ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

পটিয়ায় বাউন্ডারি ওয়াল ভাংচুর গুলি ॥ আতঙ্ক

প্রকাশিত: ০৫:১৪, ২১ এপ্রিল ২০১৭

পটিয়ায় বাউন্ডারি ওয়াল ভাংচুর গুলি ॥ আতঙ্ক

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটিয়া, চট্টগ্রাম, ২০ এপ্রিল ॥ পুরো এলাকার বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফিল্মি স্টাইলে সন্ত্রাসীরা পটিয়া-চন্দনাইশ সীমান্তের মুরাদাবাদ এলাকায় বাউন্ডারি ওয়াল ভাংচুর করেছে। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। আগ্নেয়াস্ত্র, রামদা, কিরিচ, লাঠিসোটা নিয়ে ৬০-৭০ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ চট্টগ্রাম চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির আবু তাহেরসহ পাঁচ ভাইয়ের ক্রয়কৃত জায়গার বাউন্ডারি ওয়াল ভাংচুর করেছে। বিদ্যুত লাইন বিচ্ছিন্ন করে সন্ত্রাসীরা তা-ব চালালে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সন্ত্রাসীরা ১০-১৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে বাউন্ডারি ওয়াল ভাংচুর করে। প্রায় এক ঘণ্টা এই তা-ব চলে। খবর পেয়ে চন্দনাইশ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির আবু তাহেরের বড় ভাই চট্টগ্রাম জজ আদালতের পেশকার মোঃ ইসমাইলের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে মূলত এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার জন্য একপক্ষ আরেক পক্ষকে দায়ী করছে। জানা গেছে, পটিয়া-চন্দনাইশ সীমান্তের কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের মুরাদাবাদ গ্রামের গোলাম মাহমুদের ছয় ছেলে। তাদের মধ্যে বড় ছেলে ইসমাইল একপক্ষ ও এ্যাডভোকেট আবুল কাশেম, এ্যাডভোকেট আবুল কালাম, ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির আবু তাহের, ডাক্তার আবু তৈয়ব ও এ্যাডভোকেট আবু তালেব আরেক পক্ষ। ২০১৬ সালে পাঁচ ভাই মিলে বড় ভাই ইসমাইলের বাড়ির সামনে ৪৮ শতক জায়গা ক্রয় করেন। বড় ভাইকে বাদ দিয়ে বাড়ির সামনে জায়গা ক্রয় করার কারণে আবু তাহের ও ইসমাইলের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। কাজে বাধা দেয়ায় প্রথমে এ্যাডভোকেট আবুল কাশেম বাদী হয়ে একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় বুধবার আসামি শাহ আলম মেম্বার, আবদুল নবী, ইসমাইল, আহমদ নবী ও সোহেলকে বিচারক জেলহাজতে প্রেরণ করেন। এদিন রাতেই মুখোশ পরিহিত সন্ত্রাসীরা এলাকার বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে বাদী আবুল কাশেমদের বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙ্গে সাড়ে ৭ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে। গ্রামবাসীর অভিযোগ, দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্বের কারণে এলাকার নিরীহ মানুষকে জেলহাজতে যেতে হয়েছে। কবরস্থানে যাওয়ার একটি রাস্তা বাউন্ডারি ওয়ালের ভেতরে ঢুকিয়ে ফেলার প্রতিবাদ করায় এলাকার লোকজনকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। আবু তাহের বলেন, সন্ত্রাসীরা ফিল্মি স্টাইলে তাদের বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙ্গে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে রাতে ঘরে ঢুকে ডাকাতিও করেছে। বর্তমানে তিনি ও তার পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। আবু তাহেরের বড় ভাই ইসমাইল বলেন, সন্ত্রাসীরা যে বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙ্গেছে তার সঙ্গে কোন সম্পৃক্ততা নেই।
×