ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নুক্যাম্পে মাঠে নামছে ফুরফুরে বার্সিলোনা

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ২৬ এপ্রিল ২০১৭

নুক্যাম্পে মাঠে নামছে ফুরফুরে বার্সিলোনা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এল ক্লাসিকোয় দারুণ এক জয় দিয়ে লা লিগার পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ফিরেছে বার্সিলোনা। দারুণ এই সুখকর তৃপ্তি সঙ্গী করেই আজ রাতে ফের মাঠে নামছে কাতালানরা। ন্যুক্যাম্পে ফুরফুরে বার্সার সামনে ওসাসুনা। অন্যদিকে বিধ্বস্ত রিয়াল মাদ্রিদও মাঠে নামছে আজ রাতে। জয়ে ফেরার লক্ষ্যে এ্যাওয়ে ম্যাচে গ্যালাক্টিকোদের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক ডিপোর্টিভো লা করুনা। অপর দুই ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে লেগানেস-লাস পালমাস ও ভ্যালেন্সিয়া-রিয়াল সোসিয়েদাদ। আসলে এক ম্যাচেই বদলে গেছে চলমান লা লিগার সব সমীকরণ। এক ম্যাচ হাতে রেখে তিন পয়েন্টে এগিয়েছিল রিয়াল। কিন্তু এল ক্লাসিকোয় ঘরের মাঠে রিয়াল ৩-২ গোলে হেরে যাওয়ায় লীগ শিরোপাটা ভালই জমে উঠেছে। বর্তমানে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে বার্সা। তবে রিয়ালের হাতে এখনও এক ম্যাচ বাড়তি আছে। পা না হড়কালে রিয়ালকে হটানোর সাধ্য নেই কাতালানদের। কিন্তু রিয়ালের সামনে এখন অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ। লীগে রিয়ালের যে ছয়টি ম্যাচ বাকি, এর চারটিই প্রতিপক্ষের মাঠে। তিনটি দল নিয়ে নিশ্চিত করেই চাপে থাকবে ‘লস ব্লাঙ্কো’রা। কারণ নিজেদের মাঠে এই তিন দলই বার্সিলোনাকে হারিয়েছে। এবার যে তারা রিয়ালকে হারিয়ে বার্সাকে শিরোপা উপহার দেবে না সে কথা কে বলবে। এর মাঝে ডিপোর্টিভোর সঙ্গে ঘরের মাঠের ড্রটাও এসেছিল শেষ ৮ মিনিটের মারিয়ানো-রামোস ঝলকে। লালকার্ড দেখায় আজ ডিপোর্টিভোর বিরুদ্ধে ম্যাচে রামোস থাকবেন না। পেপে আর ভারানের চোট আরও দুর্বল করে রাখছে রিয়ালের রক্ষণভাগ। ঘরের মাঠে যে দুই ম্যাচ খেলবে রিয়াল সে দুটিতেও প্রতিপক্ষ ভ্যালেন্সিয়া ও সেভিয়া। বার্সার কাছে হারের আগে লা লিগায় শুধু এই দুই প্রতিপক্ষের কাছেই হেরেছে রিয়াল। সরাসরি লালকার্ড হওয়ায় ভ্যালেন্সিয়ার বিরুদ্ধেও না থাকতে পারেন রামোস, দুই ম্যাচ যদি নিষিদ্ধ হন। চোট ও নিষেধাজ্ঞা মিলিয়ে কোচ জিনেদিন জিদানের হাতে এখন মাত্র একজন সেন্ট্রাল ব্যাক আছে। আগামী দুই ম্যাচ দল সাজানো নিয়েই ঝামেলায় পড়বেন জিদান। জিদানের ভাবনা এখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না। দল চ্যাম্পিয়ন্স লীগের সেমিফাইনালে, যেখানে প্রতিপক্ষ এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। আগের একপেশে মাদ্রিদ ডার্বির পরিসংখ্যান দিয়াগো সিমিওনের হাত ধরে যারা বদলে দিয়েছে। জিদানকে তার একাদশও ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলাতে হবে যেন ক্লান্তি না পেয়ে বসে। আরও একটা চোট না সর্বনাশ ডেকে আনে। এমন অবস্থায় রিয়াল পা হড়কালেই কাজ সোজা হয়ে যাবে বার্সার। রিয়ালের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ে এই জয়ে এগিয়ে গেছে বার্সা। লা লিগার নিয়ম হলো শীর্ষে থাকা দু’দলের পয়েন্ট সমান হলে মুখোমুখি লড়াইয়ের হিসাবটাই দেখা হয়। এবার লীগে ঘরের মাঠে ড্র আর রিয়ালের মাঠে জিতেছে বার্সা। বার্সার বাঁক পাঁচ ম্যাচের মধ্যে আজ ওসাসুনার বিরুদ্ধে লড়বে। বাকি চার প্রতিপক্ষ হচ্ছে এস্পানিওল, ভিয়ারিয়াল, লাস পালমাস ও এইবার। এর মাঝে প্রতিপক্ষের মাঠে গিয়ে খেলতে হবে এস্পানিওল ও লাস পালমাসের সঙ্গে। লীগে এই দুই দলের সঙ্গেই নিজেদের মাঠে জিতেছে বার্সা। তবে গতবার এস্পানিওলের মাঠে ড্র করেছিল বার্সা। আর লীগে লাস পালমাসের অবস্থান ১৩তে থাকলেও এই দলটি কিন্তু রিয়ালের সঙ্গে দুই ম্যাচেই ড্র করেছে। নিজেদের মাঠেও এই মৌসুমে লীগে শুধু দুই ম্যাচে হেরেছে ক্যানারি দ্বীপের এই দল। এমন অবস্থায় আজ রাতের ম্যাচ বার্সা-রিয়াল দু’দলের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
×