ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৭’ মালিক-শ্রমিক স্বার্থবিরোধী

প্রকাশিত: ০১:৪১, ২৬ এপ্রিল ২০১৭

‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৭’ মালিক-শ্রমিক স্বার্থবিরোধী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৭’ মালিক-শ্রমিকদের স্বার্থবিরোধী হয়েছে বলে মনে করে বাংলাদেশ মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। সকল অসঙ্গতি দূর করে আইনটি চূড়ান্ত করার দাবি জানিয়েছেন পরিষদের নেতারা। বুধবার সড়ক পরিবহন আইন-২০১৭ ও সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসকল্পে মালিক শ্রমিক প্রতিনিধি সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। রাজধানীর কাজী বশির মিলনায়তনে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দেশের সকল জেলা ও উপজেলা মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ঐক্য পরিষদের সভাপতি খন্দকার এনায়েত উল্যাহ। বক্তব্য রাখেন, নৌ-পরিবহন মন্ত্রী ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি শাজাহান খান, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী ও সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির কার্যকরী সভাপতি মশিউর রহমান রাঙা, ফারুক তালুকদার সোহেল প্রমুখ। বৈঠকে পরিবহন সেক্টরে অবৈধ চাঁদা আদায় বন্ধে কেন্দ্রীয়ভাবে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। এই কমিটি প্রতি জেলা-উপজেলায় টার্মিনাল কেন্দ্রীক গাড়ি প্রতি যৌক্তিক চাঁদা নির্ধারণ করবে। যেন নির্ধারীত চাঁদার বেশি কেউ আদায় করতে না পারে। বৈঠকে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৭ শ্রমিক বিরোধী উল্লেখ করে আইনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তনের দাবি জানান মালিক ও শ্রমিক নেতারা। তারা বলেন, এককথায় বললে পুরো আইনটিতে শ্রমিকদের স্বার্থ সংরক্ষণ করা হয়নি। ইচ্ছেমত শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছে। কিছু মানুষের চাপের মুখে সরকার নতি স্বীকার করেছে এমন অভিযোগ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা চাইবো সরকার শ্রমিকদের উপলব্দির কথা বুঝবে। তাদের কষ্টের কথা বিবেচনায় নিয়ে আইনটি চূড়ান্ত করার আগে অনেক কিছু সংশোধন করবে। অন্যথায় এটি একটি কালো আইন হিসেবে বিবেচিত হবে। আইনের অনেক ধারা অসামাঞ্জস্য দাবি করে নেতৃবৃন্দ বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে ২৫ হাজার থেকে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদ-ের বিধান রাখা হয়েছে। যা কোন ভাবেই যৌক্তিক নয়। তারা বলেন, আইনের বিভিন্ন ধারা সংস্কার চেয়ে দেশের সকল জেলা উপজেলায় স্থানীয় প্রশাসন সহ জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে ২০ মে মধ্যে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্বারকলিপি দেয়া হবে। প্রতিটি জেলা-উপজেলার মালিক ও শ্রমিক নেতারা জেলা প্রশাসন, ইউএনও, এসপি থেকে শুরু করে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের সঙ্গে আইনের বিভিন্ন ধারা নিয়ে বৈঠক করবেন। এ ব্যাপারে জনমত গড়ে তোলা হবে। প্রয়োজনে সংবাদ সম্মেলন করে আইনের অসঙ্গতি তুলে ধরা হবে। এছাড়া কেন্দ্রীয়ভাবে পরিবহন মালিক শ্রমিকরা সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় সহ আইন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে নতুন সড়ক পরিবহন আইন নিয়ে আলোচনা করবেন। সেইসঙ্গে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সকল জেলায় শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণেরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। স্থানীয় মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×