ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

টলিপাড়ার পাঁচ নায়িকার হবু বর

প্রকাশিত: ১৯:৫৮, ২৬ এপ্রিল ২০১৭

টলিপাড়ার পাঁচ নায়িকার হবু বর

অনলাইন ডেস্ক ॥ বর গায়ে-পড়া হোক, পছন্দ নয় কারও। কারও ভাবনাতে বিয়ে এখনও শিকেয়। কারও কাছে বর মানেই রূপকথার রাজপুত্তুর । রাইমা সেন প্রেম : আপাতত সিঙ্গল। শোনা যায়, প্রেম ছিল ব্যবসায়ীর সঙ্গে। বিয়ে : সময়ের ব্যাপার। সময় হলে নিশ্চয়ই জানতে পারবেন। কেমন বর : সুন্দর কথা বলা, শিক্ষিত পরিবারের বর চাই। বিয়েতে পরিবারের বিষয়টা ভাবতে হবে। ছেলেদের গ্রুমিং ওখান থেকেই হয়। বিশেষ করে কথা বলা, ম্যানার্স সব ওখান থেকেই আসে। আর বড় পরিবার থেকে এলে আমাদের মতো অভিনেত্রীকে বুঝতে পারবে। দিন-রাতের শিডিউলটা বুঝতেও সেই পুরুষের কোনও অসুবিধে হবে না। ‘‘আমি কোনও দিনই গুড লুকিং বা ‘চকোলেট বয়’ পছন্দ করি না। তবে হি মাস্ট বি সেক্সি!’’ পায়েল সরকার প্রেম : ছিল নাকি মুম্বইয়ের পরিচালকের সঙ্গে প্রেম। কখনও শোনা যায়, এক প্রযোজকের কথাও। তিনি অবশ্য নিজেকে সিঙ্গল বলছেন। বিয়ে : বিয়ে করার কোনও ইচ্ছে নেই। কেমন বর : বরের ক্ষেত্রে যে যা-ই ভাবুক বাস্তবে তা মেলে না। ‘‘আমাদের বাবা-মায়ের জেনারেশনে বিয়ে নিয়ে যে ভাবে ভাবা হতো, এখন তা নেই। এখন বরকে সঙ্গী হিসেবে দেখা হয়। বোঝাপড়া থাকতে হবে। আমায় যেন বুঝতে পারে সে।’’ বিয়েটা অনেকটাই ভাগ্যের ব্যাপার, যা লেখা আছে তা-ই হবে। ‘‘এখন বর বলতে রণবীর কপূরকে মনে হয়। টু হট! টু গুড!’’ পাওলি দাম প্রেম : গুয়াহাটির ব্যবসায়ী অর্জুন দেবের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম। হাজার ব্যস্ততার মাঝেও দু’জনেই কলকাতা-গুয়াহাটির ঝটিতি সফর সেরে ফেলেন। ‘‘একসঙ্গে গান শোনা, ছবি দেখা আর দারুণ সব রেস্তোরাঁয় বিভিন্ন দেশের খাবার খাওয়াই আমাদের প্রেম, আমাদের শখ।’’ বিয়ে : বিয়ে তো হবেই, কিন্তু কবে এখনও জানেন না। এ বছর কি তার পরের বছর, সেটাও বলতে পারলেন না বা বলতে চাইলেন না। কেমন বর : সে হবে রূপকথার রাজপুত্র। সিনড্রেলার ‘প্রিন্স চার্মিং’। রূপকথার মতো ঝলমলে সুন্দর কথা বলবে। ‘‘কোনও পুরুষ খুব ভাল ইংরেজি বললে আমি চট করে আকৃষ্ট হই,’’ লাজুক গলায় বললেন পাওলি। টাকা পয়সা যাবে-আসবে। টাকার চেয়ে তার শিক্ষা, ব্যক্তিত্ব, খারাপ দিনে আগলে রাখার ক্ষমতাই আসল। দেখাটাই সব নয়, মানুষটাকে ভাল হতে হবে। এমন এক খোলা মনের মানুষ, যার সঙ্গে মারামারিও যেন করা যায়। মারামারি ভালবাসার জন্য, স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরি। মিমি চক্রবর্তী প্রেম : রাজ চক্রবর্তীর পর শোনা গিয়েছিল এক বিদেশির প্রেমে পড়েছেন তিনি। কিন্তু এখন জোর গলায় বললেন, ‘‘লিখবেন, আমি হ্যাপিলি সিঙ্গল।’’ কাজ ছাড়া এ সব প্রেমটেম এখন একদম নয়। বিয়ে : ‘‘প্লিজ, কাজ করতে দিন না। পাঁচ-ছ’বছর বিয়ে শব্দটা ডিকশনারি থেকে বাদ রাখছি।’’ কেমন বর : সবচেয়ে আগে ভাল মানুষ। সেটা হলে আর সব কিছু মানিয়ে নেওয়া যায়। খারাপ মানুষ হলেই সন্দেহ করবে। হিংসে করবে। কাজ করতে দেবে না। স্বাধীনতা দেবে না। বিয়েতে বিশ্বাসটাই আসল। ‘‘ভাল দেখা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না। আমার পাশে যেই দাঁড়াক না কেন, তাকে কেউ দেখবে না। আমাকেই সবাই দেখবে। আর টাকাপয়সার ক্ষেত্রেও আমি যথেষ্ট সাস্টেনেবল। সিভি দেখে তো কেউ প্রেম বা বিয়ে করে না। জাস্ট হয়ে যায়!’’ সোহিনী সরকার প্রেম : আপাতত প্রেম নেই। কোনও এক সাংবাদিকের সঙ্গে প্রেমের কথা শোনা গিয়েছিল। কিন্তু এখন একা! ‘‘কর্পূরের মতো উবে যাচ্ছে প্রেম। প্রেমের জন্য উচাটন নেই, অপেক্ষা নেই। মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে, আমি বেঁচে আছি তো!’’ বন্ধুরা অনেকেই ডাবল থেকে সিঙ্গল হয়েছে। সেই খুশিতে নিজেও সিঙ্গল। বিয়ে : বিয়ে তো ভবিষ্যতের কথা। আর ভবিষ্যৎ না জানাই ভাল। বিয়ের সুন্দর দিকের কথা ভাবলে বিয়ে করতে ইচ্ছে হয়। কিন্তু একঘেয়েমির কথা ভাবলে অস্থির লাগে। বিয়েটাকে ‘বিবাহ ডায়েরিজ’-এর মধ্যেই রাখতে চান। কেমন বর : ভূতের রাজাকে বর হিসেবে পছন্দ। মজা করে বললেন, ‘‘বরকে মহাপুরুষ হতে হবে। যাতে রোজ পছন্দ বদলানো ‘আমি’-কে সে অ্যাকসেপ্ট করতে পারে। অভিনেত্রীর মতো আমি মানুষটাও ভার্সেটাইল।’’ গায়ে পড়া চলবে না। দূরে দূরে থাকাই ভাল। কোনও শো-অফ যেন না থাকে। জানবে অনেক, কিন্তু কখনও জাহির করবে না। বিশেষ কোনও মুহূর্তে তা হঠাৎ প্রকাশ পাক। নিজেরটা নিজে চালিয়ে নিতে পারলেই হল। হিরের আংটি কিনে দিতে হবে না। দেখতে হবে জলের মতো স্বচ্ছ। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×