ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কিশোরীগঞ্জে ৫ সেতু নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ২৬ এপ্রিল ২০১৭

কিশোরীগঞ্জে ৫ সেতু নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ মূল ঠিকাদার কেউ কাজ করছে না। সব কাজ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করা হয়েছে। টেন্ডারের নিয়ম ভঙ্গ করে সাব ঠিকাদার কর্তৃক নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ত্রাণ অধিদফতরের অধীনে নির্মাণাধীন ৫ সেতু নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম করা হচ্ছে। ফলে ওই সব সেতুর স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগে জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ত্রাণ অধিদফতরের আওতায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে গ্রামীণ সড়কে সেতু নির্মাণে ওই উপজেলায় ৫টি সেতু নির্মাণে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এক কোটি ৮৮ লাখ ৫ হাজার ৬৮ টাকা। নির্মাণাধীন সেতুগুলো হলো উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি নান্নুর বাজার হতে সিপাই ডাঙ্গার ভাঙ্গা সেতু নির্মাণ ৫০ ফুট, উত্তর দুরাকুটি কালা পাইকারের বাড়ি হতে নিতাই ইউপির সীমানা পর্যন্ত রাস্তায় কাল্টার মাল্লি নামক স্থানে সেতু নির্মাণ ৫০ ফুট, মাগুড়া ইউনিয়নের মাগুড়া দোলাপাড়া যাওয়ার রাস্তায় ভাটারপারে সেতু নির্মাণ ৫০ ফুট, মাগুড়া গড়ের পার নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে মথুর বাবুর বাড়ির রাস্তায় মাঝখানে সেতু নির্মাণ ৪০ ফুট ও রণচন্ডি ইউনিয়নের বাফলা নতুন বাজার হতে কবিরাজের বাজার যাওয়ার রাস্তায় বাফলার দোলায় সেতু নির্মাণ ৩০ ফুট। এসব সেতু নির্মাণ ঠিকাদারদের কার্যাদেশ প্রদান করা হয় চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি। সেতুগুলোর নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করার দিন বেঁধে দেয়া হয় ১৭ এপ্রিল। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে কোন সেতুর নির্মাণ কাজ এখন শেষ করা হয়নি। সূত্র জানায়, দরপত্রের শর্তাবলী অনুযায়ী কাজ শুরুর পূর্বে প্রকল্প স্থানে সঠিক সাইনবোর্ড স্থাপন, আর সিসি ঢালাই কাজে নতুন স্টিল সুটার ব্যবহার, (কোন অবস্থাতেই পুরাতন স্টিল সুটার ব্যবহার করা যাবে না), কোন ঠিকাদার কাজ হস্তান্তর করতে পারবে না। কাজ অন্য কারও কাছে হস্তান্তর করলে ঠিকাদারি চুক্তি বাতিল বলে গণ্য হবে। কিন্তু উল্লিখিত শর্তাবলী কোনটাই মানা হচ্ছে না। মাগুড়া ইউনিয়নের গড়েরপাড় মুথুর বাবুর বাড়ির রাস্তার মাঝখানে ৪০ ফুট সেতু নির্মাণে বরাদ্দ দেয়া হয় ৩২ লাখ ৫২ হাজার ৬৫৩ টাকা। টেন্ডারের মাধ্যমে কাজটি পায় নীলফামারী নিউ বাবু পাড়ার ঠিকাদার মোঃ রজব আলী আহম্মেদ। অভিযোগ মতে মূল ঠিকাদারের নিকট কাজটি ফেরদৌস ইসলাম নামের জনৈক ব্যক্তি ৫ লাখ টাকা নিয়ে কাজটি ক্রয় করে নেন। রণচন্ডি ইউনিয়নের বাফলার দোলায় ৩০ ফুট সেতু নির্মাণে বরাদ্দ দেয়া হয় ২৪ লাখ ৬৮ হাজার ৯১৫ টাকা। টেন্ডারের মাধ্যমে ওই সেতু নির্মাণের কাজ পায় পঞ্চগড়ের ঠিকাদার নজরুল ইসলাম। এই ঠিকাদারও কাজটি ৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন ওই ফেরদৌসের কাছে। উত্তর দুরাকুটি সিপাই ডাঙ্গার ভাঙ্গায় ৫০ ফুট সেতু নির্মাণে বরাদ্দ দেয়া হয় ৪০ লাখ ৯৪ হাজার ৫০০ টাকা। টেন্ডারের মাধ্যমে কাজটি পায় নীলফামারী ধনীপাড়ার ঠিকাদার সাজেদুজ্জামান সবুজ। এই কাজটি করছে ফেরদৌস। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোফাখখারুল ইসলামের সঙ্গে কথা বললে তিনি সাংবাদিকদের এ বিষয়ে কোন কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।
×