ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দুর্ভাগা শেখ হাসিনা ও বিচারকের কশাঘাত -স্বদেশ রায়

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ২০ এপ্রিল ২০১৭

দুর্ভাগা শেখ হাসিনা ও বিচারকের কশাঘাত -স্বদেশ রায়

শেখ হাসিনা আসলেই দুর্ভাগা। পিতা-মাতাসহ পরিবারের ষোলো সদস্য হারিয়ে, পিতার অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্যে একা এক বিশাল যুদ্ধের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সন্তানের থেকে বেশি মমতায় ভালবেসেছেন দেশকে। আশির দশকে যখন তিনি শিশু জয় ও পুতুলকে বিদেশে পাঠিয়ে একা মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গণতন্ত্রের জন্যে লড়াই করতেন তখন কাছ থেকে দেখে অবাক বিস্ময়ে ভেবেছি- এও কি সম্ভব? মা হয়ে নিজের সন্তানদের স্নেহ-ভালবাসা থেকে বঞ্চিত করে, নিজে মৃত্যুকে মাথায় নিয়ে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এমনি মরণপণ নামা। আজ যখন তিনি প্রায়ই বলেন, আমরা ভাই-বোনরা ছোট বেলায় কোনদিন পিতার স্নেহ পাইনি। তখন মনে পড়ে জয় ও পুতুলের মুখ। মা হিসেবে শেখ হাসিনা কি দেশের মানুষের জন্যে জয় ও পুতুলকে ছোট বেলায় মাতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত করেননি! অথচ কী দুর্ভাগা শেখ হাসিনা, ছোট বেলায় দেশের মানুষের জন্যে মাতৃস্নেহ বঞ্চিত তাঁর কন্যা পুতুলের যখন প্রথম সন্তান হয় সে সময়ে তিনি, প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে কয়েকদিন ছুটি নিয়ে মেয়ের কাছে গিয়েছিলেন। ওই সময়েও শেখ হাসিনার এই মাতৃত্বকে সম্মান করা হয়নি। বরং মিডিয়ায় নির্মম ভাষায় তাকে সমালোচনা করা হয়েছিল, কেন রাজ কাজে অবহেলা করে কন্যা স্নেহে পীড়িত হলেন তিনি! আমাদের মতো এই সমালোচকদের প্রকৃত জবাব দিতে পারতেন যদি আর কোন মাইকেল জন্ম নিতেন। তিনি নিশ্চয়ই মেঘনাদের মতো আর কোন চরিত্রের মুখ দিয়ে শেখ হাসিনার এই সব সমালোচকদের বলতে পারতেন- যেমন মেঘনাদ বলেছিলেন বিভীষণকে, চ-ালে বসাও আনি রাজার আলয়ে! শেখ হাসিনাকে শুধু কি আমরা সমালোচক সাংবাদিকরাই গঞ্জনা দেই, কেন যেন সকলেই তাঁকে গঞ্জনা দিয়ে বিকৃত আনন্দ উপভোগ করেন। যাদের উপকার করেন তাদের কাছ থেকেও তিনি খুব কম সময়ে ধন্যবাদ পান। ১৫ এপ্রিল শেখ হাসিনা রাজধানীর কাকরাইলে আমাদের সুপ্রীমকোর্টের বিচারপতিদের জন্যে ৩৬শ’ বর্গফুটের ৭৬টি ফ্ল্যাট তৈরি ও বাসযোগ্য হবার পরে উদ্বোধন করেন। বিচারপতিদের জন্যে এই আবাসন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিচারপতিদের পক্ষ থেকে প্রধান বিচারপতি বক্তব্য রাখেন। ওই অনুষ্ঠানে এমন কিছু বক্তব্য আসে যা সংবাদ গুরুত্ব অনুযায়ী দেশের প্রায় সবগুলো দৈনিকে এক ধরনের লিড নিউজ হিসেবে প্রকাশিত হয়। এর প্রতিটি নিউজ খুব মনোযোগের সঙ্গে পড়েছি, শুধু রিপোর্টার নয়, ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এমন প্রাক্তন ও বর্তমান বিচারপতিদের সঙ্গেও কথা বলেছি। কিন্তু কোথা থেকেও জানতে পারেনি, ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কোন একটি শব্দ বলে ধন্যবাদ দেয়া হয়েছিল। ২০১১ সালে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং ২০১৭ সালের মধ্যে ১৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে সব ধরনের আধুনিক সুযোগ সুবিধা যেমন জিমনেশিয়াম, বিনোদন কেন্দ্রের ব্যবস্থা সংবলিত এই আবাসন স্থান উদ্বোধন করেও একটি ধন্যবাদ সূচক শব্দ পেলেন না শেখ হাসিনা। একেই বলে দুর্ভাগা। মুনতাসীর মামুন হলে লিখতে পারতেন, ওই শক্তিশালী ভাষা আমার নেই, তিনি ঠিকই একটি বিশেষ শব্দ ব্যবহার করে বলতেন, ওই.... ওরা খালেদা জিয়া হলে পায়ে লুটিয়ে পড়তেও বাকি রাখত না। সব বীরত্ব শেখ হাসিনার সামনে। যা মুনতাসীর মামুন আমাদের সাংবাদিকদের নিয়ে লিখেছেন, বীর সাংবাদিকরা পারলে শেখ হাসিনাকে প্রশ্ন করে খ--বিখ- করে ফেলেন, কিন্তু খালেদার সামনে কোন প্রশ্ন করতেই সাহস পান না। সত্যিই তাই, আজও পর্যন্ত কোন সাংবাদিক খালেদার সাংবাদিক সম্মেলনে প্রশ্ন করলেন না, আপনি এত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করলেন কেন? যাহোক, ধন্যবাদের বদলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই অনুষ্ঠানে যা পেলেন তা দ্বিতীয়বার প্রকাশ না করাই ভাল। তবুও লেখার প্রয়োজনে ব্যবহার করতে হচ্ছে। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি তার ভাষণে বললেন, “একটি মহল সব সময় সরকার ও বিচার বিভাগের মধ্যে দূরত্ব তৈরির অপচেষ্টায় লিপ্ত। ... কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতিকে পাশ কাটানো হয়েছে বলে উষ্মা প্রকাশ করে তিনি বলেন, সম্পূর্ণ ভুল তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে সরকার প্রধানের কাছে সত্য গোপন করে সিদ্ধান্তগুলো হাসিল করা হয়েছে।”( প্রথম আলো, ১৬.৪.১৭) শেখ হাসিনা তিনবার প্রধানমন্ত্রী। তাও খালেদা জিয়া মার্কা প্রধানমন্ত্রী নন। তিনি নিজে দেশ চালান। আর নেতা হিসেবে তিনি কত বড় তা যারা বলছেন, তাঁকে ভুল বুঝিয়ে কাজ হাসিল করা হয়েছে তাঁরা যদি ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের দেয়া শেখ হাসিনার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভারতের প্রবীণ নেতা এল কে আদভানীর ভাষণটি পুরো শুনতেন তাহলে কিছুটা হলেও উপলব্ধি করতে পারতেন। আমাদের ঘরের মেয়ের মতো, বোনের মতো, মায়ের মতো যে শেখ হাসিনা দেশের নেতৃত্ব দেন, তিনি শুধু আমাদের মা, বোন বা মেয়ে নন, তিনি পৃথিবীর একজন অন্যতম নেতা, দক্ষিণ এশিয়ার সেরা নেতা। আর আমরা কিনা অবলীলায় বলে দিলাম, ওনাকে ভুল বুঝিয়ে কাজ হাসিল করা হয়েছে। কাজ হাসিল করা হয়েছে- অর্থ কি? অর্থাৎ একটি খারাপ কাজ করানো হয়েছে। শেখ হাসিনা, রাষ্ট্র, রাষ্ট্রের বিচার বিভাগ কিছুই বোঝেন না, তিনি নিতান্ত বালিকা! তাকে ভুল বুঝিয়ে এ ক্ষতিকর কাজ করা হয়েছে। শেখ হাসিনার মতো নেতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশে বিশ্বাসী কোন নাগরিক যদি এই কথা বলেন, তার উত্তরে কেবল বলা যায়, ক্ষমা করো এ দীনতা। তবে অনেকদিন থেকে এই রাষ্ট্রের জন্যে কিছু কথা পার্লামেন্টে বা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বলার একটা প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি হচ্ছিল। বিধাতার একটি মঙ্গল হাত সব সময়ই দেখা যায় শেখ হাসিনার মাথার ওপর থাকে। তাই ১৫ তারিখ শেখ হাসিনাকে অসম্মানজনক কথা বললেও শেখ হাসিনা অসম্মানের বুলেট বুকে নিয়ে রাষ্ট্রের জন্যে ও জাতির জন্যে গুরুত্বপূর্ণ সে কথাগুলো বলেছেন। যেমন দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রের প্রধান- মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে অপমান করা হচ্ছে, যা একটি রাষ্ট্রের জন্যে অত্যন্ত ক্ষতিকর। রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নামক প্রতিষ্ঠানটি ভেঙ্গে ফেলার উদ্দেশ্যই হচ্ছে রাষ্ট্রকে ধ্বংস করার এক ধরনের ষড়যন্ত্র। অথচ রাষ্ট্রপতিকে শুধু ‘নামমাত্র’ বলা হয়নি, তিনি আদেশ দেবার পরে রাষ্ট্রের যে কোন বিষয়ে আর কোন কথা থাকতে পারে না। সেটাই চূড়ান্ত। তারপরেও তা সেখানে শেষ করা হচ্ছে না। এভাবে মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে এবং রাষ্ট্রপতি নামক প্রতিষ্ঠানটিকে বার বার অপমান করা হচ্ছে। শেখ হাসিনা শুধু দেশের প্রধানমন্ত্রী নন, তিনি একজন অনেক বড় মাপের রাজনীতিক। তাছাড়া তিনি মাঝে মাঝে বুদ্ধিজীবীদের (সাধারণ মানুষ ভুলে যায় কম -বুদ্ধিজীবীরা বেশি ভুলে যান) স্মরণ করিয়ে দিতে বাধ্য হন, তিনি বঙ্গবন্ধুকন্যা। বঙ্গবন্ধু অনেক কিছুই প্রকাশ্যে জনসভায় করতেন, এমনকি কূটনীতির ক্ষেত্রেও তিনি জনসভাকে বেছে নিতেন। শেখ হাসিনাও পিতাকে অনুসরণ করেন বা সেই গুণ তিনিও পেয়েছেন। ১৫ তারিখের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে, তাই সুযোগ হাতছাড়া করেননি, তিনি রাষ্ট্রপতির অবস্থানটি যারা ভুলে গেছেন তাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, আমাকে (প্রধানমন্ত্রী) ও প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগ দেবার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির। এর পরেও যদি কেউ রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা না বোঝেন, তাহলে তখন কেবল বলা যেতে পারে, ঈশ্বর তুমি তাঁর দোষ নিও না, সে নিতান্তই তোমার অবুঝ সন্তান। শেখ হাসিনা ওই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতির উত্থাপিত কিছু উষ্মার জবাব দিতে গিয়ে বিচার বিভাগ কর্তৃক পার্লামেন্টে প্রণীত আইন বাতিলের প্রসঙ্গটিও এনেছেন। তিনি পার্লামেন্টে একটি আইন প্রণয়নের দীর্ঘ প্রসেস ও সে প্রসেসে কিভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করা হয় তার বর্ণনা দিয়ে বলেন, জনগণের স্বার্থে, জনপ্রতিনিধিরা আইন প্রণয়ন করেন। এরপরে তিনি বলেন, সেই আইন দু’জনে বসেই বাতিল করে দেবেন এমন তো হতে পারে না। বাস্তবে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বিষয়টি নিয়ে অবশ্যই সবাইকে ভাবতে হবে। প্রথমত বিচারকরা কেউ অন্য গ্রহ থেকে আসেননি এবং তাদের বিচার বুদ্ধি পার্লামেন্ট মেম্বারদের থেকে বেশি এমনটি ভাবারও কোন কারণ নেই। আর বিচার বুদ্ধি অনেক বেশি হলেও তারা আইনপ্রণেতা নন। সর্বোপরি পার্লামেন্ট মেম্বারদের আছে জনগণের কাছে দায়বদ্ধতা। জনপ্রতিনিধিদের মতো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বিচারপতিদেরও দায়বদ্ধতা জনগণের কাছেই থাকতে হবে। কারণ, জনগণের রাষ্ট্রের বিচার বিভাগে তাঁদের বিচার করার জন্যে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তারা যেন কখনই যে গ্রীক মূর্তিটি সুপ্রীমকোর্ট প্রাঙ্গণে বসানো হয়েছে অমনটি নিজেকে মনে না করে বসেন। কারণ, ওই মূর্তির এক হাতে তরবারি আরেক হাতে দাঁড়িপাল্লা। তরবারি সে সময়ে রাজাদের রাজ্যশাসনের প্রতীক, দাঁড়িপাল্লা বিচারের প্রতীক। অর্থাৎ তখন যিনিই রাজা তিনিই বিচারক। আমাদের ৭২-এর সংবিধান অনুয়ায়ী সুপ্রীমকোর্টের প্রতীক শুধু দাঁড়িপাল্লা। আমাদের বিচারপতিরা সংবিধানের রক্ষক। তাই সঠিক প্রতীকটিকে তাদের চিনতে হবে। যা সঠিক নয় তা সংশোধন করতে হবে। কারণ, রাষ্ট্রটি জনগণের, কোন তরবারি হাতের রাজার নয়। আইনও যেমন হবে জনগণের স্বার্থে, বিচারও হতে হবে জনগণের স্বার্থে। মিলিটারি শাসকের তৈরি আইন বাতিল করা কর্তব্য- কারণ, তা করা হয় জনগণের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে জনগণের জন্যে জনগণের প্রতিনিধিদের তৈরি আইন বাতিল করার ক্ষমতা আদৌ কারও আছে কি? আমাদের বিচারপতিরা ভাল জানবেন, ভারতে অনেকগুলো রায়ে বলা আছে, আইন সভার সদস্যদের তৈরি আইন বাতিলের ক্ষমতা বিচার বিভাগ রাখে না। আমাদের সাবেক প্রধান বিচারপতি কামালউদ্দিন হোসেনও নুরুল ইসলাম মামলার রায়ে বলে গেছেন, আইন অপরিবর্তিত রেখেই বিচার করা ও রায় দেবার কাজটি করতে হবে বিচারপতিদের। ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস সম্পাদিত বাংলাদেশ লিগ্যাল টাইমস পত্রিকার ফেব্রুয়ারি সংখ্যায় সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক একটি দীর্ঘ সাক্ষাতকার দিয়েছেন, সেই সাক্ষাতকারের একাংশে তিনি বলেছেন, “...In a democracy, the Judges are not lawmakers, they are bound to enforce the lwa as they find them. If the lwa is inadequate to dispense justice, the parliament would take care of it, not the judges. They are not reformars, they are to dispense justice, in accordance with law..” (গণতন্ত্রে বিচারপতিরা আইনপ্রণেতা নন, তারা আইনের ব্যবহারকারী মাত্র। যেভাবে তারা আইন পাবেন সেভাবেই ব্যবহার করবেন। যদি কোন আইন বিচার কাজ চালানোর জন্যে অসম্পূর্ণ হয় তাহলে সে বিষয়ে পার্লামেন্ট সিদ্ধান্ত নেবে, বিচারপতিদের এখানে সিদ্ধান্ত নেবার কিছু নেই। তারা পরিবর্তনকারী নন, তারা শুধু আইন অনুযায়ী রায় দেবেন...।”) শেখ হাসিনা বিচারপতি নন, তিনি রাষ্ট্রনায়ক, তিনি সরকার প্রধান ও সর্বোপরি রাজনীতিবিদ। তিনি রাজনীতিবিদের ভাষায় এই কথাই স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। বাস্তবে আমাদের বিচারপতিদের মনে রাখতে হবে, এই জাতি অনেক রক্তের বিনিময়ে সামরিক স্বৈরশাসন থেকে দেশকে মুক্ত করেছে। দেশ ধীরে ধীরে গণতন্ত্রের দিকে যাচ্ছে। এখন যেন কারও ভুলের জন্যে জুডিশিয়াল টিরানি (ঔঁফরপরধষ ঞুৎধহহু) চেপে না বসে। এ ক্ষেত্রে আমাদের কিছু কিছু আইনজীবীর নির্বাহী বিভাগের, আইন বিভাগের- প্রায় সব কিছু নিয়ে রিট করে বিখ্যাত হবার বা পরিচিতি পাবার এই পথটি ছাড়তে হবে। তাদের এ কাজে শেষ অবধি তাঁরা লাভবান হন, আয় রোজগার বাড়ে। কিন্তু দেশের ও জনগণের ক্ষতি হচ্ছে অনেক বেশি। তাদের অনেক মক্কেল আমাদের কাছে আসে, এসে বলেন, “উকিল সাহেব বলে দিয়েছেন এই ভাবে একটা নিউজ এলেই তিনি আমার জন্যে একটা রিট করে দিতে পারবেন।” দেশের ও জনগণের স্বার্থে ভবিষ্যতে এই সব উকিল সাহেবদের নিউজ হয়ত আমাদের প্রকাশ করতে হবে। তবে তার আগে তাঁরা দেশের ও জনগণের স্বার্থ ভেবে এ সব কাজ থেকে বিরত হলে ভাল হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁদের উদ্দেশেও বলেছেন। কারণ, দুইজন বসে পার্লামেন্টের একটি আইনকে বাতিল করে দেবার সুযোগ তাঁরাই করে দিচ্ছেন। [email protected]
×