ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অবশেষে গ্রামে ফিরেছে সেই নব দম্পতি

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ২৩ এপ্রিল ২০১৭

অবশেষে গ্রামে ফিরেছে সেই নব দম্পতি

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর, ২২ এপ্রিল ॥ দৈনিক জনকণ্ঠে খবর প্রকাশের পর কেশবপুরে প্রেমের কারণে বিয়ে দিয়ে সমাজচ্যুত করে গ্রাম থেকে বিতাড়িত প্রেমিক-প্রেমিকাকে শনিবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রামে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ রায়হান কবির থানার পুলিশ নিয়ে বাগডাঙ্গা গ্রামে গিয়ে এলাকার জনগণের সামনে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের উপস্থিতিতে মেয়ে ও ছেলের বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার সমাধান করেছেন। এ সময় গ্রামের কথিত সমাজপতিদের এ ধরনের অবৈধ সালিশ বিচার ভবিষ্যতে না করার নির্দেশ দেন তিনি। সম্প্রতি পাঁজিয়া ইউনিয়নের বাগডাঙ্গা গ্রামের মৃণাল সরকারের মেয়ে মনোহরনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী সুইটি রানী এবং একই গ্রামের রাস মোহন সরকারের ছেলে গোপাল সরকারের প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে গোপালকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মেয়ের বাড়িতে নিয়ে জোর করে বিয়ে দেয়। বিয়ের কিছুদিন পর মৃণাল সরকার তার মেয়েকে ফেরত নিতে নানারকম হুমকি দেয়। ছেলের বাবা রাস মোহন সরকার এ ঘটনায় পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদে গত ২৮ মার্চ লিখিত অভিযোগ করেন। মেয়ে পক্ষের সমাজপতি ললিত মোহন সরকার, মনোরঞ্জন সরকার, দুর্গাপদ সরকার, পরেশ ম-ল, মেম্বার বৈদ্যনাথ সরকার, মহিলা মেম্বার অনিমা রায়সহ উভয় পক্ষের লোক নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুকুলের উপস্থিতিতে গ্রামের পূজা ম-পের সামনে বিচার সভা বসায়। গ্রামের কথিত সমাজপতিরা সমাজবিরোধী প্রেমের সম্পর্ক ও বিয়ের অপরাধে সুইটি ও গোপালকে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেয় এবং গোপালের বাবা রাস মোহনকে সমাজচ্যুত (একঘরে) করে। শুক্রবার দৈনিক জনকণ্ঠে ‘সালিশে বাল্যবিয়ে দিয়ে প্রেমিক প্রেমিকাকে গ্রামছাড়া’ শিরোনামে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত খররে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি করে। শনিবার খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আবদুস সামাদ এবং যশোরের জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীর কেশবপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ রায়হান কবিরকে জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
×