ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আগামী নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপির অস্তিত্ব থাকবে না ॥ নাসিম

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ২১ এপ্রিল ২০১৭

আগামী নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপির অস্তিত্ব থাকবে না ॥ নাসিম

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ আগামী ২০১৯ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলে বাটি চালান দিয়েও তাদের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না। যতই দাবি করেন না কেন আগামী নির্বাচন হবে শেখ হাসিনার অধীনেই। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার রক্ষার আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। বৃহস্পতিবার বিকেলে দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আনুষ্ঠানিক নামকরণ ও আইসিইউ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম এমপি এসব কথা বলেন। গত ২৮ মার্চ সরকার এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নামকরণ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও সাবেক সংসদ এম আবদুর রহিমের নামে ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে তার উদ্বোধন করেন। এর আগে মন্ত্রী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১০ শয্যাবিশিষ্ট অত্যাধুনিক আইসিইউ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচন হবে শেখ হাসিনার অধীনে। যতই কথা বলুন, দেশ চলবে সংবিধান অনুযায়ী। সংবিধানে সহায়ক সরকারের কোন বিধান নেই। বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচনে বিএনপিকে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যদি নির্বাচনে না আসেন তাহলে বাটি চালান দিয়েও বিএনপির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না। নির্বাচনের মাঠে নামুন রেফারি নির্বাচন কমিশন যে কোন মূল্যে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করবে। জনগণ যার পক্ষে রায় দেবেন, তিনি দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পাবেন। বিএনপির দাবি নাকচ করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পরাজয় মেনে নিয়েছে। জনগণের রায় মেনে নেয়ার অভিপ্রায় আওয়ামী লীগের আছে। কেউ আসুক বা না আসুক সংবিধান অনুযায়ী ২০১৯ সালে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এম আবদুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের উন্নয়নের জন্য আগামী ৫ বছর ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে কলেজ ও হাসপাতালের সম্প্রসারণ, নার্স ও ইন্টার্ন ডাক্তারদের আবাসন, অডিটরিয়ামসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা- বাস্তবায়ন করা হবে। জেনারেল হাসপাতালের জন্য ৫ কোটি টাকা নির্মাণকাজে ব্যয় করা হবে। তিনি বলেন, সারা দেশে ৪০ হাজার নার্স ও কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হবে। শীঘ্রই ৫ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হবে। আগামীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে এম আবদুর রহিম মেডিক্যাল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডাঃ কামরুল আহসানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এমপি। তিনি বলেন, এই অঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি অনুযায়ী দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নাম পরিবর্তন করে এম আবদুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল করা হয়েছে। আগামীতে এই মেডিক্যাল কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করার জন্য তিনি প্রস্তাব রাখেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাবিশ্বে জঙ্গী দমনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের হুইপ এম ইকবালুর রহিম এমপি। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, তার বাবা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। তার নামে দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নামকরণ করায় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিএমএর কেন্দ্রীয় সভাপতি ডাঃ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ সারওয়ার জাহান, জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম, রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ মোঃ মোজাম্মেল হক, মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ডাঃ কান্তা রায় রিমি, জেলা বিএমএর সাধারণ সম্পাদক ডাঃ বি কে বোস, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের জেলা সভাপতি ডাঃ শহিদুল ইসলাম খান, এম আবদুর রহিমের পরিবারের পক্ষ থেকে ২ কন্যা ডাঃ নাদিরা সুলতানা ও নাসিমা সুলতানা এবং মেডিক্যাল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আসিফ শামস।
×