ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘বৃক্ষমানবী’ শাহানাকে নিয়ে হতাশ বাবা ॥ বাড়িতে চলে গেলেন

প্রকাশিত: ০৭:০৪, ২২ এপ্রিল ২০১৭

‘বৃক্ষমানবী’ শাহানাকে নিয়ে হতাশ বাবা ॥ বাড়িতে চলে গেলেন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অসুস্থ ‘বৃক্ষমানবী’ শাহানাকে সঙ্গে নিয়ে হঠাৎ করেই ঢামেক হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ি ফিরে গেলেন তার বাবা। তিনি দাবি করেছেন, চিকিৎসায় তার মেয়ের কোন উন্নতি হচ্ছে না। বরং মেয়ে শারীরিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। সেই সঙ্গে তার আর্থিক দূরাবস্থাও বাড়ছে। তাই চিকিৎসা না চালিয়ে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরে গেলেন তিনি। তবে শাহানাকে সুস্থ করার বিষয়ে চিকিৎসকরা আশাবাদী ছিলেন। গত মাসে তার দেহে অস্ত্রোপচার করে গাছের বাকলের মতো গজিয়ে ওঠা অংশগুলো অপসারণ করা হয়েছে। তাই চিকিৎসকরা চাচ্ছিলেন শাহানা আরও কয়েক সপ্তাহ অন্তত হাসপাতালে থাকুক। এর আগে ৭ ফেব্রুয়ারি শাহানার মুখে প্রথমবারের মতো অস্ত্রোপচার করা হয়। সফল অস্ত্রোপচার হওয়ার পর চিকিৎসকরা আশা করছিলেন শাহানা সুস্থ হয়ে উঠবে। কিন্তু অস্ত্রোপচারের এক মাসের মধ্যেই শাহানার মুখে আবারও গাছের শেকড়ের মতো উঠতে দেখা যায়। এজন্য আবার শাহানার মুখে অস্ত্রোপচার করে শেকড়গুলো কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। এরপর ২২ মার্চ দ্বিতীয়বারের মতো শাহানার মুখে অস্ত্রোপচার করা হয়। কিন্তু তাতেও শাহানার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়ে যান তার গরিব পিতা। কলমাকান্দার লেগুরা ইউনিয়নের বালুচরা গ্রামের দিনমজুর শাহজাহান মিয়ার একমাত্র মেয়ে শাহানা। হঠাৎ অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তার বাবা দিনমজুর মোহাম্মদ শাহাজাহান জনকণ্ঠকে জানান, ‘গত মাসে অপারেশনের পর শাহানার শরীরে আবার গাছের বাকলের মতো অংশগুলো গজায়। আর এবার আগের চেয়ে মোটা আর শক্তভাবে গজিয়েছে। ডাক্তার বলেছেন, আরও ১০ থেকে ১২ বার অপারেশন করতে হবে। কিন্তু আদৌ আমার মেয়ে সুস্থ হবে কিনা সে নিশ্চয়তা তারা দিতে পারছে না। আমি আর চিকিৎসার ব্যাপারে আশাবাদী না। এছাড়া আমার মা হারা মেয়ের পাশে থাকার মতো আমি ছাড়া কেউ নেই। আমার আর্থিক অবস্থাও স্বচ্ছল না।
×