ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

৩৮ আবাসিক হোটেল ভাঙ্গার নির্দেশ পরিবেশ অধিদফতরের

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ২৩ এপ্রিল ২০১৭

৩৮ আবাসিক হোটেল ভাঙ্গার নির্দেশ পরিবেশ অধিদফতরের

এইচএম এরশাদ, কক্সবাজার ॥ দীর্ঘদিন পর হলেও কক্সবাজার পরিবেশ অধিদফতর নড়েচড়ে বসেছে। সেন্টমার্টিন রক্ষায় উদ্যোগী হয়ে উঠেছে তারা। এর অংশ হিসেবে সেন্টমার্টিনে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ৩৮টি আবাসিক হোটেল ভাঙ্গার নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ অধিদফতর। সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে পাঠানো পত্রে ২০ মে’র মধ্যে হোটেল মালিক পক্ষকে নিজ দায়িত্বে হোটেলগুলো ভেঙ্গে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। পরিবেশ অধিদফতর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলাম জানান, সেন্টমার্টিনকে প্রতিবেশ সঙ্কটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করার পরও কতিপয় ব্যক্তি অবৈধভাবে গড়ে তুলেছে এক থেকে তিন তলা পর্যন্ত কটেজসহ ১০৪টি আবাসিক হোটেল। অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন সেন্টমার্টিন দ্বীপের সৌন্দর্য, পরিবেশ ও প্রতিবেশ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে হোটেল কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) এর করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মোঃ আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাশের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ২১ মার্চ ৪ সচিবসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে রুল জারি করেন। রুলে তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতেও চাওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে সেন্টমার্টিনের পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষার উদ্যোগ নেয় সরকার। টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে ঝুঁকিপূর্ণ নৌপথের বিষয়টি তদন্তে নৌপরিবহন অধিদফতরের কমিটি গঠন, নৌপথে অত্যাধুনিক বাতি বয়া বসানোর উদ্যোগ ও অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেয়া হয়। সেন্টমার্টিনে তিন বছরের জন্য সাময়িকভাবে পর্যটন বন্ধ করে দ্বীপটি পুনর্গঠনের সুপারিশ করে পরিবেশ অধিদফতর। সর্বশেষ ২০ মের মধ্যে সেন্টমার্টিনের ৩৮টি হোটেল ভাঙ্গার নির্দেশ দেয় পরিবেশ অধিদফতর। এর আগে সেন্টমার্টিনে পরিবেশগত ছাড়পত্র ব্যতিরেকে গড়ে ওঠা ১০৪টি আবাসিক হোটেল চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে বুধবার তিন তলা ও দোতলাসহ ৩৮টি আবাসিক হোটেল ভেঙ্গে তা সরিয়ে নিতে মালিকপক্ষকে লিখিতভাবে নোটিস দেয়া হয়েছে। নোটিসে বলা হয়েছে আগামী ২০ মে’র মধ্যে নিজ দায়িত্বে এসব হোটল সরিয়ে নেবে হোটেল মালিক কর্তৃপক্ষ। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হোটেল ভেঙ্গে সরিয়ে নিতে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে নোটিসে জানানো হয়েছে। সেভেন স্টার, ব্লু-সি ইস্টার্ন রিসোর্ট, সি ইন, ঔশান ব্লু, সি ভিউ, সি প্রবাল, ব্লু মেরিন, ফ্যান্টাসি, অবকাশ পর্যটন লিমিটেড, লাবিবা বিলাস, সেন্ডশোর, প্রসাদ প্যারাডাইস, প্রিন্স হেভেন, স্বপ্ন বিলাস, ডাকবাংলো, সিটিবি ও এসকে ডিস নামের হোটেল মালিকদের এ নোটিস দেয়া হয়েছে।
×