ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

হাইব্রিড গাড়িতে ৩৫ শতাংশ ভর্তুকি চায় বারভিডা

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ২০ এপ্রিল ২০১৭

হাইব্রিড গাড়িতে ৩৫ শতাংশ ভর্তুকি চায় বারভিডা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব গাড়ি ব্যবহারকে উৎসাহিত করতে হাইব্রিড গাড়ির দামের ওপর ৩৫ শতাংশ সাবসিডি সুবিধা দাবি করেছে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিকলস ইম্পোর্টার্স এ্যান্ড ডিলার্স এ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)। বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রাকবাজেট আলোচনা সভায় সংগঠনের পক্ষ থেকে সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট মোঃ হাবিব উল্লাহ ডন এ দাবি জানান। এর আগে ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট আলোচনায় প্রায় একই ধরনের দাবি জানিয়েছিল সংগঠনটি। বারভিডার এবারের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, জ্বালানি সাশ্রয়, যাত্রীর নিরাপত্তা, দূষণ থেকে পরিবেশ রক্ষার জন্য আধুনিক প্রযুক্তির হাইব্রিড গাড়ি গুরুত্বপূর্ণ। অথচ সাধারণ গাড়ির দামের চেয়ে হুবহু একই মডেলের হাইব্রিড ইঞ্জিনযুক্ত গাড়ির মূল্য ২১ থেকে ২৫ শতাংশ বেশি। তাই ২৫ শতাংশ সাবসিডি দিয়ে শুল্কায়ন করা হলে হাইব্রিড গাড়ি আমদানি বৃদ্ধির ফলে সরকারের রাজস্ব নিশ্চিত বৃদ্ধি পাবে। এতে সরকারের রাজস্ব ঘাটতি হবে না। বেশি যাত্রী পরিবহনে সক্ষম ১২ থেকে ১৫ আসনের মাইক্রোবাস আমদানির সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশের পরিবর্তে সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের প্রস্তাব দেয়া হয় বারভিডার পক্ষ থেকে। এর পক্ষে যুক্তিতে বারভিডার পক্ষ থেকে বলা হয়, পর্যটন শিল্প, অফিস, কারখানা, শিক্ষার্থী ও রোগী পরিবহনে ব্যবহৃত এ্যাম্বুলেন্স ইত্যাদি কাজে এসব মাইক্রোবাস গণপরিবহনের সমার্থক হিসেবে কাজ করে। তাই আশা করছি, বিপুলসংখ্যক নাগরিকের ব্যবহারে নিয়োজিত ওই মাইক্রোবাসকে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করা হবে। আলোচনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন এনবিআর সদস্য (মূসকনীতি) ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন। সভায় এনবিআর ও বারভিডার শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। জার্মানিতে কাস্টিং পার্টস রফতানি করছে ওয়ালটন অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ জার্মানভিত্তিক বিশ্বের শীর্ষ হাইজহোল্ড কম্প্রেসার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ‘সিকপ জিএমবিএইচ’ এ যন্ত্রাংশ রফতানির মাধ্যমে যাত্রা শুরু করল নবনির্মিত ওয়ালটন কম্প্রেসার কারখানা। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ওয়ালটন কম্প্রেসার কারখানা উদ্বোধন করেন। ওই দিনই অর্থমন্ত্রীর সামনে রফতানি সংক্রান্ত নথি উপস্থাপন করে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, প্রথম ধাপে সিকপ ৪ লাখ কাস্টিং পার্টস নিচ্ছে ওয়ালটন থেকে। যার শিপমেন্ট সম্পন্ন হবে চলতি মাসেই। সিকপে বার্ষিক ১ মিলিয়ন কাস্টিং পার্টস রফতানির চুক্তিও ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে ওয়ালটন। যন্ত্রাংশের পাশাপাশি সম্পূর্ণ তৈরি কম্প্রেসার রফতানির প্রক্রিয়াও চলছে। উল্লেখ্য, কম্প্রেসার তৈরির কাঁচামাল হিসেবে বার্ষিক প্রায় ৭ মিলিয়ন যন্ত্রাংশ প্রয়োজন হয় সিকপে। চাহিদার পুরোটাই বাংলাদেশে তৈরি যন্ত্রাংশ দিয়ে মেটানোর প্রত্যাশা করছে ওয়ালটন। সিকপের পাশাপাশি জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া ভিত্তিক খ্যাতনামা কম্প্রেসার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকেও বার্ষিক ২ মিলিয়ন যন্ত্রাংশ রফতানির আদেশ পেতে যাচ্ছে ওয়ালটন।
×