ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাজধানীর চার টার্মিনাল থেকে দিনে ৬০ লাখ টাকা চাঁদা উঠছে!

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ২৩ এপ্রিল ২০১৭

রাজধানীর চার টার্মিনাল থেকে দিনে ৬০ লাখ টাকা চাঁদা উঠছে!

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর চারটি পরিবহন টার্মিনাল থেকে দিনে ৬০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছে সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ। শনিবার সংগঠনের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক কর্মসূচীতে এ অভিযোগের কথা বলা হয়। সিটিং সার্ভিসের নামে গণপরিবহনে নৈরাজ্য বন্ধ, অবৈধ চাঁদা আদায়কারীদের গ্রেফতার ও মালিক কর্তৃক পরিবহন শ্রমিকদের নিয়োগপত্র প্রদানসহ ১২ দফা দাবি বাস্তবায়নে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মোঃ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ কর্মসূচীতে সংগঠনের নেতাসহ বিভিন্ন সেক্টরের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। বক্তারা বলেন, ঢাকার চারটি টার্মিনালে শ্রম আইন পরিপন্থী অবৈধভাবে দৈনিক ৬০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করছে। অবৈধ চাঁদা আদায়কারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও মালিক সমিতি কর্তৃক শ্রমিকদের নিয়োগপত্র প্রদান ও সিটিং সার্ভিসের নামে গণপরিবহনে নৈরাজ্য বন্ধ করে রাজধানীতে সাধারণ যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে “নগর পরিবহন নীতিমালা গঠন” করতে সরকারের কাছে দাবি জানান তারা। মানববন্ধন থেকে নগর পরিবহন নীতিমালা গঠন করা, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজমুক্ত টার্মিনাল গঠন, মালিক কর্তৃক পরিবহন শ্রমিকদের নিয়োগপত্র প্রদানসহ ১২ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ২৫ মে বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের উদ্যোগে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে পরিবহন শ্রমিক সমাবেশের ঘোষণা দেয়া হয়। বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, পরিবহন বন্ধ থাকার ফলে পূর্বের চেয়েও সাধারণ যাত্রীরা অমানবিক হয়রানির শিকার হয়েছে। মালিক সমিতির অভিনব কৌশলের কাছে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ পরাজিত হয়েছে। সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তীতে ফেলে কতিপয় নেতৃবৃন্দ তাদের স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সময় এসেছে অপচেষ্টাকারীদের প্রতিরোধ করতে হরব। তারা বলেন, ঢাকা মহানগরীতে ব্যক্তি মালিকানাধীন পরিবহন বন্ধ করে জনস্বার্থে যাত্রীদের জন্য সরকার নিয়ন্ত্রণাধীন পরিবহন ব্যবস্থ্া চালু করতে হবে। মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইনসুর আলী, মোঃ হানিফ খোকন, মোঃ আমির হোসেন, আর এ জামান, মোঃ হারুনুর রশিদ। উপস্থিত ছিলেন সুমন শেখ, মোঃ নাজিম উদ্দিন, এরফান করিম প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ৪ এপ্রিল পরিবহন মালিক সমিতি সংবাদ সম্মেলন করে ঢাকা মহানগরীতে সিটিং সার্ভিসের নামে নিরীহ যাত্রীদের হয়রানি ও নৈরাজ্য বন্ধ করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। ১৫ এপ্রিল হতে বিআরটিএ এর কার্যালয়ে বাস মালিকদের মিটিং-এ ১৬ এপ্রিল হতে যাত্রীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এবং সিটিং সার্ভিসের নামে নৈরাজ্য বিরোধী অভিযান পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সড়ক পরবিহন ও সেতু মন্ত্রী, বিআরটিএ এবং মালিক সমিতির যৌথ অভিযান পরিচালনা করার সময় পূর্বের সিটিং সার্ভিসে ফিরে যেতে পরিবহন মালিকরা অত্যন্ত সুকৌশলে ঢাকা মহানগরীতে আনুমানিক ৫০ শতাংশ পরিবহন বন্ধ রেখে কৃত্রিম পরিবহন সঙ্কট সৃষ্টি করেন। অথচ কোন পরিবহনের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ব্যবস্থা নিতে পারেনি বিআরটিএ।
×