ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন আলোকসজ্জায় সিলেটের কিন ব্রিজ

প্রকাশিত: ০৭:১৪, ২২ এপ্রিল ২০১৭

নতুন আলোকসজ্জায় সিলেটের কিন ব্রিজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সৌন্দর্য বাড়াতে নতুন করে আলোকসজ্জা করা হয়েছে সিলেটের কিন ব্রিজকে। এতে করে অন্ধকার থেকে মুক্তি পেয়েছে পথচারীরা। সেই সঙ্গে এক সময়ের ক্রাইম জোন হিসেবে পরিচিত চাঁদনীঘাট এলাকার অপরাধও কমে এসেছে। তবে, কিন ব্রিজ এলাকার পরিবেশ উন্নত ও বন্ধ থাকা নিচের ফোয়ারা চালুর দাবি সৌন্দর্য প্রেমীদের। শত বছর ধরে মানুষের বোঝা বয়ে ক্লান্ত কিন ব্রিজটি। ঐতিহ্যের স্মারক এ ব্রিজের সংরক্ষণ ও সৌন্দর্য বর্ধনে বিভিন্ন সময় নানা উদ্যোগ নেয়া হলেও কাজে আসেনি। ভারি যান চলাচলে কংক্রিট উঠে কিছুদিন পর পর বেরিয়ে আসে ব্রিজের পাত। যদিও রিক্সা-ভ্যান ছাড়া অন্য যানবাহন চলাচল নিষেধ। দু’বছর আগে একটি মোবাইল কোম্পানি দায়সারাভাবে আলোকসজ্জা করলেও ক’দিন পর নিভে যায়। ফলে রাতে অন্ধকারে ব্রিজের ওপর-নিচ ও আশপাশে ঘটত চুরি, ছিনতাই, মাদক বিক্রিসহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপ। তবে, নতুন করে উন্নতমানের বাতি দিয়ে আলোকিত করা হয়েছে ব্রিজকে। এতে সৌন্দর্য বাড়ার পাশাপাশি কমে এসেছে অপরাধ। সন্ধ্যায় নগরবাসী ও পর্যটকরা ভিড় জমান কিন ব্রিজ এলাকায়। তবে, লাইটিং করা হলেও এলাকা নোংরা আবর্জনায় ভরা। ব্রিজের নিচের ফোয়ারাটিও বন্ধ। নগর কর্তৃপক্ষ বলছে, কিন ব্রিজ এলাকা রক্ষণাবেক্ষণে প্রথমবারের মতো ইজারা দেয়া হবে। সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবিব বলেন, ‘আশেপাশের যে চটপটি এবং ফুসকার দোকানগুলো আছে সেগুলো আমরা আস্তে আস্তে সিটি কর্পোরেশনের আওতায় নিয়ে আসব। এতে বার্ষিক একটি ইজারা দেয়ার ব্যবস্থা করব। এতে পরিবেশটা ভাল থাকবে এবং কাজটা স্বচ্ছতার ভিত্তিতেই করা হবে।’ সুরমা নদী সিলেট শহরকে দু’ভাগে ভাগ করেছে। চাঁদনীঘাট এলাকায় শহরের মিলন ঘটিয়েছে কিন ব্রিজ। মানুষের যাতায়াতের জন্য ১৯৩৬ সালে ব্রিজটি নির্মাণ করে ব্রিটিশরা।
×