর ইসহাক সিকদারসহ ৫ রাজাকারের বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য শেষ করেছেন প্রসিকিউশন পক্ষ। সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২ মে দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে যশোরের রাজাকার সিদ্দিকুর রহমান গাজীকে কেরানীগঞ্জ কারাগারের কনফারেন্স রুমে ৭ মে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত হবিগঞ্জের দুই রাজাকার লাখাই থানা রাজাকার কমান্ডার মোঃ লিয়াকত আলী ও আলবদর কমান্ডার আমিনুল ইসলাম ওরফে রজব আলীর বিরুদ্ধে ৬ষ্ঠ সাক্ষী সুনীল চন্দ্র দাশ জবানবন্দী প্রদান করেছেন। জবানবন্দীতে সাক্ষী বলেন, রাজাকার ও পাকিস্তানী আর্মিরা আমাদের কৃষ্ণপুরসহ চারটি গ্রামে হামলা চালিয়ে ৮৬ জনকে হত্যা করে। এছাড়া আরও অনেককে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় শহীদদের স্মরণে কৃষ্ণপুর কমলামযী উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়। ঐ স্মৃতিস্তম্ভে ১২৭ জনের মধ্যে চিহ্নিত ৪৫ জনের নাম উল্লেখ আছে। সাক্ষীর জবানবন্দী শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবী তাকে জেরা করেন। পরবর্তী সাক্ষীর জন্য ১৬ জুন দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। বিচারপতি মোঃ শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে দুই সদস্য বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ বুধবার এ আদেশ প্রদান করেছেন। প্রসিকিউশন পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম, প্রসিকিউটর রানা দাশ গুপ্ত, প্রসিকিউটর রিজিয়া সুলতানা বেগম চমন, প্রসিকিউটর আবুল কালাম প্রমুখ। আসামি পক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার পালোয়ান ও সালাম খান। পটুয়াখালীর ৬ রাজাকার একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে পটুয়াখালীর ইসহাক সিকদারসহ ৫ রাজাকারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্য শেষ হয়েছে। সাক্ষীর জবানবন্দীর জন্য ২ মে দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে ২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনাল এই ৫ রাজাকারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেফতারকৃত রাজাকাররা হলেন পটুয়াখালী সদর থানার আসামিরা হলেন ইসহাক সিকদার, আব্দুল গণি হাওলাদার, আব্দুল আওয়াল ওরফে মৌলবী আওয়াল, আব্দুস সাত্তার প্যাদা ও সুলাইমান মৃধা। উল্লেখ্য, আসামিদের বিরুদ্ধে একাত্তরে হত্যা ও ১৭ জনকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে এখনও ৮ জন বিরঙ্গনা জীবিত আছেন। সিদ্দিকুর রহমান যশোরের মনিরামপুর থানার রাজাকার কমান্ডার সিদ্দিকুর রহমান গাজীকে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। তাকে কেরানীগঞ্জ কারাগারের কনফারেন্স রুমে ৭ মে দিন নির্ধারণ করেছে ট্রাইব্যুনাল। প্রসিকিউশন সূত্রে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধের সময় সিদ্দিকুর রহমান মনিরামপুর রাজাকার বাহিনীর সাব-কমান্ডার ছিলেন। সে সময় মনিরামপুর থানার ৩ নম্বর ইউনিয়নে হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অন্যান্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। হবিগঞ্জের দুই রাজাকার মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত হবিগঞ্জের দুই রাজাকার লাখাই থানা রাজাকার কমান্ডার মোঃ লিয়াকত আলী ও আলবদর কমান্ডার আমিনুল ইসলাস ওরফে রজব আলীর বিরুদ্ধে ৬ষ্ঠ সাক্ষী সুনীল চন্দ্র দাশ জবানবন্দী প্রদান করেছেন। জবানবন্দীতে সাক্ষী বলেন, আমার নাম সুনীল চন্দ্র দাস। আমার বর্তমান বয়স আনুমানিক ৭০ বছর। আমার ঠিকানা গ্রাম- গদাইনগর কৃষ্ণপুর, থানা- লাখাই, জেলা- হবিগঞ্জ। আমি ১৯৬৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর থানার নাসিরনগর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেছি। বর্তমানে আমি অবসর জীবন যাপন করছি। ইতোপূর্বে আমি কৃষিকাজ ও মাছের ব্যবসা করতাম। একাত্তরের আমার বয়স ছিল আনুমানিক ২৩/২৪ বছর। সাক্ষী জবানবন্দীতে আরও বলেন, ১৯৭১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ভোর আনুমানিক ৫টা সাড়ে ৫টার দিকে নৌকা ও স্পিড যোগে আমাদের গ্রামে রাজাকার ও পাকিস্তানী আর্মিরা আসে। রাজাকার ও পাকিস্তানী আর্মিরা আমাদের গ্রাম কৃষ্ণপুরসহ চারটি গ্রামে হামালা চালিয়ে ৮৬ জনকে হত্যা করে। এছাড়াও আরও অনেককে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় শহীদদের স্মরণে কৃষ্ণপুর কমলামযী উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়। ঐ স্মৃতিস্তম্ভে ১২৭ জনের মধ্যে চিহ্নিত ৪৫ জনের নাম উল্লেখ আছে। স্থাপনা নির্মাণে গণপূর্তের সক্ষমতা বেড়েছে ॥ ইঞ্জিঃ মোশাররফ স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে গণপূর্ত অধিদফতরের সক্ষমতা আগের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। বুধবার গণপূর্ত অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত দেশব্যাপী বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে গণপূর্ত অধিদফতরের সক্ষমতা আগের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন উচ্চ ভবন নির্মাণ করছে এ অধিদফতর। চট্টগ্রামে ৪০ তলা করভবন এবং ঢাকায় ৩০ তলা করভবনের নির্মাণ কাজ চলছে। মন্ত্রী বলেন, সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ একটি ভবনের প্রাণ। সুন্দর ভবন নির্মাণ করার পর সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে তা স্থায়িত্ব ও সৌন্দর্য হারায়। তাই এ বিষয়ে প্রকৌশলীদের আন্তরিক হতে হবে। রক্ষণাবেক্ষণ খাতে যে অর্থ বরাদ্দ দেয়া আছে তার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, ভবন নির্মাণকালে বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহারের ক্ষেত্রেও প্রকৌশলীদের সচেতন হতে হবে। নির্মাণ কাজের জন্য নির্বাচিত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাজ যথাযথভাবে তদারকি না করলে ভবনের গুণগতমান বজায় রাখা সম্ভব হয় না। এ বিষয়ে তিনি প্রকৌশলীদের গুরুত্ব প্রদানের তাগিদ দেন।
×