ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পুলিশে নারীর সংখ্যা ১০ ভাগ বাড়ানো হবে ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ২২ এপ্রিল ২০১৭

পুলিশে নারীর সংখ্যা ১০ ভাগ বাড়ানো হবে ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বাংলাদেশ পুলিশে নারীর অংশগ্রহণ আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। খুব শীঘ্রই পুলিশে নারীর সংখ্যা ১০ শতাংশে উত্তীর্ণ করা হবে। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশ (পিএসসি) কনভেনশন হলে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। এদিন আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে কর্মক্ষেত্রে নারী পুলিশের অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন এ্যাওয়ার্ড ২০১৭ প্রদান করা হয়েছে। সাতটি ক্যাটাগরিতে ২টি প্রতিষ্ঠান ও ২১ জন নারী পুলিশ সদস্যকে পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও ঐকান্তিক আগ্রহে বাংলাদেশ পুলিশ একটি জেন্ডার সংবেদনশীল সংগঠন হিসেবে গড়ে উঠছে। পুলিশে নারীর অবস্থান দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে। নারী পুলিশের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। নারীরা পুলিশের উচ্চপদে আসীন হচ্ছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, পুলিশে নারীর সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। আগামী ২-১ বছরের মধ্যে পুলিশে নারীর সংখ্যা ১০ শতাংশে উন্নীত করা হবে। ইতোমধ্যে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বর্তমানে ১২ হাজারের বেশি নারী পুলিশে কাজ করছে। থানায় নারী পুলিশ সদস্যের অন্তর্ভুক্তি বাড়ানো হচ্ছে। ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার, উইমেন সাপোর্ট সেন্টারে নারীদের পদায়ন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ফাতেমা বেগম বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ পুলিশে প্রথম নারী। কিছুদিন পূর্বে তিনি অবসর গ্রহণ করেছেন। তিনি আমাদের গর্ব, নারী পুলিশের গর্ব। ভবিষ্যতেও পুলিশে স্থানীয় পদে আরও অধিক সংখ্যক নারী নিযুক্ত হবেন বলে আমি অত্যন্ত আশাবাদী। আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, বাংলাদেশ পুলিশের নারী সদস্যরা পুলিশিংয়ের মতো চ্যালেঞ্জিং পেশায় অনবদ্য অবদান রাখছেন। তাদের কর্মকুশলতা ও পেশাদারত্ব অত্যন্ত উঁচুমানের। নারী পুলিশ সদস্যরা জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য কাজে অত্যন্ত সাফল্য প্রদর্শন করছেন। নারী পুলিশ নিয়ে গঠিত পূর্ণাঙ্গ নারী আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও উইমেন এ্যান্ড ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে কর্মরত নারীরা কর্মক্ষেত্রে দক্ষতার স্বাক্ষর রাখছেন। বাংলাদেশ পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার নির্যাতিত নারী ও শিশুদের একান্ত নির্ভরতা ও আশ্রয়স্থল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিপিডব্লিউএন সভাপতি ডিআইজি মিলি বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানগণ, বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্কের সভাপতি ডিআইজি মিলি বিশ্বাস, নারী পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যগণ এবং উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সাতটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত হলেন যারা সাতটি ক্যাটাগরিতে এন্টারপ্রিনিয়ার উইমেন অর্গানাইজেশন অব দ্য ইয়ার এ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন পুলিশ নারীকল্যাণ সমিতি (পুনাক), উইমেন অর্গানাইজেশন অব দ্য ইয়ার এ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্ক (বিপিডব্লিউএন)। লাইফটাইম এ্যাচিভমেন্ট এ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন অতিরিক্ত আইজিপি ফাতেমা বেগম, বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন লিডারশিপ এ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন রেলওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোছাঃ শেহেলা পারভীন, জামালপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রওনক জাহান ও সিরাজগঞ্জ র‌্যাব-১২-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীণা রানী দাস। মেডেল অব কারেজ পেয়েছেন ডিএমপির সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (খিলগাঁও জোন) নাদিয়া জুঁই, র‌্যাব সদর দফতরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (সরবরাহ) শাখা শামীমা আরা বেগম, ডিএমপির ট্রাফিক (উত্তর) বিভাগ শিক্ষানবিস সার্জেন্ট পান্না আক্তার, বাগেরহাট জেলার গোয়েন্দা শাখার নারী কনস্টেবল অনিমা খাঁ এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের নারী কনস্টেবল মোছাঃ লতা পারভীন। এক্সেলেন্স ইন সার্ভিস পেয়েছেন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কনফিডেন্সিয়াল) তাসমিয়াহ্ তাহলীল, পুলিশ স্টাফ কলেজের উপপরিচালক (একাডেমিক) রওশন সাদিয়া আফরোজ, ডিএমপি গোয়েন্দা (উত্তর) বিভাগের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার নিশাত রহমান মিথুন এবং স্পেশাল ব্রাঞ্চের সহকারী পুলিশ সুপার শামসুন নাহার খানম। কমিউনিটি সার্ভিস এ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন উত্তরা ৮ এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার তানজিনা আক্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া উইমেনস সাপোর্ট সেন্টারের ইনচার্জ সহকারী পুলিশ সুপার সোনিয়া পারভীন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের নারী এসআই (নিরস্ত্র) ইয়াছমিন আরা বেগম এবং বরগুনা জেলার এসআই (নিরস্ত্র) জান্নাতুল ফেরদৌস। পিসকিপিং মিশন পেয়েছেন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (প্রশাসন) রখফার সুলতানা খানম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রেনিং এ্যান্ড স্পোর্টস) মাহফুজা আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রবাসী সহায়তা সেল) আসমা বেগম রিটা এবং স্পেশাল ব্রাঞ্চের এসআই মোসাঃ মর্জিনা খাতুন। অনুষ্ঠানে ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানগণ, বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্কের সভাপতি ডিআইজি মিলি বিশ্বাস, নারী পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যগণ এবং উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
×