ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপি মানসিক প্রতিবন্ধী দলে পরিণত হয়েছে ॥ আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ২২ এপ্রিল ২০১৭

বিএনপি মানসিক প্রতিবন্ধী দলে পরিণত হয়েছে ॥ আওয়ামী লীগ

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বিএনপি রাজনৈতিকভাবেই বিকারগ্রস্ত হয়ে মানসিক প্রতিবন্ধী দলে পরিণত হয়েছে বলে মনে করে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। দলটির মতে, বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেয়া এবং না নেয়ার গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে। এই সিদ্ধান্ত নেয়া বিএনপির নিজস্ব বিষয়। দেশের সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই হবে। এই নির্বাচনে আমরা আশা করি সকল রাজনৈতিক দল অংশ নেবেন। বিএনপি যদি মনে তারা নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনগণের রায়ের পরীক্ষায় অংশ নিতে চান। তাহলে তারা অবশ্যই অংশ নেবে। শুক্রবার ধানম-ির আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র মাহবুব উল আলম হানিফ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, হাওড়ের দুর্গত এলাকায় আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল পরিদর্শন করেছে। কৃষকরা সরকারের উদ্যোগে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আর বিএনপি পানিবন্দী মানুষকে সহায়তার বদলে দুর্গত মানুষদের নিয়ে রাজনীতি করছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক, লজ্জাকর। ভুটানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অটিজম বিষয়ক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেয়া নিয়ে বিএনপির সমালোচনার জবাব দিতেই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। হানিফ আরও বলেন, আমরা সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও নেত্রকোনার দুর্গত অঞ্চল ঘুরে এসেছি। সেখানে পাহাড়ি ঢলে প্রায় ৮০ ভাগ ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা সব সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি। পানি বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়া চলছে। আগামী সাত দিন যাতে হাওড় অঞ্চলে মাছ ধরা না হয়, সেই আহ্বান জানিয়েছি। এনজিওগুলোকে আপাতত ঋণের সাপ্তাহিক কিস্তি উঠানো বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছি। তিনি বলেন, বিএনপি মানসিক বিকারগস্ত ও প্রতিবন্ধী রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। তারা ক্ষমতায় থাকতে দেশের উন্নয়নে অদক্ষতা এবং ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছিলেন। এ দলের নেতারা সম্প্রতি অপ্রাসঙ্গিক কথা বলে জনগণের কাছে প্রতিবন্ধী ও বিকারগ্রস্ত হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করেছে। তিনি বলেন, অটিস্টিক শিশুদের অনেকেই মেধাবী। উদ্যোগ নেয়া হলে তারা সমাজে অবদান রাখতে পারে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়েমা ওয়াজেদ পুতুলের উদ্যোগ আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হলেও বিএনপির গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, বিএনপিকে একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের পাশে থাকা উচিত। বিএনপি হাওড়াঞ্চলের মানুষের দুর্দশা লাঘবে কোন কাজ না করে মানুষের দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে যেভাবে মিথ্যাচার করেছে তা রাজনীতির জন্য খুবই লজ্জাজনক। কেননা পাহাড়ী ঢলে হাওড়াঞ্চলে বন্যা শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সরকারী কর্মকর্তাদের দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। হানিফ বলেন, রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ হাওড়াঞ্চলের বাসিন্দা হওয়ায় তিনিও দুর্গত ওই এলাকা পরিদর্শন করেছেন। আর ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম ওই হাওড়াঞ্চলেই অবস্থান করছেন। এ অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্তদের নেয়া ঋণের সুদ মওকুফ, সহজ শর্তে ঋণদানসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন না হওয়া পর্যন্ত ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তারপরও সরকার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য কিছুই করেনি-বিএনপির এ ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা-বার্তায় বোঝা যায়, তাদের রাজনীতি এখনও মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তির মধ্যেই পরিচালিত হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, নির্মাণাধীন বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছে। বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতির কথা এসেছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে অপসারণ করা হয়েছে। অনিয়মে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ‘অথর্ব ম্যানেজার’ আখ্যায়িত করে তিনি আরও বলেন, তারা ক্ষমতায় থাকতে দেশের উন্নয়নে অদক্ষতা এবং ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছিল। এখন মির্জা ফখরুল সাহেব সরকারের খুঁত ধরতে ব্যস্ত।
×