ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

শেষের শুরু মিসবাহ-ইউনুসের

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ২১ এপ্রিল ২০১৭

শেষের শুরু মিসবাহ-ইউনুসের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পাকিস্তান ক্রিকেটের অন্যতম সফল দুই কা-ারি ইউনুস খান এবং মিসবাহ-উল হক। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর ঘোষণা দিয়েছেন। জ্যামাইকার সাবিনা পার্কে শেষ ক্যারিয়ারের টুর্নামেন্টের প্রথম টেস্ট শুরু আজ। দেশের ক্রিকেটের অভিজ্ঞ দুই সেনানীর বিদায়ী টেস্ট সিরিজ জয় দিয়ে শেষ করার লক্ষ্যেই মাঠে নামবে পাকিস্তান। আর নিজেদের মাটিতে পাকিস্তানের কাছে এখনও সিরিজ না হারের চ্যালেঞ্জ ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত চলতি মাসেই জানিয়ে দেন মিসবাহ-উল হক। অধিনায়কের সিদ্ধান্তের কিছুদিন পর ক্যারিবীয় সফর শেষে ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর কথা বলে দেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ইউনুস খানও। তাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাকিস্তানের কাছে এই সিরিজটি মিসবাহ-ইউনুসময়। মিসবাহ-ইউনুসের সিরিজটি জয় দিয়েই শেষ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ওয়ানডে এবং টি-২০ অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান ক্রিকেটে তাদের অবদান অনেক। মিসবাহ-ইউনুসের পারফর্মেন্সে পাকিস্তান ক্রিকেট বহুবারই আনন্দে ভাসার উপলক্ষ পেয়েছে। এবার তাদের বিদায়টাও আনন্দায়ক করতে চাই আমরা।’ তবে সিরিজ নিয়ে এখনই ভাবছেন না পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়ক মিসবাহ। ম্যাচ বাই ম্যাচ এগিয়ে ভালভাবে সিরিজটা শেষ করতেই বদ্ধপরিকর তিনি। ম্যাচের আগের দিনের সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন মিসবাহ। তিনি বলেন, ‘সিরিজ তিন ম্যাচের। প্রত্যক ম্যাচ নিয়েই আমাদের আলাদা আলাদা পরিকল্পনা থাকবে। ম্যাচ ধরে এগোতে পারলে সিরিজ জয়টা সহজ হবে।’ তবে জীবনের শেষ টুর্নামেন্টটাকে কিভাবে স্মরণীয় করে রাখতে চান মিসবাহ? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পাকিস্তানের অধিনায়ক বলেন, ‘ক্যারিয়ারের শেষ সিরিজটি স্মরণীয় করতে রাখার লক্ষ্য আমারও রয়েছে। প্রথমবারের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে সিরিজ জিততে পারলে শেষটা অনেক বেশি স্মরণীয়ই হয়ে থাকবে আমার আর ইউনুসের। সেই চেষ্টাই করব আমরা।’ পাকিস্তানের সাবেক এবং বর্তমান টেস্ট অধিনায়কের বিদায়ী সিরিজটিকে নিজেদের করে রাখতে মরিয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজও। সিরিজ জয়ের জন্য অতীত রেকর্ডও আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে ক্যারিবীয়দের। নিজেদের মাটিতে পাকিস্তানের কাছে এখন পর্যন্ত কোন টেস্ট সিরিজ হারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সাতটি টেস্ট সিরিজের মধ্যে চারটিতেই জয়ের স্বাদ পেয়েছে ক্যারিবীয়রা। বাকি তিন সিরিজ ড্র হয়। তাই অতীত রেকর্ড থেকে লড়াই করার রসদ খুঁজছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। এ প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে এই সিরিজটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। নিজেদের প্রমাণের দারুণ এক সুযোগ আমাদের সামনে। পাকিস্তান অনেক বেশি শক্তিশালী। তারপরও আমরা সর্বাত্মক চেষ্টাটাই করব ভাল ক্রিকেট খেলার জন্য। অতীতে আমাদের এখানে এসে কখনও সিরিজ জিততে পারেনি পাকিস্তান। এবারও পাকিস্তানকে রুখে দিতে পারব বলে আমি বেশ আশাবাদী। তবে সিরিজের শুুরুটা ভাল করতে হবে এবং পরবর্তীতে তা অব্যাহত রাখতে হবে। তিন বিভাগেই ভাল ক্রিকেট খেলতে হবে আমাদের।’ ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে কখনও সিরিজ জিততে পারেনি পাকিস্তান। তবে অন্য একটি অতীত রেকর্ডে বেশ এগিয়ে রয়েছে তারা। ২০০০ সালের পর থেকে পাকিস্তানের বিপক্ষে কোন টেস্ট সিরিজ জিততে পারেনি ক্যারিবীয়রাও। ২০০০ সালের পর পাঁচটি সিরিজের মধ্যে তিনটিতেই জয়ের স্বাদ পেয়েছে পাকিস্তান। এছাড়া বাকি দু’টি ড্র হয়েছে। এখন পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তান মোট ১৬টি সিরিজ খেলেছে। এর মধ্যে ৫টি করে সিরিজ জিতেছে দুই দল। আর ৬টি সিরিজ হয় ড্র। আগামী ৩০ এপ্রিল হবে দ্বিতীয় ম্যাচটি। পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের শেষটি হবে ১০ মে। এদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের শেষ টুর্নামেন্টের আগে নতুন এক মাইলফলক হাতছানি দিচ্ছে ইউনুস খানকে। পাকিস্তানের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করতে তার প্রয়োজন আর মাত্র ২৩ রান।
×