ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী

জাতীয় অগ্রগতি ও মানুষের কল্যাণে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরী

প্রকাশিত: ০৩:৪৫, ২৩ এপ্রিল ২০১৭

জাতীয় অগ্রগতি ও মানুষের কল্যাণে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরী

উচ্চ শিক্ষাকে মানবকল্যাণের ব্রত হতে হবে। দলীয় কোন্দল, রেষারেষি কিংবা উচ্চ শিক্ষা সমাপন্তে একলা চলার মতো করে নিজে বড়লোক হবে- এ ধরনের বাসনা পরিত্যাগ করতে হবে। এ দেশ নানা মত, নানা পথ থাকতে পারে। তবে দেশে গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সুষম বণ্টন এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনা কিন্তু ধর্মহীনতা নয়- এটি বর্তমান সরকারের মূল উপজীব্য। উচ্চ শিক্ষার মূল মন্ত্রই তা হওয়া উচিত। একটি রাষ্ট্রে সব ধরনের মানুষ যারা মানবতার শত্রু তারা ছাড়া শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করতে পারে- সে জন্য সরকার সব সময়ই সচেষ্ট রয়েছেন। শেখ হাসিনার অবিসংবাদিত অগ্রযাত্রার কারণে অর্থনীতিতে এখন স্বর্ণালি সময় প্রবাহিত হচ্ছে। একই সঙ্গে স্বাধীনতার দীর্ঘ বছরগুলো পেরিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং সাজা কার্যকর হয়েছে, হচ্ছে। দৃঢ়চেতা ও মানবিক গুণাবলীসম্পন্ন নেতৃত্ব গুণে তিনি আজ জনগণের নয়নের মণি। সমাজ-ভাবনা নিয়ে আমাদের মধ্যে নানামুখী দ্বন্দ্ব অনেক সময় ব্যক্তিগত পর্যায়ে কাজ করে। প্রথমেই একটি দুঃখজনক ঘটনার কথা স্মরণ করতে চাই। সম্প্রতি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের হঠকারী সিদ্ধান্তের বলি হতে হলো এক শিক্ষার্থীর পিতাকে। একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই শিক্ষকের অভিযোগের ভিত্তিতে এক শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হলে শুনে তার পিতা হার্ট এ্যাটাকে মারা যান। শিক্ষকরাও কেউ কেউ যে আজকাল ‘অমানবিক’ হয়ে যাচ্ছেন তার প্রমাণ এই ঘটনা। সুপ্রীমকোর্ট চত্বরে ভাস্কর্য নিয়ে অনেক কথাই হচ্ছে। তবে দুটো কথা বলছি- শিল্পীর স্বাধীনতা থাকলেও গ্রীক আইনের দেবীকে শিল্পী কি পারেন বাঙালী রমণীতে রূপান্তর করতে? পাশাপাশি জাতীয় ঈদগাহের কাছে থাকা কি উচিত? এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে অনুরোধ জানিয়েছেন এটি অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত। এদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাস্কর্য নিয়ে যে তুঘলকি ঘটনা ঘটল এবং দু’জন ছাত্র যে বক্তব্য দিয়েছে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেবল বহিষ্কার নয় বরং আইনের শাসনের আওতায় আনা দরকার। এভাবে তথাকথিত প্রগতিশীলতা বা প্রতিক্রিয়াশীলতা কোনটাই গ্রহণযোগ্য নয়। একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে সবার শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বসবাস করা দরকার। অতিরিক্ত উচ্ছৃঙ্খলতা অনেক ক্ষেত্রে যেমন বিপথগামী করে থাকে তেমনি আবার যারা ধর্ম ব্যবসায়ী তাদের সুবিধাজনক স্থান করে দেয়। এদিকে আমাদের সংবিধানে হিন্দু ধর্মকে হিন্দু বলা হলেও (আগে জামায়াতীরা এখন বিএনপিসহ অতি বামদের কেউ কেউ) শুদ্ধতার দোহাই দিয়ে বিভিন্ন টকশো এমনকি ক্লাসেও সনাতন ধর্মাবলম্বী বলছেন হিন্দুদের। শব্দের উৎপত্তি যেভাবেই হোক সনাতন বলার মধ্যে তাচ্ছিল্য তো আছেই, কোন অসৎ উদ্দেশ্যও রয়েছে। এরা নানা সময়ে নানা ধরনের উস্কানিমূলক কথা বলছে। ইদানীং এক শ্রেণীর শিক্ষক-বুদ্ধিজীবী আবার টক শোতে বিএনপি-জামায়াতকে সমর্থন করে তাদের কথাবার্তা ওকালতি করে। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়েও নানা অভিযোগের কথা শোনা যায়। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ন্যায্য ও প্রাপ্য অর্থ না দিয়ে এক ধরনের বৈষম্যের কথাও শোনা যায়। এসব বিষয় তদারকির জন্য ইউজিসিতে একটি বিভাগ খুলে লোকবল পদায়ন করা দরকার। পত্রিকার বিভিন্ন রিপোর্ট থেকে দেখা যাচ্ছে, ইউজিসিতে লোকবলের অভাব প্রকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে ইউজিসির চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নান অত্যন্ত যোগ্য ব্যক্তি। শোনা যাচ্ছে এ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল স্থাপন করা হচ্ছেÑ আশা করা যায় যারা দীর্ঘদিন ধরে কোয়ালিটি ইন্স্যুরেন্সের সঙ্গে জড়িত যেমন প্রফেসর মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর সঞ্জয় কুমার অধিকারীসহ অভিজ্ঞদের সেখানে পদায়ন করা যেতে পারে। কেননা ইতোমধ্যে সরকারের প্রেরণায় হেকাপ প্রজেক্টের আওতায় ৬৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইকিউএস স্থাপন করা হয়েছে। হেকাপ প্রজেক্টের মেয়াদ ২০১৮ সালে শেষ হওয়ার কথা। শিক্ষামন্ত্রী যদি এটির মেয়াদ ২০২১ সাল পর্যন্ত বর্ধিত করার উদ্যোগ নেন তবে ভাল হবে। শিক্ষামন্ত্রী উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে সচেষ্ট রয়েছেন। তার কাছে অনুরোধ, পত্রিকান্তরে যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে যে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ করতে না পারায় হেকাপ প্রজেক্টের আওতাধীন অর্থায়নের একটি অংশ বিশ্বব্যাংকে ফেরত যেতে পারে, সেগুলো দুর্বল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মান সবল করাতে কাজ লাগাতে ভেবে দেখতে পারেন। কেবল প্রাইভেট নয়, সাম্প্রতিক স্থাপিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অধিকাংশের ক্ষেত্রেই ফিজিক্যাল এবং সোশ্যাল ইনফ্রাকস্ট্রাকচার গড়ে ওঠেনি। এআইএফ ফান্ডের মোট অর্থ বরাদ্দ ছিল ৩৭২.৬০ কোটি টাকা (তিন শ’ বাহাত্তর দশমিক ষাট কোটি)। অওঋ (এআইএফ) একাডেমিক ইনোভেশন ফান্ড এর চতুর্থ ফান্ড দেয়ার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ বাছাই করা হয়েছে। আবার যদি সম্প্রসারিত সময়ে এআইএফের পঞ্চম ফান্ড দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয় তবে ভাল হয়। এদিকে যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে আইকিউএসি স্থাপন করা হয়েছে সেগুলো যাতে সঠিকভাবে উন্নয়ন কর্মসূচী চার বছর ধরে ঠিক মতো করে সে জন্য একটি তদারকি ও সহায়তা দল কোয়ালিটি ইন্স্যুরেন্সের আওতায় নিশ্চিত করা প্রয়োজন। ইচ্ছামতো কোন কোন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থেকে শুরু করে নিম্নপদ পর্যন্ত ঠিকমতো বেতন ভাতাদি পরিশোধ না করেই ট্রাস্টি বোর্ড পার পেয়ে যাচ্ছেÑ বার বার তাগাদা দিলেও সমাজে বলশালী ও ক্ষমতা যন্ত্রের কাছাকাছি থাকার দোহাই দেয় আর নিজস্ব ব্লিডিং ছাড়া ভাড়া বাড়িতে থেকে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যত যারা অন্ধকার করে দিচ্ছে- তাদের আপাতত সমাধান কিন্তু সরকার থেকেই করা যায়। ইচ্ছে করলেই ওই সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসক নিয়োগ করা যায়Ñ যার বিধান বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে আছে। এদিকে কোন কোন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় এক শ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়ে থাকে। এটি আসলে ব্যক্তি মনমানসিকতা এবং এদেশে পেশাদারিত্ব গড়ে না ওঠার কারণে হচ্ছে। সরকারের শত চেষ্টা থাকলেও হবে না বরং সামাজিকভাবে এর সমাধান করতে হবে। এদিকে সরকার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় কলেজসমূহের মান উন্নয়নে পদক্ষেপ নিয়েছে। এটি যাতে সুন্দর ও দক্ষভাবে করা যায় সে জন্যে আমার মূল্যায়নে বিদেশী পরামর্শক নিয়োগের সময় এমটিসি গ্লোবালের প্রফেসর দত্তবাবুর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। এদেশের শিক্ষার সম্প্রসারণে সরকারী হোক, বেসরকারী হোক প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা থাকা বাঞ্ছনীয়। ছাত্রছাত্রীদের সুস্থ খেলাধুলা, শরীরচর্চা, সাংস্কৃতিকচর্চা থাকা বাঞ্ছনীয়। জাতীয় দিবসগুলো যাতে ওইদিনই পালিত হয় সে জন্যে বিশেষ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকে গ্রহণ করতে হবে। যেমন বঙ্গবন্ধুর জন্মদিবস, একুশে ফেব্রুয়ারি, পহেলা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস স্ব-স্ব দিনে যাতে পালিত হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত। কেননা দেখা যায় ওই দিনগুলো বন্ধ থাকে পরবর্তীতে কেউ কেউ পালন করে আবার কেউ কেউ পালন করে না। ওইদিনই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসব দিবস ও আলোচনা সভা হওয়ার ব্যবস্থা করা উচিত। মানব সভ্যতার ইতিহাসে দেখা যায় যে নিজের কৃষ্টি-সংস্কৃতিকে ভাল না বাসলে ভুল বোঝাবুঝির সমস্যা থাকে। এর সুযোগ নেয় ধর্ম ব্যবসায়ী এবং বেনিয়ারা। একটি ছোট্ট উদাহরণ দেই জন্মের পর থেকেই চার বছর বয়সে শুরু প্রতি পহেলা বৈশাখে কুমিল্লা টাউন হল মেলায় বাবার হাত ধরে যেতাম। ১৯৮০ সাল পর্যন্ত ব্যতিক্রম হয়নি। কুমিল্লায় সে সময়ে সচরাচর বড় কাতল মাছ পাওয়া যেত না। কিন্তু বৈশাখী মেলায় বড় সাইজের কাতল মাছ পাওয়া যেত। আর বাবার সঙ্গে মাছ আর একটি তরমুজ ছাড়া থাকত বাঁশি, ঢোল, মাটির হাতি, ঘোড়া, টিয়া পাখি, তাল পাতার সেপাই, কুমির, বাঘ, সিংহ প্রভৃতি। এছাড়া মায়ের দেয়া তালিকা অনুযায়ী বাবা দরকারি বেতের জিনিসপত্র কিনতেন অথচ এখন কুমিল্লার টাউন হলে বৈশাখী মেলায় মাছের মেলা হয় না। বলে বন্ধু-বান্ধবরা জানালেন। আশা করব, লোকজ সংস্কৃৃতির ধারণের উদ্দেশ্যে কুমিল্লার নগরবাসীর কাতল মাছের ঐতিহ্য টাউন হল মেলায় পুনরায় সংযুক্ত করবেন। আজকাল কর্পোরেট যুগে বেনিয়ারা ব্যবসা করার জন্য পানতা ইলিশ আর সুন্দর সুন্দর কারুকাজ ম-িত সুদৃশ্য মোড়কে চিড়া, খই, বাতাসা, গুড়ের ইলিশ, নকুল দানা, বিক্রি করছে অথচ বৈশাখে চট্টগ্রামে যখন গেলাম ১৯৮১ থেকে ১৯৮৯ পর্যন্ত প্রতিবছর জব্বারের বলী খেলা হতো। এখনও হয়ে থাকে তবে আগের মতো জৌলুস নেই। ইলিশ খাওয়া কিন্তু দোষের নয়। তবে যাদের সামর্থ্য আছে তারা অবশ্যই খাবেন। নববর্ষ উপলক্ষে অবশ্যই এবার এনবিআর হালখাতার প্রচলন করে ভাল করেছেন। পুরনো ইতিহাস- সংস্কৃতিও জানতে হবে। বাউল-জারি-সারি গান, লাঠি খেলা, পুুতুলনাচ- এগুলো আবার ফিরিয়ে আনা দরকার। ঘুড়ি ওড়ানের প্রতিযোগিতা, নৌকা বাইচের আয়োজন করা উচিত। এ সমস্ত প্রতিযোগিতায় উৎসবে স্কুল-কলেজগুলোকে আরও সম্পৃক্ত করা উচিত। এবার একটু অবাক হয়েছি হাওড় অঞ্চলে এত বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ গেল- ধান ও মৎস্য নষ্ট হয়েছে মানুষের জীবনের সমস্যা ঘনীভূত হয়েছে। বার বার মহামান্য রাষ্ট্রপতি হাওড় অঞ্চলের দুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য উদ্বুদ্ধ করতে সচেষ্ট আছেন। কিন্তু আশ্চর্য হলাম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার নিয়ে তেমন কোন কর্মসূচী দেয়নি অথচ এদেশে আবহমানকাল থেকে যে কোন সমস্যায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ হোক কিংবা ভাষার ওপর আক্রমণ হোক ছাত্র সমাজ পাশে থেকেছে। এমনকি উড়িরচরে যখন দুর্যোগ হয় তখন ছাত্রছাত্রীরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গিয়েছিলাম। হাওড়বাসীর জন্য বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে অনুদান দেয়ার ব্যবস্থা করা দরকার। স্থায়ী কর্মসংস্থান সৃষ্টি জলাবদ্ধতা দূরীকরণে সমাজের বিত্তশালীদের এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি ব্যাংকিং খাত থেকে স্বল্প হারে ঋণ প্রদানের বিশেষ কর্মসূচী গ্রহণ করতে হবে। আবার সিএসআর নীতিমালা অনুসারে ব্যাংক ও কোম্পানিগুলোর উচিত হাওড়বাসীর পাশে দাঁড়ানো অবাক লাগল, জাতীয় রাজনীতি করলেও বিএনপির কেউই কিন্তু হাওড় এলাকায় জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে বক্তৃতা-বিবৃতির বিলাসী আয়োজন করছে। আসলে মানুষের কল্যাণে যে রাজনীতি করতে হয় সে শিক্ষাই তারা ভুলে গেছে। দেশের উচ্চশিক্ষাকে অবশ্যই কল্যাণমুখী এবং মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করতে হবে। এটি এককভাবে সরকারের দায়িত্ব নয়। মহামান্য রাষ্ট্রপতি ১৯ এপ্রিল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম সমাবর্তনে যথার্থই মন্তব্য করেছেন যে, শিক্ষার বাণিজ্যিকীরণের জন্য উচ্চ শিক্ষার মান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সমাজের উন্নয়নের, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে শিক্ষাকে সকলের উচিত দেশের সার্বিক উন্নয়নে কাজে লাগানো থাইল্যান্ডে একটি নিয়ম আছে কমিউনিটি এ্যাংগেজমেন্টের আওতায় বাধ্যতামূলকভাবে ছাত্রছাত্রীদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় অংশ নেয়া। আমাদের দেশে যেহেতু ছাত্রছাত্রীরা সব সময়েই বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সেহেতু তারা সমষ্টিগতভাবে হাওড়বাসীর পাশে দাঁড়াবে। আর বিত্তশালীদের উচিত দেশের জনগণের উন্নয়নে সম্পৃক্ত হওয়া যাতে করে বিপন্নকে রক্ষা যায়, আর্তমানবতার সেবা করা যায়। এদেশে যত বেশি মানব সেবায় সামাজিকভাবে উদ্বুদ্ধ হবে তত দেশে সুষম বণ্টন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা পাবে। মানবতাহীন শিক্ষা কোন শিক্ষাই নয়। এ জন্যই বলা হয়েছিল, ‘দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য,। শিক্ষকের রুচি, বোধ ও নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা উচিত নয়। আর তারা তো সমাজ বিচ্ছিন্ন জীব নয়। তবু শিক্ষক হতে গেলে ন্যূনতম বিচার, বুদ্ধি ও বোধ থাকা দরকার। রাষ্ট্রের যে উন্নয়ন হচ্ছে তার ধারাবাহিকতা রক্ষার স্বার্থেই সবাইকে সুন্দর মনন ও মেধা দিয়ে কাজ করতে হবে। জাতীয় অগ্রগতিতে শিক্ষকদের, ছাত্রছাত্রীদের অংশ নিতে হবে। লেখক : শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ [email protected]
×