ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছাড়াই চলছে রাজধানীর অধিকাংশ শপিং মল ও মার্কেট

প্রকাশিত: ০৭:১৩, ২২ এপ্রিল ২০১৭

অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছাড়াই চলছে রাজধানীর অধিকাংশ শপিং মল ও মার্কেট

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছাড়াই চলছে রাজধানীর অধিকাংশ শপিং মল ও মার্কেট। ফায়ার সার্ভিস সম্প্রতি সরেজমিনে রাজধানীর ১১২৬টি বিপণিবিতান পরিদর্শন করে দেখেছে এর মধ্যে ১০৮০ টিই রয়েছে অগ্নি ঝুঁকিতে। এ নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতারা কিছুটা শঙ্কিত হলেও মালিক সমিতি একেবারেই উদাসীন নিরাপত্তার বিষয়ে। এ ব্যাপারে সরকারকে আইনগতভাবে কঠোর হওয়ার পরামর্শ নগরবিদদের। দাউ দাউ করে জ্বলছে জীবিকা নির্বাহের অবলম্বন। আগুনের এই বিভীষিকা মুহূর্তেই পুড়িয়ে নিঃশেষ করে দিচ্ছে শত শত পরিবারের স্বপ্ন। রাজধানীর বিপণিবিতানগুলোতে প্রায়ই ঘটছে অগ্নি দুর্ঘটনা। ক্রেতা-বিক্রেতাদের আশংকার মধ্য দিয়েই চলছে কেনাবেচা। ফায়ার সার্ভিস বলছে, এই বিপণিবিতানগুলোর অধিকাংশতেই নেই অগ্নিনির্বাপণ সিলিন্ডার, পানির রিজার্ভ ট্যাংক, বালুভর্তি বালতি ও রেসকিউ সিঁড়িসহ অন্যান্য অগ্নিনির্বাপণ সামগ্রী। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ বর্তমানে অগ্নি ঝুঁকিতে থাকা ঢাকা মহানগরীর বিপণিবিতানগুলোর তালিকা তৈরি করছে। তবে এ ব্যাপারে বরাবরই উদাসীন দোকান মালিক সমিতি। বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স মহানগরী মার্কেটের জয়েন্ট সেক্রেটারি কবির আহমেদ বলেন, ‘আগুন এমনই জিনিস, যখন দুর্ঘটনা ঘটে যায় তখন আর এটাতে কিছুই করার থাকে না। দুর্ঘটনার সময় ফায়ার সার্ভিস আমাদের সহযোগিতা করেছে কিন্তু তারপরেও আমাদের শেষ রক্ষা হয়নি।’ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক আলী আহমেদ খান বলেন, ‘প্রথম দশ মিনিট কিন্তু আপনাকে ফাইট করতে হবে। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই কিন্তু প্রত্যেকটা মার্কেটে ছোট্ট একটা ফায়ার টিম থাকতে হবে।’ বিপণিবিতানগুলোতে অগ্নি দুর্ঘটনা রোধে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে সরকারকে আইন প্রয়োগে কঠোর হওয়ার পরামর্শ নগরবিদদের। নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব বলেন, ‘সরকারেরই দায়িত্ব এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন থেকে এর অধিবাসীদের সরিয়ে সেটিকে ঝুঁকিমুক্ত করা। কেউ যদি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে থাকতে চায় তার জন্য সরকার আইন অনুযায়ী বল প্রয়োগ করতে পারে।’ কিছু কিছু জায়গায় অগ্নি নির্বাপণ সিলিন্ডার চোখে পড়লেও তা প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই অপ্রতুল বা এগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে অনেক আগেই। ঝুঁকিপূর্ণ এইসব বিপণিবিতানগুলোতে সংস্কারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া না হলে যেকোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এজন্য একদিকে যেমন ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে তেমনি সমস্যা সমাধানে সরকারকে হাতে নিতে হবে দীর্ঘমেয়াদী কার্যকরী উদ্যোগ, এমনটাই মত বিশ্লেষকদের।
×