ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সনদ ছাড়া ইউরোপে সবজি ও ফলমূল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ২৭ এপ্রিল ২০১৭

সনদ ছাড়া ইউরোপে সবজি ও ফলমূল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চুক্তিভিত্তিক ও স্বাস্থ্যসম্মত চাষাবাদের সনদ ছাড়া ইউরোপে সবজি ও ফলমূল রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি রফতানি হওয়া একাধিক সবজির চালানে পোকামাকড় পাওয়ার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা এড়াতে এই নির্দেশনা জারি করা হয়। এতে ইউরোপে সবজি রফতানি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, দেশের সুনাম রক্ষা ও আগামীতে রফতানি বাড়াতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তবে রফতানির বাজার ধরে রাখতে, যেসব সবজিতে পোকামাকড় পাওয়ার অভিযোগ আসেনি সেগুলোর স্বাস্থ্য সনদ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রফতানিকারকরা। ক্ষতিকর পোকামাকড় বেশি থাকায় বেগুন, করলা, পটোল, কাঁকরোল সব শাকসহ আট ধরনের সবজি ও ফলমূল ইউরোপের বাজারে রফতানিতে সরকার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এক বছর আগে। এরপরেও কিছু অসাধু রফতানিকারক কৃষি বিভাগের স্বাস্থ্য সনদ সার্টিফিকেট ছাড়াই নিষিদ্ধ সবজিও ইউরোপে রফতানি করছিল। এর মধ্যে বেশ কিছু চালানে রোগবালাই ধরা পড়ায়, কিছু চালান ফেরত পাঠায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এ প্রেক্ষাপটে গত ৬ এপ্রিল শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গ নিরোধ শাখা রফতানিকারকদের চিঠি দিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকরের কথা জানায়। রফতানিকারকদের দাবি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ৮টি সবজি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করলেও চুক্তিভিক্তিক চাষাবাদ বাধ্যতামূলক করেনি, কিন্তু সরকার সব সবজি চুক্তিভিত্তিক চাষাবাদ বাধ্যতামূলক করায় রফতানি একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় ইউরোপের বাজার ধরে রাখতে, ঝুঁকিপূর্ণ ছাড়া বাকি সব সবজি ও ফলমূলের স্বাস্থ্য সনদ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রফতানিকারকরা। বর্তমানে বছরে প্রায় এক হাজার ২শ’ কোটি টাকার সবজি রফতানি করে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ সবজি ও ফলমূল রফতানি হতো ইউরোপে। নানা জটিলতায় স্থবির নাকুগাঁও স্থলবন্দর অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ নানা জটিলতায় স্থবির হয়ে পড়েছে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও স্থলবন্দর। ভারত থেকে পাথর আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে আগেই। আগামী জুনে বন্ধ হতে যাচ্ছে কয়লা আমদানিও। এ অবস্থায় মূল্যহীন হয়ে পড়ছে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত স্থলবন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন। আর রাজস্ব আয় কমে গেছে ৯০ ভাগ। প্রায় ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে অবকাঠামো নির্মাণের পর ২০১৫ সালের ১৮ জুন শেরপুরের নাকুগাঁও স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ স্থল বন্দর হিসেবে ঘোষণা করা হয়। অনুমোদন দেয়া হয় ভারত থেকে ১৯টি পণ্য আমদানির। তবে শুরু থেকে কয়লা ও পাথর আমদানিতে ঝুঁকে পড়েন ব্যবসায়ীরা। সম্প্রতি পরিবেশবাদী একটি সংগঠনের মামলার প্রেক্ষিতে আগামী জুন থেকে কয়লা উত্তোলন ও রফতানি নিষিদ্ধ করেছে ভারতের একটি আদালত। আর পাথর আমদানি বন্ধ হয়েছে আগেই। এতে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন আমদানিকারক, ব্যবসায়ী ও বন্দর শ্রমিকরা। শ্রমিকরা বলেন, ‘কয়লা কিছু আসছে কিন্তু মাসখানেক পর কয়লা আসা বন্ধ হয়ে যাবে। তখন আমাদের কি করে চলবে।’ তারা আরও বলেন, ‘আমাদের চলাফেরার কষ্ট হয়ে গেছে। না খেয়ে মরার মতো অবস্থা আমাদের।’
×