ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষকের নির্যাতনে শিক্ষার্থী আহত, হাসপাতালে

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ২৫ এপ্রিল ২০১৭

শিক্ষকের নির্যাতনে শিক্ষার্থী আহত, হাসপাতালে

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ চড়-থাপ্পড় ও লাথি মেরে ২ শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। এদের মধ্যে শিক্ষকের লাথিতে আহত শিক্ষার্থী নিশাদ আহমেদ নাঈম বমি করে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনা ঘটে সদর উপজেলায় হলোখানা খয়ের উল্ল্যাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাজমুল হাসান পরীক্ষা চলাকালীন কোলাহল করার অপরাধে এই কা- করেন। এখন চলছে আপোসরফার তোড়জোড়। ইতোমধ্যে নির্যাতিত ৩য় শ্রেণীর শিক্ষার্থী আঁখিতারার পরিবারের সঙ্গে আপোসরফা করে দিয়েছেন স্থানীয় মেম্বার রফিকুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক প্রদীপ কুমার রায় ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম। নির্যাতিত শিক্ষার্থীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলায় হলোখানা খয়ের উল্ল্যাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণীর মেয়ে শিক্ষার্থী আঁখিতারাকে রবিবার বিকেলে কোলাহল করার অপরাধে প্রথমে গালে থাপ্পড় দেন সহকারী শিক্ষক নাজমুল হাসান। এরপর চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী নিশাদ আহমেদ নাঈমকে বাংলা পরীক্ষা শেষে রুম থেকে হুড়োহুড়ি করে বের হওয়ার সময় বুকে লাথি দেন। এতে ছিটকে গাছের মধ্যে মাথা লেগে মুখ থুবড়ে পড়ে নাঈম। এরপর সে ঘটনাস্থলে বমি করে। একটু সুস্থ হলে তাকে অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাড়িতে পাঠানো হয়। বাড়িতে এসে আর একদফা বমি করলে সন্ধ্যার পর নাঈমকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিযুক্ত শিক্ষক নাজমুল হাসান শিক্ষার্থী আঁখিতারাকে চড়-থাপ্পড় মারার কথা স্বীকার করলেও নাঈমকে লাথিমারার কথা অস্বীকার করেন। তবে তিনি বলেন, পরীক্ষার সময় অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীরা অযাচিতভাবে বারান্দায় ভিড় করে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করায় তাদের সরাতে ধাওয়া দেই। এতে কেউ আহত হলেও হতে পারে। স্কুল চলাকালীন সময়ে এ সংক্রান্ত কোন অভিযোগ আসেনি। এখন যারা অভিযোগ করছেন-তা বানোয়াট, মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। মূলত স্কুলের নৈশপ্রহরী কাম দফতরি নিয়োগে স্থানীয় গ্রুপিংয়ের কারণে আমাকে বিপদে ফেলার ষড়যন্ত্র এটি।
×