ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহী অঞ্চলে ৬শ’ কোটি টাকার আম বিক্রির আশা

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ২৭ এপ্রিল ২০১৭

রাজশাহী অঞ্চলে ৬শ’ কোটি টাকার আম বিক্রির আশা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ মাসখানেক পর রাজশাহীর বাজারে উঠবে গ্রীষ্মকালীন সুস্বাদু ফল আম ও লিচু। এজন্য পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত বাগান মালিকরা। কালবৈশাখী ঝড় ও পোকার আক্রমণে আম ও লিচুর অনেক গুটি নষ্ট হলেও আশানুরূপ লাভের আশা করছেন তারা। ফল গবেষকরা বলছেন, রাজশাহী অঞ্চলের মৌসুমে প্রায় ৬শ’ কোটি টাকার আম ও বিশ কোটি টাকার লিচু বিক্রি হতে পারে। প্রায় দেড় হাজার আম ও লিচুর বাগান আছে রাজশাহী অঞ্চলে। ল্যাংড়া, ফজলি, গোপালভোগ, ক্ষীরশাপাত, হিমসাগরসহ আড়াই শ’ জাতের আমের পাশাপাশি দেশী ও বোম্বাই জাতের লিচুর উৎপাদন হয় এখানে। ক’দিন আগেও যে বাগানগুলোতে শোভা ছড়াচ্ছিল স্বর্ণালী মুকুল এখন তা দানা বেঁধেছে সবুজ গুটিতে। বাগান মালিকদের নিরলস পরিশ্রমে থোকায় থোকায় ঝুলে থাকা গুটি পর্যায়ক্রমে পরিপূর্ণ আকার ধারণ করছে। তারা বলছেন, আর মাসখানেক পরই বাজারে উঠতে শুরু করবে গ্রীষ্মকালীন সুস্বাদু মৌসুমি এই ফল দুটি। চাহিদা থাকায় দেশের গ-ি পেরিয়ে বিদেশেও রফতানি হচ্ছে এখানকার আম। কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘যে পরিমাণ আম আছে এখনও আশা আছে লাভ হবে।’ সম্প্রতি কালবৈশাখী ঝড় ও পোকার আক্রমণে আম ও লিচুর অনেক গুটি ঝরে পড়ায় কিছুটা চিন্তিত বাগান মালিকরা। তবে বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে না পড়লে এবারও আশানুরূপ লাভের হাতছানি দেখছেন তারা। কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘যদি আবহাওয়া শেষ পর্যন্ত ভাল থাকে তবে আমের ভাল ফলন হবে। আম এবং লিচু না পড়ে যায়, এ জন্যে পানি সেচ দিচ্ছি। কাঠবিড়ালী, বাদুড় যাতে নষ্ট না করতে পারে এ জন্যে জালের ব্যবস্থা করা হবে।’ এই মৌসুমে আম ও লিচুর কেনাবেচা পাঁচ শ’ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন ফল গবেষণার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা। ফল গবেষণা কেন্দ্র রাজশাহীর জ্যৈষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলিম উদ্দিন বলেন, ‘ভাল মানের ও ভাল জাতের আম ও লিচু পাওয়া যায় তবে কৃষকেরা আবাদ করতে পারেন।
×