ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ইউনুসের সঙ্গে খেলতে পেরে গর্বিত মিসবাহ

প্রকাশিত: ০৭:২৬, ২২ এপ্রিল ২০১৭

ইউনুসের সঙ্গে খেলতে পেরে গর্বিত মিসবাহ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এক সঙ্গে সমাপ্তির পথে পাকিস্তান ক্রিকেটের দুটি অধ্যায়। জামাইকায় উইন্ডিজের সঙ্গে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলছে সফরকারী পাকিস্তান। এরপর বার্বাডোজ ও ডমিনিকাÑ তারপরই সাবেক হয়ে যাবেন মিসবাহ-উল হক ও ইউনুস খান। পাকিস্তান টেস্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ রানের মালিক ইউনুসের সঙ্গে খেলতে পেরে গর্বিত খোদ অধিনায়ক মিসবাহ বলেন, ‘এটা ইউনুস ও আমার ক্যারিয়ারের শেষ সিরিজ। ইউনুস পাকিস্তানের একজন কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তার সঙ্গে অনেক ম্যাচ খেলেছি। তার মতো ক্রিকেটারের সঙ্গে খেলেতে পারাটা আমার জন্য অনেক বড় সম্মানের। ওর যে ফর্ম তাতে আরও অন্তত ১-২ বছর অনায়াসে খেলত পারত। অস্ট্রেলিয়া সফরের সময়ই আমি এ নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছিলাম। বলেছিলাম, আরও কিছুদিন চালিয়ে যেতে। কারণ টেস্টে এখনও ইউনুসের বিকল্প তৈরি হয়নি। এই শূন্যস্থান পূরণ সহজ নয়।’ সতীর্থ সম্পর্কে মিসবাহ আরও বলেন, ‘সে কেবল একজন ভাল ব্যাটসম্যানই নয়, ভাল মানুষও। ইউনুস আসলে দলের সদস্যদের মেন্টর হিসেবে কাজ করত। তরুণ প্রজন্মের আইডল। আমি এমন একটা দিন দেখিনি যে সে সকালে উঠে নাস্তা করেনি। দারুণ শৃঙ্খল জীবন-যাপন করে। একজন ভাল ক্রিকেটারের এই গুণগুলো তাকে আরও অসারধারণ করে তোলে। মাঠে ইউনুসের ব্যাটিং, বাইরে তার জীবনযাপন দুটিই সবার জন্য অনুকরণীয়।’ ২০০০ সালে একই সঙ্গে টেস্ট ও ওয়ানডে দিয়ে ৩৯ বছর (বর্তমান) বয়সী আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আগমন। বয়সে বড় হলেও মিসবাহর (৪২ বছর) অভিষেক তার এক বছর পর। তবে ক্যারিয়ারের শুরু থেকে ইউনুস টপ-অর্ডারের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। স্টাইলিশ ব্যাটিংয়ে হয়ে ওঠেন টেস্টের আইকন। ইনজামাম-উল হক, মোহাম্মদ ইউসুফের মতো গ্রেটদের সঙ্গে সমান পাল্লা দিয়ে খেলে এসেছেন। জাভেদ মিয়াদাঁদকে টপকে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ টেস্ট রানের মালিক বনে গেছেন অনেক আগেই। দেশটির প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১০ হাজার রানের মাইলফলকে পা রাখতে আর মাত্র ২৩ রান চাই (জ্যামাইকায় ব্যাটিং করে থাকলে হয়ত এতক্ষণে সেটি হয়ে গেছে)। সর্বোচ্চ ৩৪ সেঞ্চুরিসহ পাকিস্তানের অনেক রেকর্ডই তার দখলে। এমন একজনের সঙ্গে খেলতে পারাটা যে কোন ক্রিকেটারের জন্য গর্বের। মিসবাহ আসলে সেটিই বলছেন, ‘ব্যাট হাতে ক্রিজের ওপাশে ইউনুস আমার জন্য অনেক সম্মানের। তার সঙ্গে পার্টনারশিপের দারুণ সব স্মৃতি রয়েছে। তার সঙ্গে ব্যাটিংয়ের বড় দিক হচ্ছে, সে আপনাকে চাপমুক্ত রাখবে, যে কোন পরিস্থিতিতে দায়িত্বটা নিজের কাঁধে তুলে নেবে। কঠিন চাপের মধ্যে কিভাবে সেরাটা দিতে হয়, সেটি তাকে দেখলে বোঝা যায়। সম্ভবত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইউনুসের সঙ্গে আমি ১৫ হাজার রান করেছি।’
×