ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নেত্রকোনায় বন্যা দুর্গতদের জন ‘ওএমএস’র বরাদ্দ অপ্রতুল

প্রকাশিত: ২০:২৭, ২৩ এপ্রিল ২০১৭

নেত্রকোনায় বন্যা দুর্গতদের জন ‘ওএমএস’র বরাদ্দ অপ্রতুল

নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা ॥ অপ্রতুল বরাদ্দ ও ডিলারের সংখ্যা অতি কম থাকায় অকাল বন্যা দুর্গত হাওড়দ্বীপ খালিয়াজুরিতে ‘ওএমএস’ (খোলা বাজারে বিক্রি) এর মাধ্যমে চাল ও আটা বিক্রির চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। এ কারণে ওই উপজেলায় ওএমএস’র বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং ছয় ইউনিয়নের প্রত্যেক ওয়ার্ডে ডিলার নিয়োগের দাবি ওঠেছে। জানা গেছে, খালিয়াজুরি উপজেলার সদর ইউনিয়নে মাত্র তিনজন ওএমএস ডিলার গত ১৭ এপ্রিল থেকে খোলা বাজারে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল ও ১৭ টাকা কেজি দরে আটা বিক্রি করছেন। অন্য পাঁচটি ইউনিয়নে (মেন্দিপুর, চাকুয়া, নগর ও গাজীপুর) এখনও পর্যন্ত ওএমএস ডিলার নিয়োগ দেয়া হয়নি। ওই তিন জন ডিলারের প্রত্যেকে প্রতিদিন মাত্র এক মেট্রিক টন করে চাল ও এক মেট্রিক টন করে আটা বরাদ্দ পাচ্ছেন। তা দিয়ে সর্বোচ্চ এক হাজার মানুষের চাহিদা পূরণ করা যাচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, সাম্প্রতিক অকাল বন্যায় খালিয়াজুরিতে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক পরিবারের সংখ্যা ২৪ হাজার ১শ ৫০টি। শতভাগ ফসল নিমজ্জিত হওয়ায় এসব পরিবারের কেউ এক ছটাক ধানও ঘরে তুলতে পারেননি। উপজেলা সদরের তিনটি ওএমএস’র দোকানে গিয়ে দেখা গেছে, সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও অনেকে চাল বা আটা পাচ্ছেন না। কারণ, চাহিদা বেশী থাকায় দোকান খোলার কিছুক্ষণের মধ্যেই বরাদ্দ শেষ হয়ে যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সামছুজ্জামান তালুকদার সুয়েব জানান, ‘উপজেলার ২৪ হাজার দুর্গত পরিবারের মাঝে মাত্র হাজার খানেক পরিবার ওএমএস’র চাল ও আটা কেনার সুযোগ পাচ্ছেন। এদিকে সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছানোয়ারুজ্জামান জোশেফ জানান, ওএমএস’র চাল বা আটার দাম সর্বোচ্চ কেজি প্রতি ১০টা নির্ধারণের দাবি করেন। এদিকে ওএমএস’র চাহিদার কথা স্বীকার করে খালিয়াজুরি উপজেলার ইউএনও মোহাম্মদ তোফায়েল আহমেদ জানান, বিষয়টি উর্ধতন কৃর্তপক্ষকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।
×