ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিপত্র জারি

মৃত ব্যক্তির টাকা পাবেন নমিনি

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ২০ এপ্রিল ২০১৭

মৃত ব্যক্তির টাকা পাবেন নমিনি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ব্যাংক-কোম্পানি আইন অনুসারে আমানতকারীর মৃত্যুর পর তাদের মনোনীত নমিনীকেই অর্থ পরিশোধ করতে হবে। বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করে তফসিলি ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠিয়েছে। পরিপত্রে বলা হয়েছে, সম্প্রতি কিছু কিছু ব্যাংক আমানতকারীদের মনোনীত নমিনির কাছ থেকে এই মর্মে অঙ্গীকারনামা গ্রহণ করছে, আমানতকারীর মৃত্যুর পর তাদের মনোনীত নমিনি মৃত ব্যক্তির হিসেবে রক্ষিত আমানত প্রাপ্তির জন্য যোগ্য বা উপযুক্ত হিসেবে বিবেচিত নাও হতে পারেন। যা ব্যাংক-কোম্পানি আইন, ১৯৯১ (২০১৩ সাল পর্যন্ত সংশোধিত)-এর ১০৩ ধারায় নির্দেশনার পরিপন্থী। এমতাবস্থায় ব্যাংকগুলোর ব্যাংক-কোম্পানি আইন অনুসরণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গত বছরের ৩ এপ্রিল সুপ্রীমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ একটি মামলার রায়ে মৃত্যু ব্যক্তির ব্যাংকের রেখে যাওয়া টাকা উত্তরাধিকারের ভিত্তিকে বণ্টনের নির্দেশ দেয়। আদালতের এ ধরনের রায়ের পর অনেক ব্যাংক নতুন হিসাব খোলার সময় নমিনিকে টাকা নাও দেয়া হতে পারে এই মর্মে অঙ্গীকারনামা নেয়া শুরু করে। তবে বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিপত্রে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়া হয়, কোন ব্যক্তি মারা গেলে ব্যাংকে তার রেখে যাওয়া টাকা তার নমিনি (মনোনীত ব্যক্তি) পাবেন। ব্যাংক-কোম্পানি আইনের ওই ধারায় বলা হয়েছে, ব্যাংক-কোম্পানির নিকট রক্ষিত কোন আমানত যদি একক ব্যক্তি বা যৌথভাবে একাধিক ব্যক্তির নামে জমা থাকে, তাহলে ওই একক আমানতকারী এককভাবে বা ক্ষেত্রমত, যৌথ আমানতকারীগণ যৌথভাবে নির্ধারিত পদ্ধতিতে এমন এক বা একাধিক ব্যক্তিকে মনোনীত করতে পারবেন। আর আমানতকারীর মৃত্যুর পর আমানতের টাকা মনোনীত ব্যক্তিকে প্রদান করতে হবে। ভ্যাট প্যাকেজ চালুর দাবিতে মানববন্ধন স্টাফ রিপোর্টার ॥ হঠাৎ অযৌক্তিক ও অন্যায়ভাবে ১৫% হারে ভ্যাট আরোপের সিদ্বান্তের প্রতিবাদে ও আগের মতো ভ্যাট প্যাকেজ চালুর দাবিতে রাজধানীতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ আয়রন এ্যান্ড স্টিল ইম্পোর্ট এ্যাসোসিয়েশন্স। বুধবার বেলা এগোরাটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত পুরানো ঢাকার বংশাল নাজিরাবাজার ও তাঁতীবাজার এলাকায় ব্যবসায়ীরা মানববন্ধনের পর এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সভাপতি হাজী সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ নাসির উল্লাহ ও যুগ্ম সম্পাদক মোঃ আমির হোসেন নুরানী। সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, আগামী ১ জুলাই পর্যন্ত খুচরা পর্যায়ে প্যাকেজ ভ্যাট প্রদানের বিধান থাকলেও কোন কোন সার্কেল অফিসার মানছে না। কোন কোন সার্কেল অফিসার মেনে নিলেও, রাস্তায় মাল ও গাড়ি আটক করে গাড়ির মূল্যসহ প্রায় ২৫০% জরিমানা করছে। ফলে ব্যবসায়ীদের গাড়িসহ মালের জরিমানা দিতে হচ্ছে। এছাড়াও রিটার্ন দাখিলের সময় সার্কেল অফিসে ঘুষ না দিলে রির্টান জমা নিতে চায় না। ঘুষ ছাড়া জমা দিতে গেলে অফিসাররা মূসক-১১ চায়, সঙ্গে মূসক-১,৬১,৭১৮ ও ক্যাশ মেমো চায়। না দিতে পারলে মামলা দেয়, বিন লক করে ব্যবসায়ীর ব্যবসা বন্ধ করে দিচ্ছে। ভ্যাট শুধুমাত্র ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ কিছু এলাকায় আদায় করা হচ্ছে। কিন্তু মফস্বলে আদায় করা হচ্ছে। না ফলে শহরের পাইকারের মাল বিক্রি হচ্ছে না। একই দেশে দুই রকম আইন চলছে। সত্যিকার অর্থে আমাদের লৌহ শিল্পের ট্রানজেকশন খুবই বেশি ফলে টার্নওভারও বেশি হয় কিন্তু লাভ খুবই সামান্য।
×