ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ২১ এপ্রিল ২০১৭

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ ২০১৮ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীকে শতভাগ আলোকিত করার লক্ষ্যে সোলার ও নন-সোলার প্রকল্পের অধীনে প্রায় ২৮ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেছে সিটি কর্পোরেশন। সে অনুযায়ী সোলারের আওতায় দুই কিলোমিটার এলাকায় ১০৩টি বাতি এবং নন-সোলারের আওতায় ৫৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তিন হাজার ১৭টি বাতি স্থাপন করা হবে। এছাড়া চট্টগ্রাম নগরীকে স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্ণফুলী নদীর তীরে দেয়াল নির্মাণ, ২৫টি খাল ড্রেজিং এবং খালের মুখে পাম্প হাউসসহ সøুইসগেট নির্মাণে দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছে। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ২১তম সাধারণ সভায় এসব প্রকল্প এবং গৃহীত পদক্ষেপ অবহিত করেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। তিনি জানান, চলতি অর্থবছরের ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত কর্পোরেশনের নিজস্ব থোক ও রাজস্ব বরাদ্দ থেকে ৮৯টি প্রকল্পের অধীনে প্রায় ১১ কোটি ৫৫ লাখ টাকার খাল ও ড্রেন হতে মাটি উত্তোলন ও অপসারণ কার্যক্রম, চসিকের থোক ও রাজস্ব বরাদ্দ থেকে ৪১টি ওয়ার্ডে ৪১৬টি প্রকল্পের অধীনে ১৬০ কোটি ২৩ লাখ টাকার সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প এবং এডিপির আওতায় ৫৭টি প্রকল্পের অধীনে ১৬২ কোটি ৭২ লাখ টাকার সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। সিটি মেয়র বলেন, পরিবেশবান্ধব, স্বাস্থ্যকর ও বিশ্বমানের বাসোপযোগী নগরী গড়ে তোলার লক্ষ্যে আবর্জনা ব্যবস্থাপনায় গৃহীত কমসূচীর অধীনে প্রায় ১৭শ’ নতুন সেবক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ডোর টু ডোর আবর্জনা সংগ্রহ ও অপসারণ কার্যক্রম শতভাগ সফল করার জন্য কাউন্সিলরদের দায়িত্ব নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এ বছরের মধ্যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শতভাগ সফলতা অর্জন করতে হবে। এছাড়াও জাইকার আওতায় পোর্ট কানেকটিং রোড, আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে ফ্লাইওভার, শিক্ষা ভবন নির্মাণ, ওভারপাস নির্মাণ ইত্যাদি প্রকল্প সাধারণ সভায় উত্থাপন করা হয়। মেয়র বলেন, নতুন এ্যাসফল্ট প্লান্ট চালু হলে সিডিএ, ওয়াসা, পিডিবি, টিএ্যান্ডটি, রোডস এ্যান্ড হাইওয়েসহ বিভিন্ন সংস্থার উন্নয়নকাজের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কসমূহ মানসম্পন্নভাবে দ্রুত মেরামত করা সম্ভব হবে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ড্রেনেজ ও স্যুয়ারেজ মাস্টারপ্ল্যান প্রণীত হচ্ছে। এর অধীনে প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রামবাসী সুফল ভোগ করবে। পাওয়ার চায়নার মাধ্যমে ড্রেনেজ মাস্টারপ্ল্যান প্রণীত হবে। কিছুদিনের মধ্যে পাওয়ার চায়না তাদের প্রকল্প প্রস্তাবনা সিটি কর্পোরেশনকে অবহিত করবে। সরকার টু সরকার পদ্ধতিতে এ ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়িত হবে। তিনি বলেন, বন্দরের অর্থায়নে এ বছরেই মহেষ খালের মুখে পাম্প হাউসসহ সøুইসগেট নির্মাণকাজ বাস্তবায়িত হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ৫০ জন গরিব ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাকে তাঁদের নিজস্ব ভিটায় গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ভবন নির্মাণ করে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। চসিক মেয়রের সভাপতিত্বে সাধারণ সভায় উপস্থিত ছিলেনÑ সাধারণ ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর, অফিসিয়াল কাউন্সিলর, কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সামসুদ্দোহা এবং বিভাগীয় প্রধানগণ। সভা সঞ্চালনা করেন চসিক সচিব মোহাম্মদ আবুল হোসেন। সাধারণ সভায় ২০তম সাধারণ সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন এবং স্থায়ী কমিটিসমূহের কার্যবিবরণী অনুমোদিত হয়।
×