ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত কেন্দ্র হচ্ছে যশোরে

প্রকাশিত: ০৭:১৪, ২২ এপ্রিল ২০১৭

বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত কেন্দ্র হচ্ছে যশোরে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের প্রথম বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে যশোরে। এ কেন্দ্রে আবর্জনা প্রক্রিয়া করে উৎপাদন করা হবে বায়োগ্যাস, বিদ্যুত ও জৈবসার। ইতোমধ্যে প্রকল্পের ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। যশোর পৌরসভার এমন উদ্যোগে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন দীর্ঘদিন দুর্গন্ধের মধ্যে বসবাস করা এলাকাবাসী। পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, পরিচ্ছন্ন নগর গড়তেই এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যশোর পৌরসভার ব্যবস্থাপনায় শহরতলীর ঝুমঝুমপুর আবর্জনা কেন্দ্রে স্থাপন করা হচ্ছে বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত কেন্দ্র। সরকার ও এডিবির আর্থিক সহযোগিতায় সিটি রিজিয়ন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ২০ বছরের এ প্রকল্পে প্রতিদিন ৪৫ টন আবর্জনা প্রক্রিয়াজাত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে শুরুতে এ কেন্দ্র প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ টন বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করে বায়োগ্যাস, জৈবসার ও বিদ্যুত উৎপাদন করবে। প্রকল্প এলাকায় বায়োগ্যাস ও সার বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করা হবে। এছাড়া উৎপাদিত বিদ্যুত প্রকল্প এলাকায় আলোকিত করা ছাড়াও বিভিন্ন প্লান্টে ব্যবহার করা হবে। যশোর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম শরীফ হাসান বলেন, ‘এখানে বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করে বায়োগ্যাস, জৈবসার ও বিদ্যুত উৎপাদন করা হবে।’ প্রকল্পের কাজে জড়িত যশোর পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী লিটন হোসেন জানালেন, ইতোমধ্যে ৫০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পৌরসভার এ উদ্যোগে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন দীর্ঘদিন দুর্গন্ধের মধ্যে বসবাস করা এলাকাবাসী। যশোরকে পরিচ্ছন্ন নগর হিসেবে গড়ে তুলতেই এ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানালেন যশোর পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার। প্রকল্পটি সচল রাখতে আবর্জনা সংগ্রহে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ৯০টি কন্টেনার ডাস্টবিন ব্যবহার করা হবে। এছাড়াও চৌগাছা, অভয়নগর ও ঝিকরগাছা পৌরসভা থেকে প্রতিদিন বর্জ্য সংগ্রহ করা হবে। ইমারত নির্মাণ বিধিমালা যুগোপযোগী করতে যাচ্ছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ স্টাফ রিপোর্টার ॥ এবার মাস্টার প্ল্যান ও ইমারত নির্মাণ বিধিমালা যুগোপযোগী করতে যাচ্ছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এজন্য মতামত নেয়া হয়েছে নগরবিদসহ বিভিন্নপক্ষের। দীর্ঘদিন ধরে স্থাপনা নির্মাণে এসব নিয়ম কেউ না মানলেও এবার তা মানার ব্যাপারে কঠোর হওয়ার কথাও বলছে সংস্থাটি। নগরবিদরাও বলছেন, পর্যটন শহরের সৌন্দর্য ফেরাতে পরিকল্পিত ভবন নির্মাণ বা উন্নয়ন দরকার। দেশের প্রধান পর্যটন শহর হলেও যুগের পর যুগ শুধু অপরিকল্পিত স্থাপনাই গড়ে উঠেছে কক্সবাজারে। ফলে, পুরো শহরটি পরিণত হয়েছে ইটপাথরের জঞ্জালে। শহরে স্থাপনা নির্মাণে শৃঙ্খলা ফেরাতে গেল বছর থেকে কার্যক্রম চালাচ্ছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। নানা উদ্যোগের পর এবার তারা নজর দিচ্ছে মাস্টার প্ল্যান ও ইমরাত নির্মাণ বিধিমালা বাস্তবায়নে। এই বিধিমালা বা মাস্টার প্ল্যানকে যুগোপযোগী করতে চায় সংস্থাটি। তাই এজন্য মতামত নেয়া হয়েছে নগরবিদসহ বিভিন্নপক্ষের। তাতে প্রয়োজনে বিধিমালা বা মাস্টার প্ল্যান সংশোধনের পরামর্শ দেন সংশ্লিষ্টরা। বলেন, তা কার্যকরে কঠোর হতে। উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানও আশাবাদী, শীঘ্রই শৃঙ্খলা ফিরবে কক্সবাজারে ভবন নির্মাণে। হবে পরিকল্পিত শহর। তবে শুধু বিধিমালা বা মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করলেই হবে না, এসব কার্যকরে দরকার প্রয়োজনীয় জনবল; এমনটাই মনে করেন সংস্থাটির প্রধান।
×