ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পারিবারিক জীবন বিঘ্নিত করছে মোবাইল

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ২৫ এপ্রিল ২০১৭

পারিবারিক জীবন বিঘ্নিত করছে মোবাইল

বর্তমানে বাবা-মায়ের অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার পারিবারিক জীবনে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। সম্প্রতি ব্রিটেনে জরিপ সংগঠন ‘ডিজিটাল এ্যাওয়ারনেস ইউকে এ্যান্ড হেডমাস্টার্স-হেডমিস্ট্রেস’ পরিচালিত এক জরিপে এ চমৎকার তথ্য উঠে এসেছে। জরিপে অংশ নেয়া ২০০০ জন ১৮ বছর বয়সী যুবক-যুবতীর এক-তৃতীয়াংশের বেশি উল্লেখ করেছেন, তারা তাদের বাবা-মাকে মোবাইল হতে বিরত থাকতে বলেছেন। জরিপে আরও দেখা গেছে ১৪ শতাংশের মতে তাদের বাবা-মা খাবারের সময়ও মোবাইল ব্যবহার করেন। যদিও ৩ হাজার জন বাবা-মায়ের ওপর চালানো পৃথক একটি জরিপে এ কথা অস্বীকার করেছেন এর ৯৫ শতাংশ অংশগ্রহণকারী। জরিপে উঠে এসেছে ৮২ শতাংশ অংশগ্রহণকারী মনে করেন খাবারের সময়টা ডিভাইসহীন হওয়া উচিত। ২২ শতাংশ মনে করছেন মোবাইল ফোনের ব্যবহারে পরিবারে একে অপরের সঙ্গ উপভোগ করা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আর ৩৬ শতাংশ তাদের বাবা-মাকে মোবাইল ব্যবহার করতে মানা করেছেন। যেসব ব্যক্তি বাবা-মাকে ফোন ব্যবহারে বিরত থাকতে বলেছেন তাদের মধ্যে ৪৬ শতাংশ বলছেন, ৪৪ শতাংশ ক্ষেত্রে তারা যখন বিষণ্ন থাকেন বাবা-মা সেটা খেয়াল করে না এবং এড়িয়ে যান। এদিকে মাত্র ১০ শতাংশ বাবা-মা মনে করেন তাদের মোবাইল ব্যবহার সন্তানের জন্য চিন্তার বিষয় হতে পারে। আর ৪৩ শতাংশ মনে করেন নিজের সময়ের বেশিরভাগ সময় তারা অনলাইনের ব্যয় করেন। নতুন আরেক গবেষণায় দেখা গেছে ৭২ শতাংশ ছাত্র দিনে ১০ ঘণ্টা অনলাইনে থাকেন। আর ১১ শতাংশ ছুটির দিন এবং সপ্তাহের শেষে দিনে ১৫ ঘণ্টা অনলাইনে কাটান। এছাড়া তিন শতাংশ ছাত্র বলছেন ছুটির দিনে অনলাইনে কাটানো সময় ২০ ঘণ্টাও হতে পারে। সন্তান এত সময় অনলাইনে থাকলেও মাত্র ১০ শতাংশ বাবা-মাকে এ নিয়ে চিন্তিত থাকতে দেখা গেছে। এ বিষয়ে কেন্টের এ্যাশরড স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং এইচএমসির চেয়ারম্যান মাইক বুকানান বলেন, আমাদের জরিপে দেখা গেছে শিশুরা প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহারের ঝুঁকি বিষয়ে জানে। কিন্তু তাদের জীবনে প্রাপ্তবয়স্কদের দরকার যাতে তারা স্পষ্ট সীমানা বেঁধে দিতে পারে এবং বুদ্ধিমান আচরণের অনুকরণীয় মডেল হতে পারেন। -বিবিসি অবলম্বনে।
×