ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রেফারি ডাকাতি করে জিতিয়েছে রিয়ালকে!

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ২০ এপ্রিল ২০১৭

রেফারি ডাকাতি করে জিতিয়েছে রিয়ালকে!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ রেফারিং নিয়ে ইদানীং হৈচৈ হচ্ছে বেশ। চ্যাম্পিয়ন্স লীগেই বিতর্কিত বাঁশি বেশি চোখে পড়ছে। শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে পিএসজির বিরুদ্ধে বার্সিলোনার পক্ষে নির্লজ্জ বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। তাতে অসম্ভবকে সম্ভব করে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে আসে মেসি-নেইমার-সুয়ারজের দল। কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বেয়ার্ন মিউনিখও এমন শিকার বলে অভিযোগ। ম্যাচটি রিয়াল মাদ্রিদ জিতেছে ৪-২ গোলে। কিন্তু এতে বাজে রেফারিং ভূমিকা রেখেছে বলে অভিযোগ জার্মান জায়ান্টদের। রিয়ালের জয়কে ‘বাস্তব ডাকাতি’ বলে মন্তব্য করেছেন ম্যাচে লালকার্ড দেখা আর্টুরো ভিদাল। রেফারির কড়া সমালোচনা করেছেন আরিয়ান রোবেন, ফ্রাঙ্ক রিবেরিসহ অনেকে। সরব হয়েছেন বাভারিয়ানদের সাবেকরাও। ম্যাচটা দেখার পর মেজাজ আর ধরে রাখতে পারেননি মাইকেল বালাক। টুইট করে সাবেক এই জার্মান তারকা বলেন, ‘কেলেঙ্কারি। কখনই লাল কার্ড হয় না।’ বার্সিলোনার ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকে টুইটে কিছুই বলেননি, কেবল তিনটি ডট চিহ্ন দিয়ে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। লিভারপুলের সাবেক তারকা ফুটবলার জন আর্নে রিজি তার টুইটে বলেন, বেয়ার্ন মিউনিখ বিদায় নিলে সেটি হবে রেফারির কারণে। একটি ভুল লাল কার্ড ও অফসাইডে থেকেও গোল। চ্যাম্পিয়ন্স লীগে এত বাজে রেফারিং। দুই লেগ মিলিয়ে বেয়ার্নকে ৬-৩ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শেষ চারে উঠেছে রিয়াল। তবে রিয়ালের জয় ছাপিয়েও প্রশ্ন উঠেছে হাঙ্গেরিয়ান রেফারি ভিক্টর কাসাইয়ের রেফারিং নিয়ে। ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে ভিদাল ইস্কোকে বাজেভাবে ট্যাকল করে হলুদ কার্ড দেখেন। ম্যাচের ৮৪ মিনিটে আসেনসিওকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। তবে রিপ্লেতে দেখা যায়, হলুদ কার্ড খাওয়ার মতো ট্যাকল করেননি ভিদাল। এরপরই শুরু হয় রেফারির মু-ুপাত। বিতর্ক ছড়িয়েছে রোনাল্ডোর শেষ দুটি গোলও। ১০৪তম মিনিটে রামোসের দেয়া বলে গোল করার সময় পরিষ্কারভাবে অফসাইড ছিলেন পর্তুগীজ তারকা। পাঁচ মিনিট পর আবার অফসাইডে গোল করেন বলে অভিযোগ প্রতিপক্ষের। দুবারই রেফারির চোখ গলিয়ে বের হয়ে যান সি আর সেভেন। এখানেই দারুণ ক্ষেপেছেন বেয়ার্ন সমর্থকরা। লাল কার্ড দেখে মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়া ভিদাল এটিকে চুরি বলেছেন। তিনি বলেন, এটা পরিষ্কারভাবে ডাকাতি। দুটি বড় দলের চ্যাম্পিয়ন্স লীগের মতো বড় আসরে এতা বড় ডাকাতি মেনে নেয়া যায় না। এসব ঘটনায় ভিডিও রিপ্লে না দেখায় রেফারির সমালোচনা করেন বেয়ার্নের স্প্যানিশ তারকা থিয়াগো আলকান্টারা। তিনি বলেন, ভিডিও রিপ্লে বিষয়টি রেফারি দ্রুতই এড়িয়ে গেছেন। তারা যোগ্যতাসম্পন্ন রেফারি হতে পারেন। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লীগের মতো লেভেলে এমনটা হওয়ার নয়। রেফারিং নিয়ে রোবেন বলেন, এটা পরিষ্কার ডাকাতি। আমার ধারণা এমনই। এটা লজ্জারও। রোনাল্ডোর দুটি অফসাইডের স্কিন শট ইনস্ট্রাগ্রামে আপলোড করে বেয়ার্নের ফরাসী উইংগার রিবেরি লিখেছেন, ঘটনা প্রমাণিত, এক বছর কঠিন পরিশ্রমের পর রেফারিকে ধন্যবাদ। বেয়ার্ন কোচ কার্লো আনচেলোত্তি বলেন, আমি মনে করি না রিয়াল রেফারিকে প্রভাবিত করেছে। অফিসিয়ালরা সাধারণ ভুল করেছে। আমি কখনও ভিডিও প্রযুক্তির পক্ষে নই তবে এক্ষেত্রে সেটার দরকার ছিল। তবে এমন অভিযোগ নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ রিয়াল কোচ জিনেদিন জিদান। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, রেফারি নয় রিয়ালকে জিতিয়েছে তদের করা ৬ গোল। এদিকে আরেকবার এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে সেমিফাইনালে পৌঁছে দিয়ে উচ্ছ্বাসে ভাসছেন দলটির কোচ দিয়াগো সিমিওনে। তিনি বলেন, সবকিছু করার জন্য আমাদের একটাই উপায় আছে। সেটা জেদ, জেদ এবং জেদ। এই জেদই আমাদের এই পর্যন্ত নিয়ে এসেছে। আর্জেন্টাইন এই কোচ আরও বলেন, আমি যখন এ্যাটলেটিকোতে যোগ দিই, তখন আমার একমাত্র আশা ছিল দলটাকে প্রতিযোগিতামূলক করা। কিছু গোলমাল থাকতে পারে তবে আমি মনে করি আমরা প্রকৃতপক্ষে ভাল প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছি।
×