ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সিরাজগঞ্জে নদী ভাঙ্গনে সর্বশান্ত হচ্ছে মানুষ

প্রকাশিত: ২১:২৬, ২২ এপ্রিল ২০১৭

সিরাজগঞ্জে নদী ভাঙ্গনে সর্বশান্ত হচ্ছে মানুষ

স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ ॥ বর্ষা মৌসুম শুরু না হতেই সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। গত ৭দিন যাবৎ সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনার পানি সামান্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সদর উপজেলার বাহুকা ও কাজিপুর উপজেলার শুভগাছা পয়েন্টে প্রচন্ড স্রোত ও ঘুর্নাবর্তের সৃষ্টির ফলে বড় বড় ফাটল ধরে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ৭দিনে ৩টি গ্রামের শতাধিক ঘরবাড়ি ও ফসলী জমি যমুনায় বিলীন হয়ে গেছে। বাহুকা পয়েন্টে বর্না নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ফাটল ধরেছে যে কোন মূহুর্তে বাঁধ ধ্বসে পড়ার আশংকা রয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ভাঙ্গন কবলিত এলাকার জনগণকে আতঙ্কিত না হবার আহবান জানিয়ে বলেছেন ভাঙ্গনরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। শিমলা. পাঁচঠাকুরী, দুম্বারপাড়া, বাঘমোড় অনেক আগেই চলে গেছে যমুনা নদীর গর্ভে। সদর উপজেলার বাহুকা, কাজিপুর উপজেলার শুভগাছা ও বাওই খোলা কোন রকমে টিকে থাকলেও এবারের ভাঙ্গনে পুরোটাই বিলিন হয়ে যাচ্ছে যমুনা নদীর বুকে। নদীর পানি আরো বাড়তে শুরু করলে এ গ্রামের সাথে বাকী গ্রামগুলো বিলীন হবার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশংকা করছেন স্থানীয়রা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারনেই এ অঞ্চলের মানুষ আজ এমন শংকার মধ্যে পড়েছে। এখন পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা একটি বস্তাও ফেলেনি, ফলে ভাঙ্গনের তীব্রতা বেড়েই চলছে। বাহুকা পয়েন্টে ব্রক্ষপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পাশে আশ্রিত মানুষ আতংকে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছে। অনেক দরিদ্র মানুষ রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে। ভাঙ্গনের কথা স্বীকার করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম বলেছেন- ভাঙ্গন রোধে জরুরি ভিত্তিতি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প তৈরী করে পিএসসিতে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু করা হবে।
×