ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

হাওর অঞ্চলের সব ধরনের ঋণ মওকুফ করার দাবি সিপিবি’র

প্রকাশিত: ০১:৫৪, ২৫ এপ্রিল ২০১৭

হাওর অঞ্চলের সব ধরনের ঋণ মওকুফ করার দাবি সিপিবি’র

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হওর অঞ্চলে সব ধরনের ঋণ মওকুফের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়েছে। সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ বিবৃতিতে বলেন, হাওর অঞ্চলে সব ধরনের ঋণ মওকুফ করতে হবে। এছাড়া কৃষিঋণ আদায় বন্ধের যে সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছে, তা ইতিবাচক হলেও ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের কাছে মোটেও যথেষ্ট নয়। অবিলম্বে দুর্গত এলাকায় সকল প্রকার কৃষিঋণ, এনজিওঋণ, মহাজনী ঋণ মওকুফ করতে হবে। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, হাওরের দুর্গত কৃষক-ক্ষেতমজুরসহ সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছে। খাবার না থাকায় গবাদিপশু নামমাত্র দামে বিক্রি করে দিতে হচ্ছে। পানি বিষাক্ত হয়ে মাছ মরে যাচ্ছে। ধান, মাছ, গবাদিপশু হারিয়ে হাওরবাসী আজ নিঃস্ব হয়ে গেছে। এই অবস্থায় ২৪ লাখ পরিবারের মধ্যে মাত্র ৩ লাখ ৩০ হাজার পরিবারের জন্য সহায়তা দেয়ার সরকারী ঘোষণা হাওরবাসীর সঙ্গে নির্মম রসিকতা ছাড়া আর কিছুই নয়। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, অবিলম্বে হাওর অঞ্চলকে ‘দুর্গত এলাকা’ ঘোষণা করতে হবে। হাওরসহ সকল জলমহালের ইজারা বাতিল করে জনসাধারণের মাছ ধরার জন্য উন্মুক্ত ঘোষণা করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে নতুন করে সুদমুক্ত ঋণ দিতে হবে, একইসঙ্গে শস্য-বীমা চালু করতে হবে। মানুষের দুর্দশার সুযোগ নিয়ে স্বার্থান্বেষী মহল যাতে মহাজনী কারবার করার সুযোগ না পায়, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। দুর্দশাগ্রস্থ কৃষকদের জিম্মি করে জমি কেনাবেচা (ডিস্ট্রেস সেইল) ও দাদন ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। মার্চের শেষ দিকে অতিবৃষ্টি ও পহাড়ি ঢলে পুরো হাওর অঞ্চলজুড়ে কৃষকদের দুর্দশা নেমে আসে। চোখের সামনে তলিয়ে যেতে থাকে ফসলের জমি। অনেক চেষ্টা করেও বাঁধ রক্ষা করতে পারেননি স্থানীয় মানুষ। সর্বশেষ সুনামগঞ্জের সবকটি হাওর এখন পানির নীচে। এই প্রেক্ষাপটে মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, সিলেট, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, ব্রাক্ষণবাড়িয়া সহ সাত জেলার কৃষকরা দিশেহারা। দাবি ওঠেছে এসব জেলাকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার।
×