ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সুনামগঞ্জে হাওড়ের পানি দূষণের কারণ অনুসন্ধানে একাধিক বিশেষজ্ঞ দল

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ২৩ এপ্রিল ২০১৭

সুনামগঞ্জে হাওড়ের পানি দূষণের কারণ অনুসন্ধানে একাধিক বিশেষজ্ঞ দল

নিজস্ব সংবাদদাতা, সুনামগঞ্জ, ২২ এপ্রিল ॥ বাঁধ ভেঙ্গে সুনামগঞ্জের হাওড়ের ধান তলিয়ে যাওয়ার পর পানি দূষিত হয়ে মাছের মড়ক দেখা দেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এক সপ্তাহের জন্য সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয় জেলা প্রশাসন থেকে। এ ব্যাপারে মৎস্য অধিদফতরের উপ-পরিচালক (বিজার্ভ) রমজান আলী জানান, হাওড়ের মৎস্য সম্পদকে বিপন্ন হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও বড়ানো হতে পারে। পানি দূষণে বাতাসে মাত্রাতিরিক্ত দুর্গন্ধের কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছে সরকারের একাধিক এক্সপার্ট টিম। অপরদিকে হাওড়ের আবদ্ধ পানিতে ধান পচে আশপাশের বাতাসে মাত্রাতিরিক্ত দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে হাওড় পাড়ের জনজীবনে নাভিশ্বাস দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় স্থানীয়রা দুর্বিষহ জীবন পার করছে। হাওড় এলাকায় ছোট-বড় প্রায় সকল কৃষকের ঘরে খাবর না থাকায় পানির দামে গরু মহিষ বিক্রি করছে। তার উপর মাছের পর এবার হাঁস মুরগিতে মড়ক লেগে যাওয়ায় অনেক পরিবার রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন বড় শহরে কাজের সন্ধানে পাড়ি জমাচ্ছে। প্রতিদিন জেলা ও উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ডগুলোতে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সরকারের বিভিন্ন দফতরের প্রতিনিধিরা বার বার আশ্বাস দিলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। জেলার হাওড়বাসীর দুঃখ দুর্দশায় সহমর্মিতা জানাতে রাষ্ট্রপতি গত ১৭ ও ১৮ এপ্রিল দু’দিন সরেজমিন দেখে যান। এর পরদিন দুর্যোগ ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াও সুনামগঞ্জের বিভিন্ন দুর্গত এলাকা ভিজিট করে ত্রাণ কর্যক্রম শুরু করে যান। এই ত্রাণ বিতরণে ও নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে প্রতিনিধি দল মাহবুবুল আলম হানিফের নেতৃত্বে বিভিন্ন দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে। অন্যদিকে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে ব্যাপক দুর্নীতি-অনিয়ম তদন্তে দুদকের পরিচলক মোহাম্মদ বেলাল হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম সুনামগঞ্জে তদন্ত কর্যক্রম চালাচ্ছে। তাঁরা গণমাধ্যমসহ ভিন্ন ভিন্ন মাধ্যম থেকে তথ্য সংগ্রহ করছেন বলে জানিয়েছেন। শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের প্রধান প্রফেসর মনিরুজ্জামান খন্দকারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। তারা শনিবার হাওড়ের পানি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। এই দলের অন্য সদস্যরা হলেন উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজমল হোসেন উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের ছাত্র শাহরিয়ার ইসলাম, স্বাধীন কাউসার ও রাসিক রাসেল। এদিকে, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রতিনিধি দল বিভিন্ন হাওড়ে দূষিত পানি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে। এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মাসুদ উদ্দিন খান। তিনি বলেন, আমরা দেখার হাওড়, শনির হাওড়, হালির হাওড়ের পানি পরীক্ষা করে পানিতে অক্সিজেনের ঘাটতি, এ্যামোনিয়া গ্যাসের আধিক্য ও পানির পিএইচ মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে আনেক কম পেয়েছি। এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আশিকুর রহমান ও ইশতিয়াক হায়দার। মৎস্য বিভাগ জানায়, জেলার বিভিন্ন হাওড়ের ধান পচে পানিতে হাইড্রোজেন সালফাইড ও এ্যামোনিয়া গ্যাস তৈরি হওয়ার কারণে পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত কমে যাওয়ায় মাছ মরতে শুরু করে। সেই সাথে ধানে ব্যবহৃত কীটনাশক ও রাসায়নিক সার যোগ হয়ে হাওড়ের পানি বিষাক্ত হয়ে পড়েছে। হাওড়ের মানুষের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, গত দুদিন বৃষ্টি হওয়ার ফলে বাতাসে এ্যামোনিয়া গ্যাসের আধিক্য কমেছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের যুগ্ম সচিব সৈয়দ মেহেদী হাসান বলেন, আমি ও মৎস্য বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ রমজান আলী ঢাকা থেকে এসে সারা দিনে এ জেলার চারটি হাওড় ভিজিট করেছি। আমরা পানি দূষণের কারণ খতিয়ে দেখতে স্থানীয়দের সাথে আলাপ করেছি। পানির বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি। আরও কিছু পরীক্ষা রয়েছে সেগুলো ঢাকায় গিয়ে ল্যাবে পরীক্ষা করব। আনুমানিক ৫০ টন মাছ এ পর্যন্ত মারা গেছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে আরও ছিলেন মৎস্য অধিদফতরের সিলেট বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ মোশারফ হোসেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শংকর রঞ্জন দাস, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বেলাল হেসেন। মৎস্য বিভাগের উপ-পরিচালক (রিজার্ভ) মোঃ রমজান আলী বলেন, মাছের স্বাভাবিক জীবন ধারণের জন্য যে পরিমাণ অক্সিজেন থাকার কথা সেখানে অক্সিজেন পরিমাণ কম রয়েছে। এর বিপরীতে মাছের জন্য ক্ষতিকারক এ্যামোনিয়া গ্যাসের পরিমাণ অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। পানিতে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়াতে বিভিন্ন হাওড়ে চুন ও জিওলাইট দেয়া হচ্ছে। দূষিত পানিতে ভেসে ওঠা মৃত, অর্ধমৃত মাছ না খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে জনসচেতনতা তৈরিতে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের বলা হয়েছে। বিষাক্ত এ্যামোনিয়ায় মরে যাচ্ছে মাছ, হাঁস সালাম মশরুর, সিলেট অফিস থেকে জানান, সিলেটের হাওড়াঞ্চলে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাত-দিন থেমে থেমে মাঝারি ও ভারি বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। পানিতে তলিয়ে যাওয়া ফসল ফিরে পাওয়ার আশা নেই। হাওড়ের দিকে তাকিয়ে ভারি নিশ্বাস ফেলা ছাড়া আর কোন পথ নেই কৃষকের কাছে। সিলেট বিভাগে ধানের পাশাপাশি এবার ভাসান পানির মাছের সঙ্কটের কথাও ভাবছেন মৎস্যজীবীরা। এ অঞ্চলের অধিকাংশ হাওড়ের সঙ্গে মাছের সম্পর্ক রয়েছে। হাওড়কেন্দ্রিক বিল থেকেই প্রতি বছর স্থানীয় মৎস্যজীবীরা মৎস্য আহরণ করে থাকেন। এবার বছরের শুরুতেই বিল ও হাওড়ের পানির এমন দূষণ প্রক্রিয়া মাছের ফলনের ওপর ব্যাপকহারে প্রভাব পড়বে বলে সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কা। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, পানি বৃদ্ধির ফলে একপর্যায়ে পানির দূষণ কমে যাবে। এদিকে হাওড়াঞ্চলে বিষাক্ত ইউরেনিয়াম ছড়িয়ে পড়েছে এ রকম খবর সঠিক নয় বলে জানিয়েছে প্রশাসন। হাওড়ে ধান পচে বিষাক্ত এ্যামোনিয়া গ্যাসের কারণে মাছ, হাঁসের মৃত্য্যু হচ্ছে, যা সচেতন হলে ঠেকানো সম্ভব। ইউরেনিয়ামের খবর ছড়িয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি না করে মিডিয়ায় সত্য ও সচেতনতামূলক খবর প্রকাশ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিভিন্ন হাওড়ে অতিবৃষ্টিপাত আর উজান থেকে নেমে আসা পানিতে ডুবে যাওয়া হাওড়াঞ্চলে মাছের মড়কের জন্য প্রাথমিকভাবে চারটি কারণ শনাক্ত করেছে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা অধিদফতর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা দল। তারা শনাক্ত করেন, পানিতে অক্সিজেন কমে যাওয়া, এ্যামোনিয়া গ্যাস বেড়ে যাওয়া, এ্যাসিডিটির প্রভাব ও কীটনাশক। বিশেষজ্ঞ দল বিভিন্ন হাওড়ের পানি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রথমে তিনটি কারণ চিহ্নিত করে। পরে শনিবার হাওড়ে মাছ ও হাঁসের মড়কের জন্য ফসলের মাঠে ব্যবহার করা কীটনাশকও অপর একটি কারণ বলে মনে করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপর একটি গবেষণা দল। তারা বলেছেন, উজান ও বৃষ্টির পানি ফসলের মাঠ ডুবিয়ে দেয়ায় এ কীটনাশক ও এসিড পানির সঙ্গে ছড়িয়ে পড়েছে। পরীক্ষা করে তাতে অক্সিজেনের উপস্থিতি কম দেখতে পান তারা। সেই সঙ্গে এ্যামোনিয়া গ্যাস বেড়ে যাওয়া ও এ্যাসিডিটির প্রভাবে মাছ ও জলজ প্রাণীর মৃত্যু হচ্ছে বলে তাদের ধারণা। তবে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানায় গবেষক দলটি। খালিয়াজুরি ও মদন উপজেলার ৯৫ হাওড়ে মাছের মড়ক সঞ্জয় সরকার নেত্রকোনা থেকে জানান, মোহনগঞ্জের ‘ডিঙ্গাপুতা’ হাওড়ের পর এবার খালিয়াজুরি ও মদন উপজেলার হাওড়গুলোতে মাছের ব্যাপক মড়ক দেখা দিয়েছে। ওই তিন উপজেলার অন্তত ৯৫টি হাওড়ে প্রতিদিন শত শত মেট্রিক টন মাছ মারা যাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন মাইকিং করে এসব হাওড়ের মাছ ধরা এবং মাছ খাওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। জানা গেছে, সম্প্রতি উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও ভারি বৃষ্টির পানিতে মোহনগঞ্জের ডিঙ্গাপুতা, খালিয়াজুরির কীর্তনখোলা, পাঙাসিয়া, রাঙ্গামাটিয়া, গোবিন্দডোবা, রোয়াইল, ধলিমাটি, চৌতারা ও ছায়ার হাওড়সহ ছোট-বড় ৮৯টি এবং মদনের গণেশের হাওড় ও কাতলার হাওড়সহ পাঁচটি হাওড়ের কাঁচা বোরো ধান সম্পূর্ণ তলিয়ে যায়। এর দু’সপ্তাহ পরই মোহনগঞ্জের ডিঙ্গাপুতা হাওড়ের মাছ মরতে শুরু করে। দুদিন হয় তা খালিয়াজুরি এবং মদনের হাওড়গুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মাছ মরে ভেসে উঠছে। সবচেয়ে বেশি মারা যাচ্ছেÑ বোয়াল, বাইম, গুলশা, টেংরা, তারা বাইম, ইলিশ, ঘনিয়া, আইড়, কাকিলা, পুঁটি প্রভৃতি মাছ। এছাড়া কাঁকড়া ও শামুকসহ অন্যান্য জলজ প্রাণীও মারা যাচ্ছে। একই সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ছে মারাত্মক দুর্গন্ধ। কোথাও কোথাও দুর্গন্ধে টেকা দায় হয়ে পড়েছে। স্থানীয় মৎস্য বিভাগ জানায়, অকাল বন্যায় এসব হাওড়ের কাঁচা ধানগাছ পচে ‘এ্যামোনিয়া’র সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে পানিতে অক্সিজেনের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। প্রতি লিটার পানিতে যেখানে পাঁচ থেকে ছয় মিলিগ্রাম অক্সিজেন থাকার কথা, সেখানে আছে মাত্র দশমিক পাঁচ থেকে এক দশমিক আট মিলিগ্রাম। এ কারণে শ্বাসকষ্টে মাছ মরে যাচ্ছে। কিশোরগঞ্জে চাল ও নগদ অর্থ সহায়তা নিজস্ব সংবাদদাতা কিশোরগঞ্জ থেকে জানান, কিশোরগঞ্জের হাওড়াঞ্চলে আগাম বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে চাল ও নগদ অর্থ সহায়তা দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন শনিবার পর্যন্ত জেলার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে ২৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং ৫৩৫ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করেছে। কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার মোঃ আক্তার জামীল জানান, ইটনা উপজেলায় তৃতীয় দফায় পাঁচ মেট্রিক টন চাল এবং দুই লাখ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এদিকে শনিবার বিকেল পর্যন্ত অষ্টগ্রাম ও তাড়াইল উপজেলায় আরও দুটি বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে আরও কয়েক হাজার হেক্টর বোরো জমি পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে বলে জেলা কৃষি বিভাগ সূত্র নিশ্চিত করেছে। অষ্টগ্রামের সবচেয়ে বড় কলমা বাঁধটি প্রচ- বর্ষণের ফলে ভেঙ্গে গেছে। বিগত দিনে এলাকার হাজারো নারী-পুরুষ স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধটি রক্ষায় প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটিও আর রক্ষা করা গেল না। কলমা বাঁধটি ভেঙ্গে প্রায় এক হাজার হেক্টর জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। অন্যদিকে তাড়াইল উপজেলার দিগদাইড় ও দামিহা ইউনিয়নের কাউড়াবন্দের বাঁধটি অতিবর্ষণের ফলে নরসুন্দা নদীর পানির তোড়ে ভেঙ্গে গেছে। এতে প্রায় এক হাজার ২শ’ একর বোরো জমি তলিয়ে গেছে। এছাড়াও বাদাম-মরিচসহ অন্যান্য ফসল পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে। এলাকাবাসী কাউড়াবন্দ বাঁধটি প্রায় তিন লাখ টাকা ব্যয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি করলেও এটিও আর রক্ষা সম্ভব হয়নি বলে জানা গেছে।
×