ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ঝিনাইদহের জঙ্গী আস্তানা ঘিরে রেখেছে পুলিশ, আজ ফের অভিযান

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ২২ এপ্রিল ২০১৭

ঝিনাইদহের জঙ্গী আস্তানা ঘিরে রেখেছে পুলিশ, আজ ফের অভিযান

এম রায়হান, ঝিনাইদহ থেকে ॥ ঝিনাইদহ সদরের পোড়াহাটি গ্রামের একটি বাড়ি জঙ্গী আস্তানা সন্দেহে এখনও ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আস্তানায় জঙ্গী থাকতে পারে। ঘরে বিপুল বিস্ফোরকদ্রব্য ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। ফলে নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে রাতের অভিযান স্থগিত করা হয়েছে। শনিবার সকালে অভিযান শুরু করা হবে। এলাকা কর্ডন করে রাখা হয়েছে। শুক্রবার রাত দশটার দিকে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি দিদার আহাম্মদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, পোড়াহাটি গ্রামের একটি বাড়ি দীর্ঘদিন গোয়েন্দা নজরদারিতে রেখে শুক্রবার বাড়িটি কর্ডন করা হয়। সাময়িক অভিযানে বিরতি দেয়া হয়েছে। আমরা তথ্য পাচ্ছি, বাড়িটিতে জঙ্গী রয়েছে এবং অনেক এক্সপ্লোসিভ, বোমা তৈরির সরমঞ্জামাদি, অস্ত্র ও গোলাবারুদ থাকতে পারে। তাই সকল সতর্কতা অবলম্বন করে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, এখানে একজন কনভার্টেড মুসলিম আছে, তারই কর্মপরিকল্পনা ঘিরে জানা গেছে সে জেএমবি সদস্য। এখনও কোন কিছু উদ্ধার করা হয়নি। শনিবার সকালে অভিযান শুরু করা হবে। এর আগে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানিয়েছিলেন, তারা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরেছেন পোড়াহাটি গ্রামের নও মুসলিম আব্দুল্লাহর বাড়িতে জঙ্গী অবস্থান করছে। খবর পেয়ে পুলিশ সন্ধ্যা ছটার দিকে ওই বাড়ি ঘিরে ফেলে। ঢাকা থেকে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটও আনা হয়েছে। তিনি জানান, যে বাড়িটি ঘিরে রাখা হয়েছে তা ২ রুমবিশিষ্ট টিনের একটি বাড়ি। বাড়ির মধ্যে কেউ নেই তা (রাত ৮টা পর্যন্ত) অনেকটা নিশ্চিত। তবে বিপুল বিস্ফোরক আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ অভিযানের প্রস্তুতি নিয়ে অপেক্ষা করছে। এখনও বিস্ফোরকদ্রব্য উদ্ধার হয়নি। তবে কখন চূড়ান্ত অভিযান শুরু হবে বা বিস্ফোরকদ্রব্য উদ্ধার হবে এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান আরও বলেন, ঢাকা থেকে বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ টিম আসার পর উদ্ধার কাজ শুরু করা হবে। এখনও কোন বিস্ফোরক বা অস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি। এদিকে সন্ধ্যা থেকে হ্যান্ডমাইকে পুলিশ বাড়ির আশপাশের লোকজনকে নিরাপদ দূরত্বে সরে যেতে বলছেন। গ্রামের কোন মানুষ ভয়ে বাইরে বের হচ্ছে না। গ্রামের কেউ বাড়ির দরজা-জানালা খুলছেন না। এলাকায় জেনারেটর দিয়ে লাইটিং করা হয়েছে।
×