ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নবম ও দশম শ্রেণি;###;সুধীর বরণ মাঝি

শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ২০ এপ্রিল ২০১৭

শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা

শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া শিক্ষক, হাইমচর কলেজ, হাইমচর-চাঁদপুর। মোবাইল : ০১৭৯৪৭৭৭৫৩৫ (পঞ্চম অধ্যায়) ১। তৃষা ও শশী দুই বন্ধু স্কুল ছুটির পর মাঠে প্রতিদিন সহপাঠিদের সাথে বিকেলে একঘন্টা খেলাধুলা করে।তৃষা কিছুক্ষন খেলার পর নিন্তেজ হয়ে পড়ে । তাছাড়া তার শরীর প্রায় ফুলে যায়। অপরদিকে শশীর শিক্ষিত মা পরিবারের পুষ্টি চাহিদা পূরণের জন্য বাড়তে হাঁস-মুরগী পালন এবং শাক-সবজি চাষ করেন। তিনি রান্না-বান্না এবং খাবার পরিবেশেনেও যথেষ্ট সচেতন। ক) সুষম খাদ্য কাকে বলে? খ) বটিউলিজম বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর। গ) উদ্দীপকে তৃষার সমস্যাটি ব্যাখ্যা কর। ঘ) শশীর মা’র সচেতনতাই পারে পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে। বিশ্লেষণ কর। ক) উত্তর ঃ যে খাদ্যে খাদ্যের ৬টি উপাদান আর্দশ অনুপাতে থাকে সেই খাদ্যকে সুষম খাদ্য বলে। অর্থাৎ ৬টি উপাদান সমৃদ্ধ খাদ্যই হলো সুষম খাদ্য। খ) উত্তর ঃ যে খাদ্য বা পানীয় খাদ্যনালী ও পরিপাকতন্ত্রের অন্দ্রে ব্যাকটোরিয়া বা জীবাণু দ্বারা বিষাক্ত হয় সেই খাদ্য বা পানীয় গ্রহণ করলে ফুড পয়জিনিং হয়। এ ধরণের ফুড পয়জিনিংকে বলা হয় বটিউলিজম। এরূপ বিষক্রিয়ার লক্ষণ খাদ্য গ্রহণের ১২ থেকে ২৪ ঘন্টা পরে দেখা দেয়। যথা সময়ে চিকিৎসা গ্রহণ না করলে রোগী কয়েক দিনের মধ্যে মারা যায়। যে ব্যক্তি নিজের চাহিদা ও পরিবেশের মধ্যে সাফল্যের সাথে সঙ্গতি বিধানর করতে পারে সেই শারীরিকভাবে ও মানসিক দিক দিয়ে সুস্থ। গ) উত্তর ঃ উদ্দীপকে তৃষা কোয়াশিওরকর রোগে আক্রান্ত। বেঁচে থাকা,স্বাস্থ্য রক্ষা এবং শরীর বৃদ্ধির জন্য মানুষের খাদ্যের প্রয়োজন। পরিশ্রম করার জন্য শক্তির দরকার। পুষ্টিকর খাদ্য মানুষের পরিশ্রম করার জন্য শক্তির জোগান দেয়। খাদ্যে আমিষের পরিমাণ কম হলে মাংসপেশি গড়ে ওঠার বদলে ক্ষয় পেতে থাকে। শরীরে পানি আসে,ফুলে যায় এবং শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এ রোগের নাম কোয়াশিওরকর। তৃষার এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রধান কারণ হলো খাদ্য সম্পর্কে পরিবারের সদস্যদের অজ্ঞতা ও অবহেলা। খাদ্য উপাদান এবং পুষ্টিজ্ঞান সম্পর্কে সঠিক ধারনা না থাকলে এবং খাদ্যে আমিষের পরিমাণ যথাযথ পরিমাণে না থাকায় তৃষার কোয়াশিওরকর রোগটি দেখা দেয়। সর্বোপরি আমিষ জাতীয় খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে তৃষার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠবে। ঘ) উত্তর ঃ একটি পরিবারের পুষ্টি চাহিদা পূরণ এবং পরিবারের যতেœ প্রধান ভূমিকা পালন করেন একজন সচেতন মা। ফ্রান্সের বিখ্যাত স¤্রাট নেপোলিয়ান বনোপোর্ট বলেছিলেন, ”তোমরা আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও, আমিতোমাদেরকে একটি শিক্ষিত জাতি দেব।” উদ্দীপকে শশীর মা একজন শিক্ষিত মহিলা। তিনি জানেন পরিবারের সকলের স্বাস্থ্যরক্ষায় পুষ্টিকর খাদ্যের বিকল্প নেই। একজন সচেতন মা খুব সহজেই একটি পরিবারের স্বাস্থ্যরক্ষা করতে পারেন। শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য সঠিক পরিমাণে সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হয়। একজন সচেতন মা পরিবারের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য পুষ্টি সম্পর্কে সঠিক ধারনা, খাদ্যের গুনাগুন,খাদ্য প্রস্তুত এবং খাদ্য পরিবেশন সম্পর্কে সঠিক ধারনা থাকে। শশীর মা শিক্ষিত ও সচেতন। তিনি জানেন খাদ্যের পুষ্টিগুন, খাদ্য প্রস্তুত ,রান্না করা এবং পরিবেশন করার পদ্ধতি সম্পর্কে। তিনি পরিবারের স্বাস্থ্য রক্ষার এবং পুষ্টি চাহিদা পূরণের জন্য হাঁস-মুরগী পালন ও শাক-সবজি চাষ করেন। রান্না করা এবং পরিবেশনের সময় যথেষ্ট সর্তকতা অবলম্বন করেন। যা পরিবারের স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে সচেতনতার পরিচয় বহন করে। উদ্দীপকের আলোকে আমরা বলতে পারি শশীর মা’র সচেতনতাই পরিবারের স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে প্রাধান নিয়ামক। সবশেষ বলা যায় খাবারের প্রতি সচেতনতা এবং পুষ্টিকর খাদ্যই পরিবারের স্বাস্থ্যরক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা পাল করবে।
×